ঢাকার মোহাম্মদপুরে স্বর্ণালংকার ও মালামাল চুরি করে পালানোর সময় ধরে ফেলায় গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজা ও তার মেয়ে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজকে গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার হত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার আয়েশাকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়ারচর থেকে স্বামী জামাল সিকদারসহ (২৫) গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

সোমবার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে লায়লা ফিরোজ এবং তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে আয়েশাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুল শিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছিলেন, গৃহকর্মী আয়েশা মাত্র চার দিন আগে কাজ শুরু করেছিলেন।

ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গৃহকর্মী আয়েশা সকালে বোরকা পরে বাসায় আসেন এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে নিহত নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যান। লায়লা ফিরোজের শরীরে ৩০টির বেশি এবং নাফিসার গলায় ৪টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদপ র গ হকর ম

এছাড়াও পড়ুন:

খোকসায় যুবককে গুলি করার পর কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় পাপ্পু বিশ্বাস (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি করার পর ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। 

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের জিকে খালের কাজীর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পাপ্পু বিশ্বাস একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তাকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পর ওসমানপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় পাপ্পু মোটরসাইকেল চালিয়ে উপজেলা শহরের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। ওসমানপুর গ্রামের জিকে খালের কাজীদের ব্রিজের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে তারা। 

পাপ্পু গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা পাপ্পুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

পাপ্পুর বাবা ওয়াজেদ আলী বলেন, “প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। দুটি গুলি পায়ের এক দিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। একটি গুলি হাঁটুর মধ্যে আটকে আছে। এছাড়া দুই হাত, পেট ও গলায় ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়েছে তারা।”

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, “গুলিবিদ্ধ যুবককে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এখানেই চিকিৎসা দেওয়া যাবে।”

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন বলেন, “পাপ্পু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা জানার পর থেকে ওসমানপুরে পুলিশের একটি বড় টিম অভিযান পরিচালনা করছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ