ডেঙ্গুতে চলতি বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। আর এখন পর্যন্ত আক্রান্ত এক লাখের কাছাকাছি। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। এ বছর ডিসেম্বর মাসের অর্ধকে সময় না যেতেই সংক্রমণের সংখ্যা গত বছরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ জন আর এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১১ জন।

আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৬৯ জন। দুই সিটির বাইরে চট্টগ্রাম বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৬১। সব মিলিয়ে এবার এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ৯৯ হাজার ৪৯৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০৪ জন।

চলতি বছর গত নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণ হয়। গত বছর নভেম্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যু হলেও সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল অক্টোবর মাসে। তবে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। তবে এ বছর এই মাস, অর্থাৎ ডিসেম্বরে সংক্রমণ গত বছরের মতো দ্রুত না–ও কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, নভেম্বর মাসে যে বৃষ্টি হয়েছিল, তার কারণে এ মাসের অন্তত মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক এডিস মশা টিকে থাকবে। এর পাশাপাশি মশা নিধন ও পরিস্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় নয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডেঙ্গুর আক্রমণ বেশি পরিমাণে কমার জন্য আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

২০০০ সালে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ছিল। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা যান ২০২৩ সালে। সে বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন লাখের বেশি মানুষ, মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম বর ম স স ক রমণ গত বছর হয় ছ ল বছর র ত বছর

এছাড়াও পড়ুন:

আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস

মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফযুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজ আনাস বিন আতিক (১৪) প্রথম স্থান অধিকার করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

গত ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনু‌ষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় মিশরের প্রতিযোগীদের পাশাপাশি বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রথম স্থান অর্জন করায় আনাসকে ৬ লাখ মিশরীয় পাউন্ড (প্রায় ১৭ লাখ টাকা) ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য হাফেজ আনাস বিন আতিককে গত ৭ অক্টোবর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ কর্তৃক অভিজ্ঞ বিচারকমন্ডলীর মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। আনাস বিন আতিক ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আতিকুর রহমান ও নাছিমা রহমান দম্পতির সন্তান। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ