বিলাসবহুল হোটেল থেকে জায়নামাজ চুরি করেছিলাম: পাকিস্তানি অভিনেত্রী
Published: 27th, October 2025 GMT
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দুরেফিশান সলিম। অভিনয় ক্যারিয়ার খুব বেশি দিনের না হলেও দর্শকদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে একটি সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। আর এ মহূর্তের একটি ভিডিও ক্লিপ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
বিনা সংকোচে অভিনেত্রী দুরেফিশান সলিম বলেন, “আমি একবার বিলাসবহুল একটি হোটেল থেকে জায়নামাজ চুরি করেছিলাম। এটি ভীষণ সুন্দর ও নরম ছিল।”
অভিনেত্রীর এই সরল স্বীকারোক্তিতে বিস্মিত হয়ে পড়েন আরেক অতিথি অভিনেতা মিকাল জুলফিকার ও সঞ্চালক নিদা ইয়াসির। জুলফিকার জানতে চান, জায়নামাজ চুরি করতে আপনার লজ্জা লাগেনি? জবাবে এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, এ কারণে আল্লাহ হয়তো আমার উপর কোনো প্রভাব ফেলবেন না। কারণ আমি নামাজের জন্যই এটি ব্যবহার করব।”
এরপরই জুলফিকার বলেন, “তাহলে মসজিদের বাইরে থেকে যারা জুতা চুরি করেন, তাদেরও ক্ষমা করা উচিত!” এ কথা শুনে সবাই হাসতে শুরু করেন। তাদের হাস্যরসের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অভিনেত্রী দুরেফিশান সলিমের রসবোধের প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। মোহাম্মদ জাহান নামে একজন লেখেন, “শয়তানও দ্বিধায় পড়ে যাবে।” হায়দার লেখেন, “কি কিউট!”
নেটিজেনদের একটি অংশ অভিনেত্রীর রসবোধের প্রশংসা করলেও অন্য একটি অংশের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন দুরেফিশান। কল্পনা নামে একজন লেখেন, “চুরি করে সেটা আবার পাবলিকলি বলছেন। এটা ঠিক না।” নিমরা লেখেন, “এটা মজার বিষয় না।” তাহির লেখেন, “চুরি তো চুরিই।” আরেকজন লেখেন, “আমাদের অভিনয়শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। কারণ কোন কথা পাবলিকলি বলা যাবে, আর কোনটা বলা উচিত নয়, তা জানা জরুরি।”
সুমাইয়া চৌধুরী আনিসা লেখেন, “প্রায় প্রতিটি পাকিস্তানি অভিনেত্রী এ রকম বাজে কথা বলেন, তারা খারাপ জিনিসকে ভালো জিনিস দিয়ে ঢেকে দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করেন (ইকরা আজিজ, হিরা মণি.
১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন দুরেফিশান সলিম। তার বাবা সলিম-উল-হাসান একজন পরিচালক ও প্রযোজক। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন দুরেফিশান। পরে শোবিজ অঙ্গনে ক্যারিয়ার গড়তে করাচিতে পাড়ি জমান।
২০২০ সালে ‘দিল রুবা’ ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন দুরেফিশান। একই বছর ‘ভারা’ টিভি সিরিজে প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। এরপর বেশ কিছু টিভি সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—‘ভারাইসি তেরি খুদগার্জি’, ‘ইশক মুর্শিদ’ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রতারক পুরুষ বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে, তবে আল্লাহ সব দেখেন’
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা—দু’জায়গাতেই অভিনয় গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাবনার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো অংশ প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন এই অভিনেত্রী। গতকাল রাতে ভাবনা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে নারীর সঙ্গে পুরুষের বিশ্বাসঘাতকতার একটি চিত্রায়ণ করেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
‘খুকুমণির’ বিয়ে
রাজবাড়িতে বসবে মধুমিতার বিয়ের আসর!
এ বিষয়ে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “একজন প্রতারক পুরুষ তার বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে। কিন্তু যে নারীকে সে আঘাত করেছে, তাকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ তা প্রকাশ করেন। প্রতিটি মিথ্যা, যা সে পেছনে বলেছে, নীরবে ভাঙা প্রতিটি প্রতিশ্রুতি, কান্নার প্রতিটি মুহূর্ত, অথচ পুরুষটি ভান করেছে সব ঠিক আছে। তবে আল্লাহ সব দেখেন, যা সে দেখতে পায় না।”
কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। এমন তথ্য স্মরণ করে ভাবনা বলেন, “একজন পুরুষ ভাবেন, তার কর্ম ঢাকতে সে যথেষ্ট চতুর। কিন্তু কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। তাকে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহ সত্য প্রকাশ করেন না। বরং সেই নারীকে জীবনভর কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য এটি করেন।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “বিশ্বাসঘাতকতা হয়তো গোপনে করা হয়। কিন্তু তার প্রকাশ হলো ঐশ্বরিক সুরক্ষা। আল্লাহ যখন পর্দা সরিয়ে দেন, তা শাস্তি নয় বরং এটা উদ্ধার। আমি এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ।”
তবে ভাবনা কেন এ ধরনের একটি পোস্ট নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন, তার পেছনের কারণ জানা যায়নি। কিন্তু তার ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন নেটিজেনরা।
ঢাকা/শান্ত