মওদুদ আহমদ হতে পারতেন স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির ‘ভূমিপূত্র’। আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আইনজীবী, তারপর তাঁর সচিব, জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, এরশাদ আমলে উপরাষ্ট্রপতি—ঐতিহাসিক সংশ্লিষ্টতায় ঈর্ষণীয় এক ক্যারিয়ার তাঁর। কিন্তু রাজকাহিনিতে প্রিয় পুত্র যেমন ত্যাজ্যপুত্র হয়, তেমনি তাঁর কপালেও জুটেছিল প্রিয় থেকে অপ্রিয় হওয়ার ঘটনা। সম্প্রতি প্রথমা প্রকাশন থেকে বের হওয়া মওদুদ আহমদের আত্মজীবনী চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা ১৯৯১ থেকে ২০১৯ বইটি এসবেরই এক অম্লমধুর ধারাবিবরণী।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং এরপর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যক্ষদর্শীর এক মহাবিবরণী যেন তাঁর আত্মজীবনীর শেষ পর্ব। শুরুতে যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবিভক্ত ভারতের কলকাতার স্মৃতি পাওয়া যায়। খিদিরপুর ডকে দেবেন্দ্র ম্যানশনে থাকার সময় জাপানিদের বোমাবর্ষণের স্মৃতি আর বইটি শেষ করেছেন শেখ হাসিনার শাসনামলের বর্ণনা দিয়ে।

চিন্তাচর্চায় স্বতন্ত্র

মওদুদ আহমদের জীবন ও সমসাময়িক কাল ও স্থান সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণা ছিল এবং তা মেনেই তিনি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করেছেন। তাঁর এই অনুশীলনের কেন্দ্রে ছিল দেশ ও দেশের মানুষ। অনেক রাজনীতিক ও আমলাকে দেখা যায়, অবসরে যাওয়ার পর তাঁরা লেখালেখিতে ব্যস্ত হন। আইন ও রাজনীতি পেশার অন্তর্গত বৈশিষ্ট্য মেনে তিনি অবসর নেননি।

মওদুদ আহমদের প্রথম বইয়ের প্রকাশকাল বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও পেশাজীবনের অভিজ্ঞতাকে লেখায় অনুবাদ করেছেন মধ্যজীবন থেকে। লেখালেখি তাঁকে অন্য রাজনীতিকদের চেয়ে পৃথক করেছে।

রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী মওদুদ আহমদ তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় সক্রিয় ছিলেন চিন্তাচর্চাকারী হিসেবে, যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জীবনব্যাপী যা কিছু লিখেছেন, তা বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে বলা যায় ‘বাংলাদেশের রাজনীতির ধারাভাষ্যকার’।

মওদুদ আহমদের একাধিক বইয়ের সঙ্গে অনুসন্ধানী পাঠক তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর শেষ বইটিকে আলাদা করতে পারবেন। কারণ, এখানে তিনি পাঠককে তাঁর একান্ত ব্যক্তিজীবন সম্পর্কেও জানাতে চেয়েছেন। এর আগে তাঁর অন্য লেখার প্রধান ক্ষেত্র ছিল রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনীতি। আর শেষ বইতে তিনি ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে জড়িত ইতিহাসের ওপরও আলো ফেলেছেন।

আত্মজীবনীর ‘অস্বস্তি’

আত্মজীবনী কখনো কখনো অস্বস্তি উৎপাদন করে। যে কারণে অনেকেই জীবদ্দশায় এর প্রকাশ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকেন না। অছিয়ত করে যান, মৃত্যুর পর প্রকাশের। মওদুদ আহমদ তাঁর এই বই প্রথমা প্রকাশনকে দেওয়ার আগে আরও দুটি প্রকাশনীর কাছে দিয়েছিলেন। ‘ঝুঁকি’ বিবেচনায় তাঁরা অপারগতা দেখায়; কিন্তু প্রথমা এ ব্যাপারে সাহসিকতা ও পেশাদারত্ব দেখিয়ে তা প্রকাশের দায়িত্ব পালন করেছে। তবে বিপুলায়তন বইটির নির্ঘণ্ট যুক্ত হলে তা আরও পূর্ণতা পেত।

২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় হয় মওদুদ আহমদের বাংলাদেশ: ইমার্জেন্সি অ্যান্ড দ্য আফটারম্যাথ: ২০০৭-২০০৮ বইটি। এতে তিনি ‘এক-এগারো’র সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে লিখেছেন। আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের অভাব নিয়ে।

মওদুদ আহমদের এমন পর্যবেক্ষণে তাঁর দলেরই নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মওদুদ বলেন, ‘সমস্ত বইয়ে চেষ্টা করেছি বস্তুনিষ্ঠভাবে দেশের ইতিহাস তুলে ধরতে। আমি তো এই বই বর্তমানের জন্য লিখিনি। এটা তো ভবিষ্যতের জন্য লিখেছি।’ (প্রথম আলো, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪)

মওদুদ আহমদের এই আত্মজীবনীর ব্যাপ্তি প্রায় আট দশক। তিনি তুলে এনেছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা চরিত্র ও ঘটনা। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিল রাজনীতি ও আইন পেশা। স্বভাবতই এই দুটি বিষয় তাঁর আত্মজীবনীর বেশ বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। অন্য বিষয়গুলো তিনি কেবল ছুঁয়ে গেছেন।

এর আগে তাঁর লেখা আ স্টাডি অব পলিটিক্যাল অ্যান্ড মিলিটারি ইন্টারভেনশন ইন বাংলাদেশ বইটি নিয়েও ২০১৩ সালে তাঁর দলের মধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মওদুদ আহমদ। ওই সময় বইটির অংশবিশেষ আলোচনায় এনে তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল দলের নিজের একটি অংশ।

অন্য অনেক রাজনৈতিক নেতার কপটতার বিপরীতে মওদুদ আহমদ তাঁর লেখালেখিতে অন্তত অকপট ছিলেন—রাজনীতিসচেতন পাঠকেরা এমনটাই বলে থাকেন। চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা ১৯৯১ থেকে ২০১৯ বইটিও ব্যতিক্রম নয়।

অখণ্ড সময়ের খণ্ড স্মৃতিচিহ্ন

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও লেখকদের একটি সাধারণ প্রবণতা হলো, আন্দোলন–সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, ঘটনা ও বিশ্লেষণে বিশেষ কোনো ব্যক্তি কিংবা নিজের ভূমিকাই প্রকট হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে আমরা কদাচ ভারসাম্য দেখি। আর আত্মজীবনী হলে আমিত্বকে দূরে রাখা যায় না; বরং সেটিই চালক হয়ে ওঠে। তবে মওদুদ আহমদ তাঁর এই ব্যক্তি ও সমষ্টির মধ্যে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছেন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত সব বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে মওদুদ আহমদ অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছিলেন। এ ছাড়া একজন কৃতবিদ্য আইনবিদ ও সংবিধানবেত্তা হিসেবে তিনি সমকালীন বিশ্ব, সমাজ, রাজনীতি ও উন্নয়ন চিন্তা–সম্পর্কিত নানা বইয়ের নিয়মিত পাঠক ছিলেন তিনি। চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা ১৯৯১ থেকে ২০১৯ বইটি পড়লে পাঠকেরা সেগুলোর একটি দারুণ অভিজ্ঞতা পাবেন।

বিখ্যাত সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতোই জেলজীবন ও মুক্তজীবনের মধ্যে শাটল কর্কের মতো আসা-যাওয়া ছিল মওদুদ আহমদের। ১৫ বছর বয়সে প্রথম তিনি জেলজীবন বরণ করেন; সেটি ছিল বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অব্যবহিত পর একুশে ফেব্রুয়ারি কর্মসূচিতে পতাকা উত্তোলনের জন্য।

মওদুদ আহমদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র জন ত র জন ত ক র জন য ন র জন প রক শ স বস ত জ বন র কর ছ ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

বাতিল হচ্ছে ১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের প্রকাশিত গেজেট তালিকা থেকে ১২৮ জুলাই যোদ্ধার নাম বাতিল করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হননি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় গেজেট তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে।

গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন, সিলেট বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ৩ জন, ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহীর ১৩ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জনসহ মোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।

এর মধ্যে গেজেটে দ্বৈততায় কারণে ২৩ জন এবং আহত নন অথবা আন্দোলনে সম্পৃক্ত নন, এমন ১০৫ জনের গেজেট বাতিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গেজেট বাতিল করা ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন হলেন নেত্রকোনার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮০, মোহাম্মদ নুরুল আমিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৮, তানভীর আহমেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২১, কাজী আবুল বাশার সুমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২৩, রুহুল আমিন শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২৭, অমি হাসান রুপম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২৯, মোহাম্মদ আকিব তালুকদার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৪৬, সুজন মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৫৫, মো. ইমন শাহারিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৬৫, আশরাফুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট ১৭২, মুশফিকুর রহমান শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৭, মো. সজিব, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৮, সোহাগ মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৯, রুবেল, শ্রেণি-ক, গেজেট নম্বর ৩৬২, মো. জসিম উদ্দিন, শ্রেণি-ক, গেজেট নম্বর ৩৬৩, রাব্বি হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬৫, মো. আজহারুল ইসলাম বিপ্লব, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬৬, আবু ফরিদ আহামেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬৭, আফরিনা জান্নাত, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৭০, মাজহারুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৪৮, ময়মনসিংহ জেলার আবু নাঈম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৮৭।

গেজেট বাতিল করা চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন হলেন চট্টগ্রাম জেলার মো. সাগর, শ্রেণি-খ, গেজেট নম্বর ৩২৮, আবদুল্লাহ আল নোমান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৬৯, নাঈম উদ্দীন সাইদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৯২, মোহা. শরিফুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর-৫১৫, শাহাদাত ইকরাজ তাহনি, শ্রেণি-গ গেজেট নম্বর ৫২১, তাহমিনা ইকরাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫২২, মাহিবী তাজওয়ার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৩৪, জসিম উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৪২, মো. আতিকুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৫২, মো. ইয়াছিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬০, আরফাতুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৯৫, ফরহাদ আলম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬০১, মোহাম্মদ সাজ্জাদ কবির এমরান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬০৩, মুনতাসিরুল হক চৌধুরী মামুর, শ্রেণি–গ, গেজেট নম্বর ৬১৬, পবন চন্দ্র নাথ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬২২, মিশকাত আলম রিয়াদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৭৫, মো. এমরান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭১৭, মোহাম্মদ সাগর, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৬৮, নূরুল্লাহ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৮৯, মোহাম্মদ রাফি, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৯৯, ফয়সাল মোহাম্মদ শিহাব, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮০২, ইছনিয়া আকতার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮২৪, মো. মাঈনুদ্দীন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর-৮২৫, সাইমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৭৩, মো. আরিফ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৭৬, রাসেল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৮৬, রমজান আলী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৮৭, মাহিম চৌধুরী, শ্রেণি–গ, গেজেট নম্বর ১৯৯১, রিফাত বিন আল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৯৯, লক্ষ্মীপুর জেলার মো. হাছান, শ্রেণি-ক, গেজেট নম্বর ২৫৮, আবু জুহামুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৮৮১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. তানভির হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর-৪৩৭, চাঁদপুর জেলার মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১০৪৮, নোয়াখালী জেলার শেখ মো. রাশেল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১০৬৮, মো. জসিম উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১০৭৮, মো. বেলায়েত হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১০০, মো. গিয়াস উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৬৩, মো. নাজিম মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৮১, মো. ইমাম হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৮২।

গেজেট বাতিল করা বরিশাল বিভাগের দুজন হলেন পিরোজপুর জেলার আলী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৩, বরিশাল জেলার নাঈম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৩০।

গেজেট বাতিল করা সিলেট বিভাগের ২৬ জন হলেন মৌলভীবাজার জেলার মো. আজমল আলী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২, নুর ইসলাম আহমেদ সুজন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৫, মাহমুদুল হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৬, তামিম আহমদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪০, মিনহাজুর রহমান রিমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪১, দেলোয়ার আহমেদ সেলিম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৬, মো. রিয়াদ মাহমুদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৯, মো. আরিফুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০, শেখ মো. মাহফুজুর রহমান মাহিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫১, জমির মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫২, মো. রায়হান চৌধুরী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৪, মো. রুমান আহমেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৫, হুমায়ুন আহমদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬, তানবির মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৭, নবিবুর রহমান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৯, জিসাম হোসেন রাহী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৩, ইমাদ উদ্দিন আহমেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮০, মো. আলী হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৯, তারেকুল ইসলাম তারেক, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৯০, মো. সুমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৯১, নাঈম আহমদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৯০৬, সিলেট জেলার ফখরুল হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৫৬, সুনামগঞ্জ জেলার মো. রুহুল আমিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৪৫, মোফাজ্জল হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৯১, মো. আফতাব উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৭১, আল-হেলাল মো. ইকবাল মাহমুদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৮৫, মো. মোবারক হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬০১।

ঢাকা বিভাগের ১৪ জন হলেন গাজীপুর জেলার রাসেল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৭০, জিহাদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৪১৩, মো. শাহিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৩৩, মোছা. রুমি, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৪৩১, টাঙ্গাইল জেলার খন্দকার রাজ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১০৬৩, রাফিউল নাঈম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৬১, রাশিদুল ইসলাম অনিক, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৬৩, আব্দুল্লাহ আল রাহাত, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৬৬, নরসিংদী জেলার মো. মঞ্জুমুল আলম জিসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৩২, মাদারীপুর জেলার মো. সাইফুল ইসলাম শুভ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৬৮২, মুন্সীগঞ্জ জেলার মুহাম্মদ রিয়াজুল হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৮৩৮, বেলায়েত হোসেন শাহিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৮৩৯, রাজবাড়ী জেলার মজিবর মৃধা, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৯৬৪, কিশোরগঞ্জ জেলার মো. মাসুদুর রহমান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৪৫, ঢাকা জেলার মো. মিরাজ শরীফ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৪৮২।

গেজেট বাতিল করা রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন হলেন পাবনা জেলার মো. সোহেল রানা, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৯৭, বগুড়া জেলার মো. সজিব আহমেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৮৪, রশিদা, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৮৯, নিরব কুমার দাস, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৪৭, রাজশাহী জেলার মো. মেহেদী হাসান অমি, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৬০, মো. নাঈম উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৮০, মো. সাইফুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৯৬, মেহেদী হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৮৯, পলাশ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮০৩, মো. জাহিদ হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৩৪, সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রী দিপ্ত কুমার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৬২, মো. আলামিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৬৪, মো. মহিউদ্দিন সরকার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৭৭।

খুলনা বিভাগের ৯ জন হলেন কুষ্টিয়া জেলার মো. বদিউজ্জামান বাবুল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৮১, মো. ইয়াছিন আহমেদ পাভেল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৯৮, মো. জিয়াউল মালিক, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০৬, মাহাবুল হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২১৩, মো. জুয়েল আক্তার জয়, শ্রেণি-ক, গেজেট নম্বর ৫০৫, খুলনা জেলার মো. মিনারুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০১, মো. সোহেল, শ্রেণি-খ, গেজেট নম্বর ৫০৮, মো. মিন্টু হাওলাদার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০৮, খালিদ শামস প্রান্ত, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০৯।

গেজেট বাতিল করা রংপুর বিভাগের তিনজন হলেন দিনাজপুর জেলার মো. সুমন হোসেন, শ্রেণি-খ, গেজেট নম্বর ৭৪৫, লালমনিরহাট জেলার মো. রাসিফুল ইসলাম প্রধান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২৯৫, ঠাকুরগাঁও জেলার সুমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৮৮।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব জুলাই যোদ্ধা প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং যাঁরা তাদের তালিকাভুক্ত করতে সহায়তা করেছেন ও বেআইনিভাবে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাতিল হচ্ছে ১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট
  • সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময় বাড়ল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত
  • সিরাজগঞ্জে কারাগারে আ.লীগ নেতা বাচ্চুর মৃত্যু 
  • অস্ত্র মামলায় সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়াইনস্টিনকে নিজ বাড়িতে নিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অ্যান্ড্রু
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অবিলম্বে গণভোট দিতে হবে- খেলাফত মজলিস
  • একাধিক প্রার্থী বাছাই করে রাখলেও ঐক্যে জোর দিচ্ছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
  • অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশনরত রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৫ শিক্ষ
  • এক আসনে একাধিক প্রার্থী বাছাই করে রাখছে বিএনপি