বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৭৯১৭
Published: 26th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীন অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ হাজার ৯১৭ জন প্রার্থী। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৩ হাজার ৫২৮ প্রার্থী।
আরও পড়ুনচাকরির পাশাপাশি যে পাঁচটি কাজ আপনার আয় বাড়াবে৮ ঘণ্টা আগেবার কাউন্সিল পরীক্ষা হলো বাংলাদেশে আইনজীবী হিসেবে পেশাগত যোগ্যতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত একটি তালিকাভুক্তি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে একজন প্রার্থী আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অনুমোদন পান।
* ফল দেখুন এখানে
আরও পড়ুনসুইডেনে ৭৫০টি ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ, আবেদন স্নাতকোত্তরে, জীবনযাপন খরচ–ভ্রমণ ব্যয়সহ নানা সুযোগ৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল দ শ ব র ক উন স ল পর ক ষ প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে বিচারপতিদের মিলনমেলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগ যেন ফিরে পেয়েছে তার গৌরবময় অতীতের দিনগুলো। প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পর প্রথম পুনর্মিলনী উপলক্ষে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ ৩৫ জন বিচারপতি।
এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের ২৯ জন বিচারপতি, আপিল বিভাগের তিনজন ও অবসরপ্রাপ্ত দুইজন বিচারপতি রয়েছেন। এছাড়া উপস্থিত আছেন, শতাধিক জজ ও সহস্রাধিক আইনজীবী।
আরো পড়ুন:
শিল্পকলায় নোবেলজয়ী নাট্যকারের ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’
রেজোয়ানের ভাসমান স্কুলের ইউনেস্কোর পুরস্কার অর্জন
এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন আইন বিভাগের ১৯৬৭-৬৮ সেশন থেকে ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা। প্রিয় ক্যাম্পাসে আবেগঘন একটি দিন পার করতে তাদের অনেকেই নিয়ে এসেছেন পরিবার-পরিজনকে ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই ক্যম্পাসের সর্বত্র দেখা যায় তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে জমে আড্ডা। কেউবা ছবি তুলছেন, কেউ জমিয়ে আড্ডায় মেতেছেন।
পুরোনো বন্ধু, শিক্ষক আর সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দে সবার মুখে ঝলমল করছে হাসি। কেউ স্মৃতিচারণ করছেন টিচার্স লাউঞ্জের আড্ডার কথা, কেউবা স্মৃতি রোমন্থন করছেন আইনের ক্লাসরুম, সিনেট ভবন কিংবা শহীদুল্লাহ কলাভবনের করিডোরের দিনগুলো।
পুনর্মিলনী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশেষ আলোচনা সভাসহ সারাদিন থাকছে নানা আয়োজন। আইন বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীরাও এই আয়োজনকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত। কারণ তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন সেই সিনিয়ররা, যারা আজ দেশের বিচারব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত।
এ বিষয়ে এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, “অনেকদিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরে মনে হচ্ছে, সময় যেন পেছনে ফিরে গেছে। এখানেই গড়ে উঠেছিল আমাদের চিন্তা, যুক্তি আর ন্যায়বোধের ভিত।”
অনিভুতি প্রকাশ করে ১৯৯২-৯৩ সেশনের শিক্ষার্থী কবির ইকবাল হোসেন বলেন, “আইন বিভাগকে ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটা আয়োজন করার জন্য। ৭২ বছর পর প্রথম পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মতিহারের সবুজ চত্বর আজ একটা মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। অংশগ্রহণ করে আমরা খুবই উজ্জীবিত। আমরা চাই, প্রতি বছর যেন এই আয়োজনটা হয়।”
বাংলাদেশ বিচার বিভাগের জয়েন্ট ডিস্ট্রিক্ট জজ ও রাবি আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বেল্লাল হোসেন বলেন, “আইন বিভাগের এই ৭২ বছর পূর্তিতে এসে আমরা একটি অন্যরকম অনুভূতি অনুভব করছি। এটি নবীন-প্রবীণের একটি আনন্দঘন মুহুর্ত। আমরা প্রাক্তন ছাত্ররা এই আয়োজনে আসতে পেরে অনেক খুশি। এই আয়োজনের জন্য আয়োজকদের আমরা অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “প্রায় ১৭ বছর পর ক্যাম্পাসে এসে ভৌত ও অবকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন দেখছি, এবং অনুভূতিতে আমি ফিরে গিয়েছি ছাত্রজীবনের সেই সময়টাতে। সঙ্গে আমার স্ত্রী-সন্তান এসেছে আমার নিজের ক্যাম্পাসে, তাই অনেক ভালো লাগছে।”
অনুভুতি প্রকাশ করে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শফিকুজ্জামান রানা বলেন, “আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অনার্স ৪৩তম ব্যাচ ও এমএলএম ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এ মিলনমেলার অনুভূতি সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। দীর্ঘ ২০-২৫ বছর পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, যা অত্যন্ত আবেগময় একটি মুহূর্ত।”
তিনি বলেন, “ছোটভাই, বড়ভাই ও প্রিয় সহপাঠীদের সঙ্গে এই মিলনমেলা উপভোগ করছি প্রাণভরে। আমরা চাই, এমন আয়োজন প্রতি বছরই হোক। এতো সুন্দর ও হৃদয়ছোঁয়া আয়োজনের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী