জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহকে (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তার স্ত্রী সামিরা হক ও খলনায়ক আশরাফুল হক ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান সোমবার এ আদেশ দেন। ডিএমপি প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) নাসির আহম্মেদ সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:

সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছে তা আমি জানি না: শাবনূর

ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে: সালমান শাহর মা

এর আগে গত ২২ অক্টোবর আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুল আলম খন্দকার তাদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। 

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর পর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। তবে, গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো.

জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন সালমান শাহর মামা মোহাম্মদ আলমগীর। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন—শিল্পপতি ও সাবেক চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুছি, খলনায়ক আশরাফুল হক, ডেবিট, জাভেদ, ফারুক, মে-ফেয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আব্দুস ছাত্তার, সাজু এবং রেজভি আহমেদ ফরহাদ। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, তরুণী গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করার পর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার তরুণীর নাম শেখ মিফতা ফাইজা (১৯)। তিনি নাটোর সদর থানার দিঘাপাতিয়া এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন চপল শেখের মেয়ে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে ফাইজাকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা  ও কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ দল।

এর আগে ফাইজার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাজশাহী নগরের সি অ্যান্ড বি মোড়ে অবস্থিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ফাইজা জুলাই আন্দোলন ও জুলাই যোদ্ধাদের উদ্দেশে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছেন। এরপর মোবাইল ফোন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বের করে তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।

মঙ্গলবার আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, ফাইজা ভিডিওটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রিল হিসেবে পোস্ট করেছিলেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়। পরে তানভির আহমেদ সুইট নামে এক ব্যক্তি ২৫ অক্টোবর বিষয়টি ডিবি পুলিশকে অবহিত করেন। ডিবি পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে কিন্তু ফাইজা কৌশলে পালিয়ে যান। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গাজিউর রহমান আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাইজা স্বীকার করেছেন, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তার ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তিনি রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এ ছাড়া তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতেন এবং টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক গ্রুপ তৈরি করে সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।এ ঘটনায় ফাইজার বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান গাজিউর রহমান।

ঢাকা/কেয়া//

সম্পর্কিত নিবন্ধ