তারেক রহমান ১০ দিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন: এ্যানি
Published: 11th, December 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ১০ দিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
চিকিৎসা নিতে পারছেন খালেদা জিয়া, গুজব ছড়াবেন না: জাহিদ
যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান
এ্যানি বলেন, “আগামী দুই–চারদিন অথবা ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। নির্বাচনে অংশ নেবেন। দেশের নেতৃত্বে দেবেন। সেই অপেক্ষায় রয়েছি।”
খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থার জন্য কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “গত ১৭ বছর হাসিনার অত্যাচার-নির্যাতনে বেগম খালেদা জিয়ার এখনকার এই অবস্থা। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। শুধু তাই না, যে খাবারগুলো খেতেন, সেগুলোতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন। সুস্থ মানুষ জেলে গেছেন। সেখান থেকে অসুস্থ হয়ে বের হয়েছেন। এটার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।”
দলের চেয়ারপারসন সম্পর্কে এ্যানি বলেন, “খালেদা জিয়া বর্তমান মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তিনি এত বেশি অসুস্থ, আল্লাহ জানেন কবে নাগাদ তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভীত শক্তিশালী থাকা। খালেদা জিয়া আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস। ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের পাশে আছেন– এটা আমাদের শক্তি।”
অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এবারের নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশের রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি। গুণগত পরিবর্তন করতে হবে, তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়– কে তাদের নেতা হবে, কে নেতৃত্বে দেবে?”
এ্যানি বলেন, “বর্তমানে নারীরা দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ বদলে গেছে। এখন আর দেশ আগের জায়গায় নেই। বাসায় বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। আপনাদের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন ও জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
এএমএল আবারো স্পটলাইটে
ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ দু’টি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এএমএল আবারো দক্ষিণ এশিয়ার বিজ্ঞাপনী বাজারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। এ বছর এএমএল ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া ডিজিটাল ইনোভেশন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটেগরিতে এবং ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া মিডিয়া এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটেগরিতে দু’টি ব্রোঞ্জ অর্জন করেছে।
নব্বই দশকের শুরু থেকে ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অ্যাডভার্টাইজিং, কমিউনিকেশন, মিডিয়া এবং ডিজিটাল ইনোভেশনের সেরা সাফল্যগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। শুধু সৃজনশীল কাজই নয়—দূরদর্শী নেতৃত্ব, অপারেশনাল দক্ষতা এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পারফর্ম্যান্সও এই পুরস্কারের বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই বছরের স্বীকৃতিগুলো এএমএল-এর ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন এবং মিডিয়া এফেক্টিভনেস—উভয় ক্ষেত্রেই ধারাবাহিক অগ্রযাত্রার প্রমাণ। ডাটা-ভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি, ভবিষ্যত-উপযোগী সমাধান এবং ক্রমবর্ধমান ভোক্তা আচরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এএমএল তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য বাস্তবধর্মী সাফল্য নিশ্চিত করে আসছে।
বিগত বছরগুলোর পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে এএমএল তাদের সাবমিশন প্রস্তুত করে—যেখানে এজেন্সির ভিশন, ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান, সাসটেইনেবল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং ক্লায়েন্টদের জন্য অর্জিত সাফল্যগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনীতির পরিবর্তিত বাস্তবতায় ব্র্যান্ডগুলোর দ্রুত ট্রান্সফর্মেশন সহজ করতে এএমএল-এর স্ট্র্যাটেজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতামূলক কাজ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
যদিও এটা এএমএল-এর প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়, তবু প্রতিটি অর্জনই পুরো দলের জন্য বিশেষ গর্বের। এই পুরস্কারগুলো প্রতিষ্ঠানটির সকল সদস্যের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের প্রতিফলন, পাশাপাশি অংশীদার ও ক্লায়েন্টদের অবিচল আস্থার ফল।
এএমএল তাদের সকল ক্লায়েন্ট, সহযোগী এবং অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে—যাদের বিশ্বাস ও সমর্থনই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি বছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
ঢাকা/ইভা