রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী সায়মা মারা গেছেন। সেখানে সাঁতার প্রশিক্ষক উপস্থিত থাকলেও তারা সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে সব হল থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

আরো পড়ুন:

২০-২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, সমাধান না হলে আইনের আশ্রয় নেব

ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটিতে সংঘর্ষ: আহত দুই শতাধিক, পরিস্থিতি থমথমে

রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব প্রথমে তদন্তের জন্য ১৪ দিনের সময় চান। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরবর্তীতে তা ৭২ ঘণ্টা করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিচার করতে হবে।

রাকসুর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “কয়েকটা বিষয় প্রশাসনকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে, তাহলে তার ফিটনেস কেন চেক করা হয়নি? ফিটনেস চেক ছাড়া শরীরচর্চা বিভাগ শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকা একজন শিক্ষার্থীকে কীভাবে সাঁতারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনুমতি দিল?”

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সুইমিংপুলে স্বচ্ছ পানি কেন ছিল না এবং আধা ঘণ্টা ধরে একজন শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে থাকলেও সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কেন দেখতে পেলেন না? অবশ্যই এসব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “এর আগেও রাবি মেডিকেল সেন্টারে বাংলা বিভাগের এক ভাইকে নিয়ে গেলে আধমরা অবস্থায় রামেকে পাঠানো হয়। আজো তারা আমার বোন সায়মাকে সঠিকভাবে কোনো চিকিৎসা দিতে পারেনি কেন? অবশ্যই সায়মা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে।”

রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আমরা এতক্ষণ ধরে আন্দোলন করছি, কিন্তু প্রশাসনের থেকে প্রতিনিধি আসতে এত সময় লাগে কেন জানি না। প্রশাসন মনে করে ওরা আন্দোলন করতেছে করুক, তারপর যখন ক্লান্ত হয়ে যাবে, তখন আমরা যাব। প্রত্যেকটা আন্দোলনেই তারা এমন করেছে। আমাদের ভাই-বোনদের ইচ্ছে করে কষ্ট দিচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমরা যদি নির্দিষ্ট সময় না দেই, তারা এমনভাবেই চলতে থাকবে। শুধু মন্নুজান হল না, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা হলের শিক্ষার্থীরা সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। আমরা এখান থেকে বিচার নিশ্চিত করে যাব, ইনশাআল্লাহ।”

উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সেখানে ফরিদ সাহবকে (উপ উপাচার্য) রাখা হয়েছে, যাতে কোনো গড়িমসি না হয়। তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট দেবেন। সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

চিত্রকর্মে আরব্য রজনীর চরিত্র: ২৪ হাজার টাকায় কিনে ৭৪ লাখে বিক্রি

চিত্রকর্মটি বেশ পুরোনো। গড়পড়তা চোখে দেখে অনেকে হয়তো বলবেন, এ আর এমন কী, ভয়ংকরদর্শী মানুষের মাথায় চেপে বসেছে ভিনগ্রহী কোনো বস্তু। তবে ঝানু চোখের রায় হবে ভিন্ন। খুঁটিয়ে দেখলে তিনি ঠিকই বুঝবেন, ছবিটি যেনতেন কিছু নয়। কারণ, এর আঁকিয়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তিনি স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী সালভাদর দালি।

সালভাদর দালির ওই চিত্রকর্ম শুক্রবার যুক্তরাজ্যে নিলামে বিক্রি হয়েছে। নামী শিল্পী, তাই দামটাও আকাশছোঁয়া। পরিচয় প্রকাশ না করা কেউ একজন সেটি কিনে নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৭০০ পাউন্ডে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ৭৪ লাখ টাকার বেশি। অবাক করা বিষয় হলো চিত্রকর্মটি মাত্র ১৫০ পাউন্ডে (২৪ হাজার টাকা) কিনেছিলেন জন রাসেল (ছদ্মনাম) নামের এক ব্যক্তি।

জন রাসেল একজন শিল্পকর্ম বিক্রেতা। তাঁর সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছিল দুই বছর আগে। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে একটি বাড়ির পুরোনো জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছিল। সেখানেই ওই চিত্রকর্ম এক চোখ দেখার সুযোগ পান রাসেল। চিত্রকর্মের এক কোণে ছিল দালির স্বাক্ষর। আর পেছনে ছিল যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সদবি’স-এর স্টিকার।

‘এটি হয়তো নকল’—ঠিক এ কথাই প্রথম মাথায় এসেছিল রাসেলের। তবে একটু ঝুঁকি নিতে দোষ কী? যদি ভাগ্য খুলে যায়। চিত্রকর্মটির দরাদরি শুরু করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরও একজন দরদাম করছিলেন। তবে রাসেল হুট করে ১৫০ পাউন্ড বলার পর ওই ব্যক্তি আর আগে বাড়েননি। রাসেলের কথায়, ‘জীবনে এমন সুযোগ একবারই আসে।’

চিত্রকর্মটি যে আসল, তা পরে যাচাই করে বোঝা যায়। এটি আসলে একজন ‘বৃদ্ধ সুলতানের’ ছবি। তিনি আরব্য রজনীর একটি চরিত্র। ১৯৬৬ সালে আরবের এই রূপকথা নিয়ে ৫০০ ছবির এক সিরিজ আঁকতে চেয়েছিলেন সালভাদর দালি। সুলতানের চিত্রকর্মটি তারই একটি অংশ। কোনো কারণে চিত্রকর্মটি সিরিজ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল।

চিত্রকর্মটি কেনার পর রাসেলের অবশ্য আরও কিছু খরচ হয়েছিল। সেটি আসল কি না যাচাই করতে পকেট থেকে বের হয়েছিল ৪ হাজার পাউন্ড। তবে কেমব্রিজের নিলামকারী প্রতিষ্ঠান চেফিন্‌জ-এ যখন চূড়ান্ত দামটা হাঁকা হলো তখন রাসেলের মনে হয়েছিল, তিনি যেন ‘চাঁদকে ছাড়িয়ে’ গেছেন। তাঁর একটাই কথা—‘এটি ছিল অসাধারণ।’

চিত্রকর্মে ‘সুররিয়ালিজম’ বা ‘পরাবাস্তববাদ’ ধারার জন্য সালভাদর দালির খ্যাতি রয়েছে। তাঁর বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর কয়েকটি হলো—‘দ্য পারসিসট্যান্স অব মেমোরি’, ‘দ্য এলিফেন্টস’, ‘দ্য বার্নিং জিরাফ’ ও ‘মেটামরফোসিস অব নার্সিসাস’। ১৯৮৯ সালে ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যু হয় এই শিল্পীর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় ধাক্কা, অ্যাশেজের শুরুতে নেই কামিন্স
  • মৃত্যুর ২৯ বছর পরও ফ্যাশন ও স্টাইলে সালমান শাহ যে কারণে অনন্য
  • ভারতের মধ্যপ্রদেশে দলিত ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা
  • আবুল কালামের জীবনের দাম যখন আড়াই ভরি সোনার সমান
  • প্যারাগুয়ের চুরির ভিডিওকে ভারতে বাংলাদেশির বলে প্রচার
  • বিলাসবহুল হোটেল থেকে জায়নামাজ চুরি করেছিলাম: পাকিস্তানি অভিনেত্রী
  • মিরপুরে আগুনের ঘটনায় ১১ দিন পর আরেকটি মরদেহ উদ্ধার
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘স্বয়ংক্রিয় ধনুক’ হাতে সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল
  • চিত্রকর্মে আরব্য রজনীর চরিত্র: ২৪ হাজার টাকায় কিনে ৭৪ লাখে বিক্রি