ডেঙ্গুতে নিহত সহপাঠীদের ছবি নিয়ে শহরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
Published: 27th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নিহত ও আহত সহপাঠীদের ছবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আক্রান্ত হয়ে যেসব সহপাঠীরা মারা গেছে তারা আর ফিরে আসবেনা, আমরা আর কোনো সহপাঠীকে ডেঙ্গুতে হারাতে চাই না।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বক্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, একের পর এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এই মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে হবে। নারায়ণগঞ্জ শহরের লার্ভা উৎপাদনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র জিউস পুকুর।
যা এক সময়ে একটি স্বচ্ছ পানির পুকুর ছিল।এখানে মানুষ গোসল করত, সাঁতার কাটত। অবহেলার কারণে তা একটি নোংরা ডোবাতে পরিণত হয়েছে যা এখন শহরে মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে।
এসময় ব্যানার-ফেস্টুন হাতে শিক্ষার্থীরা স্লোগান তোলে “জিউস পুকুর বাঁচাও, জীবন বাঁচাও।”
বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী জিউস পুকুরটি অবৈধ দখল ও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ জায়গাই এখন ডেঙ্গু বাহক এডিস মশার প্রজননক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে।
শিক্ষকরা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ শহরকে ‘ডেঙ্গু রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এখন ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন বাসিন্দা ও শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তারা অবিলম্বে জিউস পুকুর পরিষ্কার ও পুনর্গঠনের দাবি জানান।
কর্মসূচি শেষে এলাকাবাসীর পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল সিটি করপোরেশন প্রশাসকের কাছে পুকুরটি দ্রুত সংস্কার ও পরিষ্কার করার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ সহপ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজকে বাঁচাতে এখনই গভর্নিং বডি নির্বাচন দিতে হবে
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নির্মূল হলেও মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে এখনো তাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছে। এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে হলে এখনই গভর্নিং বডি নির্বাচন দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচিত কমিটি গঠনের লক্ষ্যে তিন দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের মূল বালক শাখায় অভিভাবকদের ব্যানারে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধন শেষে অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে গভর্নিং বডি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানায়।
অভিভাবকদের দাবি, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্কুলটি সিলেক্টেড বা পকেট কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আট বছর ধরে অ্যাডহক কমিটি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নির্মূল হলেও মনিপুর স্কুলে এখনো তাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অ্যাডহক কমিটি কর্তৃক বিদ্যালয় পরিচালিত হওয়ায় শিক্ষার মান, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও বিপর্যয় ঘটেছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, অদক্ষ ও অযোগ্য প্রশাসনের কারণে একাডেমিক কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে।
অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বহিষ্কৃত কিছু শিক্ষককে অর্থের বিনিময়ে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি শিক্ষক ও কর্মচারীদের ক্যাম্পাস ও শিফট পরিবর্তনেও অর্থ লেনদেন হচ্ছে। একইভাবে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও টাকার বিনিময়ে শিফট পরিবর্তনের ঘটনা ঘটছে।
অভিভাবকেরা বলেন, এসব অনিয়মে ক্যাম্পাস ও শিফটের শিক্ষার্থীদের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উভয়ই। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৈধ গভর্নিং বডি কমিটি এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক সাইফুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন, আবদুল মুতাকাব্বির, আবদুল্লাহ আল আমান, শাহবুদ্দিনসহ অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।