হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কথার অবাধ্য হওয়ায় পূর্ণিমা রাণী দাসকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবা মতিলাল দাসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামে পূর্ণিমা রাণীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জিডি করলেন টুকু

গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে বাবা ও মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকটির একপর্যায়ে মতিলাল দাস ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে পূর্ণিমার গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

লাশের সুরতহাল শেষে নবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

দুলাল মিয়া বলেন, ‘‘পূর্ণিমার গলায় দুটি গভীর কোপের চিহ্ন রয়েছে। তার একটি হাতও কেটে গেছে। নৃশংসভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামরুজ্জামান পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও মতিলালকে গ্রেপ্তার করেন।

নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পূর্ণিমাকে তার স্বামী ডিভোর্স দিয়েছিলেন। পূর্ণিমা এলাকায় আপত্তিকরভাবে চলাফেরা করতেন বলে অভিযোগ ছিল। তার বাবা নিষেধ করলেও তিনি তা শুনতেন না। এ কারণে মতিলাল দাসের সঙ্গে মেয়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।’’ 
 

ঢাকা/মামুন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মত ল ল

এছাড়াও পড়ুন:

সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেন এক কর্মী

বিএনপির ৩১ দফার প্রচার ও ধানের শীষের পক্ষে সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ওই নির্বাচনী এলাকায় দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা। একপর্যায়ে কর্মীরা তাঁকে টাকার ফুল ও মালা গলায় দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তখন এক কর্মী ওই নেতাকে নির্বাচনের খরচের জন্য ১০ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারে শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
৩১ দফার প্রচারণার ঘোষণা থাকলেও এটি ছিল মূলত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলের নির্বাচনী সমাবেশ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশ শুরুর পর একপর্যায়ে কামরুজ্জামানকে ফুল, টাকার মালা গলায় পরিয়ে দেন কিছু নেতা-কর্মী। তখন মঞ্চে উঠে নূর কাশেম নামের একজন কর্মী কামরুজ্জামানের হাতে একটি চেক তুলে দেন। কামরুল সেটি হাতে নিয়ে দেখেন ১০ লাখ টাকার চেক। পরে তিনি চেকটি সমাবেশে উপস্থিত দলের নেতা-কর্মীদের দেখান।

কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের ওই কর্মীর সঙ্গে আমার আগে পরিচয় হয়নি। তিনি চেকটি আমার হাতে দিয়ে কাল (রোববার) ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। মানুষের ভালোবাসায় আমি অভিভূত।’ মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি ধানের শীষের কথা বলছি। ধানের শীষে ভোট চাইছি। জনগণ পাশে থাকলে আমি এখানে মনোনয়ন পাব বলে বিশ্বাস করি।’

জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম মাহমুদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে কামরুজ্জামান ছাড়াও বক্তব্য দেন উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহীনুর রহমান, জুলফিকার চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরী (তৌফিক) ও সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুনাব আলী, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হক প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) কামরুজ্জামান ছাড়াও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও তাহিপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা হামিদুল হক আফিন্দী, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুল মোতালেব খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাতে-পা ধরেও মাফ মেলেনি, যুবককে পেটালেন ইউপি সদস্য
  • সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেন এক কর্মী
  • কিশোরগঞ্জে বিলে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু