ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রিমান্ডে
Published: 8th, December 2025 GMT
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ চন্দ্র বর্মণের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ড শুনানির জন্য বিশ্বজিৎকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী গুলজার হোসেন বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে আসামির সঙ্গে বিরোধ থাকায় বাদী তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। মামলার অভিযোগ মিথ্যা।’
বিশ্বজিৎ সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে তাঁর আইনজীবী আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাঁর (বিশ্বজিৎ) মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করেছে। তিনি যদি কিছু করে থাকতেন, সেখানেই তা পাওয়ার কথা। নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন শুনানিতে বলেন, ‘গত ছয় মাসে ধর্ম অবমাননার যে ঘটনা ঘটেছে, গত ১৫ বছরেও তা ঘটেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এসব ধর্ম অবমাননার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে বিশ্বজিৎকে মারধরের পর পুলিশের কাছে তুলে দেন তিতুমীর কলেজের একদল শিক্ষার্থী। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ সাব্বির।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ফারিয়া আক্তার’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ২২ নভেম্বর মহানবী (সা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আইনজ ব জ র কর র জন য কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
পুরোনো হাতিয়ার ব্যবহার করে কি নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে, প্রশ্ন সারা হোসেনের
পুরোনো হাতিয়ার ব্যবহার করে নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে কি না—প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন। তিনি বলেন, ‘যারা ‘ইয়ার্কির’ (e-আরকি, ব্যঙ্গবিদ্রূপভিত্তিক ওয়েবসাইট) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তাঁরা তো দাবি করছেন যে তাঁরা নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। তো সেই কাজগুলো কি এইভাবেই হবে? পুরোনো সব হাতিয়ার ব্যবহার করে? পুরোনো সব আইন ব্যবহার করে?’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্যাটায়ার, মিম ও কার্টুন: মতপ্রকাশ নাকি মর্যাদাহানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সারা হোসেন এ কথা বলেন।
সভাটি আয়োজন করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ ও ফান ম্যাগাজিন ‘e-আরকি’। সভায় স্যাটায়ারিস্ট, কার্টুনিস্ট, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিগত সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিষয়টি টেনে সারা হোসেন বলেন, সে সময় বলা হয়েছিল যে কেউ যদি কোনোভাবে সংবিধান পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, সেটাকেও রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে দেখা হবে। সেটার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কথা বলার জন্য শাস্তির পাওয়ার সেই চর্চা থেকে সবাই বের হয়ে আসতে চাইছে।
সারা হোসেন বলেন, মিম ও কার্টুনের গুরুত্ব হলো তামাশার মাধ্যমে ক্ষমতাশালীদের প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। এখনকার সময়ে এগুলো সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করে। সে জন্য এসবের সামাজিক আর রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এগুলোর একটি স্পেস রাখা দরকার। সেই স্পেসটাকেই মামলা দিয়ে সংকীর্ণ করার চেষ্টা হচ্ছে।
অনলাইনে ‘অপপ্রচার’ ও নারী নেত্রীদের সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও আইডির বিরুদ্ধে গত ২ ডিসেম্বর মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম। মামলা করার পর তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা সাইবার সাপোর্ট ইউনিটের সঙ্গে ফলপ্রসূ মিটিং করেছি। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। একই সঙ্গে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজকে আমরা এখানে লিখিতভাবে আমাদের অভিযোগগুলো দিয়েছি।’
‘স্যাটায়ার, মিম ও কার্টুন: মতপ্রকাশ নাকি মর্যাদাহানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অতিথি ও আলোচকেরা। আজ শনিবার সকালে, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে