দেশে স্বর্ণের দামে বড় পতন, ভরিতে কমল ১০৪৭৪ টাকা
Published: 28th, October 2025 GMT
দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২৭ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২৮ অক্টোবর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭০ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার, আর কমেছে মাত্র ২২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র দ ম ২২ ক য র ট র
এছাড়াও পড়ুন:
৪র্থ এলএফবি লিডারশিপ এক্সিলেন্স সামিট ২০২৫ আয়োজিত হচ্ছে নভেম্বরে
ঢাকাভিত্তিক একটি অরাজনৈতিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘লিডার্স ফোরাম বাংলাদেশ (এলএফবি)’ আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকার শেরাটন হোটেলে চতুর্থ এলএফবি লিডারশিপ এক্সিলেন্স সামিট ২০২৫ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। বহুল প্রতীক্ষিত এ অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এবং এতে ২৩টি বিভিন্ন শিল্প খাতের পাঁচ শতাধিক সিনিয়র করপোরেট লিডার, নীতিনির্ধারক ও পেশাদার ব্যক্তি অংশগ্রহণ করবেন। এবারের সামিটের সহযোগী অংশীদার হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে যমুনা টিভি।
কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ১৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে লিডারশিপ এক্সিলেন্স অর্জনের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠেছে এলএফবি। সংগঠনের পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়ে এই ফোরাম তার সুপরিকল্পিত লক্ষ্য—‘স্ব-উন্নয়ন ও সমাজের কাছে দায়বদ্ধতা’–এর অধীন নেতৃত্বের দক্ষতা তৈরি করা, পরামর্শদানকে উৎসাহিত করা এবং করপোরেট ইকোসিস্টেমকে সক্রিয় করার মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত করেছে।
‘নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই জন্ম’—এই মূলমন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়ে এলএফবি বিভিন্ন শিল্প খাতে নেতৃত্বের বিকাশ, দক্ষতা তৈরি ও পারস্পরিক সহযোগিতাকে আলোকপাত করার কাজকে অব্যাহত রেখেছে। সংগঠনটি গভীরভাবে বিশ্বাস করে, ‘শিক্ষা কখনোই শেষ হয় না এবং নেতৃত্ব কখনই মরে না’।
এ উৎসব দূরদর্শী করপোরেট লিডার এবং ব্যবসায় ও সমাজে তাদের প্রভাবকে উদ্যাপন করে। ২০২৫-এর সংস্করণটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নেতৃত্বের উন্নয়নে তাদের ভূমিকার জন্য শীর্ষস্থানীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবন ও টেকসই করপোরেট প্রবৃদ্ধিকে আলোকপাত করবে, যা আঞ্চলিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করবে।
এই সামিট ছাড়া এলএফবি ‘ইয়ং লিডার্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’, ‘ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ’, ‘লিডার্স ক্যাফে’ ও ‘স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলবিং প্রোগ্রাম’-এর মতো বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী উদ্যোগ চালু করেছে। এরই মধ্যে এ বছর সংগঠনটি গুলশান-১–এ ‘এলএফবি লিডার্স ক্লাব হাউস’ খুলেছে, যা নেটওয়ার্কিং ও করপোরেট যোগাযোগের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ কেন্দ্র।
এলএফবি যখন আরও ব্যাপক বৈশ্বিক সহযোগিতার দিকে তার দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, তখন আসন্ন এ সামিট একটি মাইলফলক হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে, যা একই ছাদের নিচে বড় বড় করপোরেট ব্যক্তিত্বকে একত্র করবে। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে, চতুর্থ লিডারশিপ এক্সিলেন্স সামিট ২০২৫ আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি করপোরেট ল্যান্ডস্কেপ গড়ে তুলতে লিডারদের অনুপ্রাণিত, সংযুক্ত ও ক্ষমতায়নের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।