মানিকগঞ্জে সারজিসের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী সাবেক ছাত্রনেতার বাগ্বিতণ্ডা
Published: 28th, October 2025 GMT
মানিকগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় সভায় দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঙ্গে সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুকের বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। পরে সারজিস আলম মঞ্চে চেয়ার থেকে উঠে ওই ছাত্র প্রতিনিধিকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের সিটি ড্রিম কনভেনশন হলে এনসিপির সমন্বয় সভায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে এনসিপির সমন্বয় সভা ছিল। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সারজিস আলম দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন। সভার শেষ পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা ওমর ফারুক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এ সময় মঞ্চে থাকা এনসিপির নেতাদের উদ্দেশে ওমর ফারুক বলেন, ‘এরা দালাল, ছাত্রলীগ ও জামায়াতের সঙ্গে জড়িত।’ এই কথার পরে সভায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
সারজিস আলম তখন ওমর ফারুককে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রেস কনফারেন্স শেষে এ বিষয়ে কথা বলব।’ এই কথা শোনার পর ফারুক আরও উত্তেজিত হয়ে পড়লে সারজিস চেয়ার থেকে উঠে তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মঞ্চের পাশে নিয়ে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের নিয়ে সারজিস আলম সংবাদ সম্মেলন করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, জেলা কমিটির সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার, যুগ্ম সমন্বয়কারী এ এইচ এম মাহফুজ প্রমুখ।
বাগ্বিতণ্ডার কারণ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনসিপির ছাত্র উইং আমরা করি। যখন কোনো প্রোগ্রাম হয়, তখন আমার দায়িত্ব আসে। অথচ এনসিপির গতকালের সমন্বয় সভায় আমাদের দাওয়াত দেয়নি। মঞ্চে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী জাহিদ মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের ভাগনে। সাটুরিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়নে যুবদলের পদ নেওয়ার জন্য সিভি জমা দিয়েছেন। আমাদের মাইনাস করে তিনি (জাহিদ) সবকিছু করেন। যার কারণে একটু ধমকাইছি।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয় সভায় শুধু এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির সদস্যদের আমন্ত্রণ করার বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ ছিল। এ কারণে ওমর ফারুককে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাঁর মামা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হলেও তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। যুবদলের পদ পাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক র ওমর ফ র ক ম ন কগঞ জ এনস প র উপস থ ত কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই: নাহিদ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আমরা বিচার বিভাগকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় টেনে আনতে চাই না। এর নানা ক্ষতিকর দিক আমরা অতীতে দেখেছি।”
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ শুধু কাগজে নয়, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা থাকতে হবে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির বৈঠক চলছে
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “এটা ঐকমত্য কমিশনের বিষয় যেহেতু, এটা গণভোটে গেলেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই আমাদেরকে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।”
তিনি বলেন, “তবে, এই সরকারের কিছু সমালোচনা এসেছে। আমাদের জায়গা থেকেও বলেছি। কিছু উপদেষ্টার বিষয়েও কথা এসেছে। এটা যথাযথভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাড্রেস করা উচিত। সরকারের সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো রদবদলের প্রয়োজন হলে সরকার তা করতে পারে।”
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “শাপলা না দেওয়ার বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের একটা স্বেচ্ছাচারিতা। কারণ, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়া একটা বিষয় চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব, নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, ন্যায়বিচার করতে সক্ষম নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না, গায়ের জোরে পরিচালিত হচ্ছে। তখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। যদি আমাদের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে প্রস্তুত আছি।”
এনসিপি যাতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম করতে না পারে, সে উদ্দেশ্য থেকেই শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে, এ অভিযোগ করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক শক্তি এটা করছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়। আমরা কিন্তু কমিশন গঠনের শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, এই গঠনটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো?”
তিনি বলেন, “যারা ২০১৮ ও ২০২৪ এর নির্বাচন করেছে, নির্বাচন কমিশন কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা যখন বলেছি, কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তারা বলেছে যে, ‘আমরা তাদেরকে তওবা পড়িয়েছি এবং কিছু রদবদল করেছি।’ ফলে, ওই একই লোকদের নিয়ে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে, সে প্রশ্ন আমরা বার বার করেছি। আমরা দেখেছি, ওই সময়ের ডিসি কিংবা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু, তৃণমূলে যারা কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “এখন প্রতীক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে, আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না, তখন এটাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কার্যক্রম থামিয়ে রাখিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই চলছে। খুব শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। আমরা চাই, আগামী সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে চায়, সেই ধরনের মানুষগুলোকে আমরা উঠিয়ে আনতে চাই। প্রবাসীদের সমন্বয়ে, নারী ও সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা করতে চাই।”
এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি, জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি আমাদের জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ বা সংস্কার বিষয়ে কারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই জায়গা থেকে জোটের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। যদি সংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই দাঁড়াতে চাই।“
বাস্তবায়নের রূপরেখা ছাড়া জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই সনদ যেদিন স্বাক্ষর হয়, সেদিনই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি কেবলই একটা আনুষ্ঠানিকতা। কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরে এরকম ত্রিদলীয় রূপরেখা দেখেছিলাম, যেটা লোকদেখানো এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যাওয়া। এই ভুল আমরা করব না।”
“তবে আমরা বলেছি, আমরা স্বাক্ষর করতে চাই। এই সংস্কারের পুরো অগ্রযাত্রাতেই আমরা ছিলাম। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। স্বাক্ষর করার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, ঐক্যমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশটা দেওয়া হবে। আমরা বলেছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় দেখতে চাই। একটি হচ্ছে, নোট অব ডিসেন্ট বলে কোনো কিছু থাকবে না। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে অথবা ঐকমত্য কমিশন সংবিধান সংস্কারের জন্য যেসব বিষয় লিপিবদ্ধ করেছে, সেই বিষয়গুলো গণভোটে যাবে এবং জনগণ রায় দেবে সেই বিষয়গুলো পরিবর্তিত হবে কি না।”
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই ঘোষণা করতে হবে, উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশটা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এই আদেশের বা সংস্কারের ভিত্তিটা হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এই ধরনের সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যে প্রেসিডেন্ট আছেন চুপ্পু, তিনি এই আদেশ দিতে পারেন না। সেটা বৈধ হবে না, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বৈধতার জায়গা থেকে এই আদেশটি জারি করবেন। পরবর্তীতে যে সংসদ হবে, সেখানে একটা সংস্কার পরিষদ হওয়ার কথা, সেখানে এই সকল পরিবর্তিত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হবে। এগুলো যখন নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করব।”
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “আমরা বলেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এজন্য সকল পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে, তারা এককভাবেই সবকিছু করবে বা এই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই, সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।”
নির্বাচনের পক্ষে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দিতে হবে, দাবি করে তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচারের রোডম্যাপ দিতে হবে। সারা দেশে যে আট শতাধিক মামলা আছে, সেগুলোর কী হবে, তা জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনালে যে গুমের মামলা চলছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়েও চলমান থাকে, এ ধরনের প্রতিশ্রুতি সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে থাকতে হবে।”
জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দলের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয় ছিল। পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষের তো কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না।”
তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন সামগ্রিক ঐকমত্য কমিশনের আলাপটাকে ডাইভার্ট করেছে, মনোযোগটা অন্য দিকে সরিয়েছে। যেসব দল এই আন্দোলনে ছিল, আমরা তাদের আহ্বান করেছি সেটা থেকে সরে এসে সত্যিকার যে সংস্কার প্রয়োজন, সেটির ব্যাপারে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ কোনোদিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তারা বার বার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়।”
তিনি বলেন, “তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে— নির্বাচন যাতে না হয়, বাংলাদেশে যেন স্থিতিশীলতা না হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। তাই, ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা যেকোনো প্রকার ছাড় দিতে প্রস্তুত আছি। কারণ, আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা গেছে। কিন্তু, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে রয়ে গেছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী শ্রেণি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পর্যন্ত জামিন পেয়ে নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।”
জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়! সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের সকল গুম-খুনকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পাঁতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি না, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো দল। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।”
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ নেহাল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/রফিক