মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফযুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজ আনাস বিন আতিক (১৪) প্রথম স্থান অধিকার করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

গত ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনু‌ষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় মিশরের প্রতিযোগীদের পাশাপাশি বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রথম স্থান অর্জন করায় আনাসকে ৬ লাখ মিশরীয় পাউন্ড (প্রায় ১৭ লাখ টাকা) ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য হাফেজ আনাস বিন আতিককে গত ৭ অক্টোবর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ কর্তৃক অভিজ্ঞ বিচারকমন্ডলীর মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। আনাস বিন আতিক ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আতিকুর রহমান ও নাছিমা রহমান দম্পতির সন্তান। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবুল হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি রায় সাহেব মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদলের খুনীরা আমার ভাইকে খুন করেছে। আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আর খুনের রাজনীতি চলবে না। কিন্তু ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আবার সেই খুন–চাঁদাবাজির রাজনীতি শুরু করেছে।”

একই বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিন সাদাত বলেন, “মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে একজনকে খুন হতে হলো। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।”

২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, “ছাত্রদল আবার হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের মধ্যকার মাদক–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন শিক্ষার্থীকে প্রাণ দিতে হলো। আজ তেজগাঁও কলেজে হয়েছে, কাল অন্য ক্যাম্পাসে হবে—অথবা আমাদের ক্যাম্পাসেও হতে পারে। আমরা চাই না ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে আবার হত্যা–রাজনীতি ফিরে আসুক।”

উল্লেখ্য, এর আগে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হন উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪-২৫ সেশনের সাকিবুল হাসান রানা নামে এক শিক্ষার্থী। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢাকা/লিমন/জান্নাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ