পসরা সাজিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিলছে তাৎক্ষণিক ঋণসুবিধাও
Published: 11th, December 2025 GMT
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে শুরু হয়েছে ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। এবারের মেলায় মোট ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন ঋণের স্কিম বা সুবিধা নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে।
ক্ষেত্রবিশেষে এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২ লাখ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দিচ্ছে। ঋণের বিপরীতে উদ্যোক্তাদের ৪ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হবে। মেলায় কিছু ব্যাংক তাৎক্ষণিক ঋণসেবা দিচ্ছে। এই ঋণ যে মেলা থেকেই দেওয়া হচ্ছে, তা নয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা দেওয়া হচ্ছে।
৭ ডিসেম্বর রোববার এই মেলা শুরু হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনে কেন্দ্রে এই মেলা হচ্ছে।
সিটি ব্যাংক
এসএমই পণ্য মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচ ধরনের ঋণ নিয়ে এসেছে সিটি ব্যাংক। সিটি ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাইক্রো ঋণের আওতায় জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন উদ্যোক্তারা। জামানতসহ ঋণ নেওয়া যাবে ৫ কোটি টাকা।
স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের জন্য আছে সিটি স্টার্টআপ লোন সেবা। এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্টার্টআপ তহবিল থেকে কোনো স্টার্টআপ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। সে জন্য উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। স্টার্টআপে নিজেদের বিনিয়োগ থাকতে হবে ৩০ শতাংশ।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদাভাবে রয়েছে সিটি আলো ঋণসেবা। এই সেবার আওতায় জামানত ছাড়া দেড় কোটি টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। ৫ শতাংশ সুদে একজন নারী উদ্যোক্তা ১ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন ঋণ পেতে পারবেন। ঋণের জন্য ১ থেকে ২ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সিটি ব্যাংকের ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিলেশনশিপ ম্যানেজার চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের স্টলে ৭০ থেকে ৮০ জন উদ্যোক্তা ঋণ নেওয়ার আগ্রহ নিয়ে আসছেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আমরা ৫ শতাংশ সুদে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ দিচ্ছি। কৃষি ঋণের ক্ষেত্রেও সুদের হার তুলনামূলক কম। তবে জামানতবিহীন ঋণ পেতে উদ্যোক্তার ব্যবসার সম্ভাবনা ও নগদ অর্থের প্রবাহ বিবেচনা করা হয়।’
ব্র্যাক ব্যাংকের স্টলে একজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলছেন কর্মীরা।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উদ য ক ত দ র স ট র টআপ র জন য ঋণস ব
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো বন্দুক হামলা, শিক্ষার্থী নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি আবাসিক হলে বন্দুকধারীর এলোপাথাড়ি গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহত এবং আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
আরো পড়ুন:
ইউরোপীয় নেতাদের ‘দুর্বল’ বলে সমালোচনা করলেন ট্রাম্প
ওমরাহ পালন করতে সৌদিতে জায়েদ খান
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পরেই সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একই এলাকায় চার মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় গুলিবর্ষণের ঘটনা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ফ্রাঙ্কফোর্টের সহকারী পুলিশ প্রধান স্কট ট্রেসি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবারের গুলিবর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন কেনটাকি স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র নয়। ট্রেসি বলেন, পুলিশ দ্রুত গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাড়া দিয়েছে।
তিনি বলেন, “ফ্রাঙ্কফোর্ট পুলিশ বিশ্বাস করে যে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসে কোনো সক্রিয় নিরাপত্তা উদ্বেগ নেই।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবাসিক হলে গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ করছে না।
কেনটাকি স্টেট ইউনিভার্সিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের জন্য কাউন্সেলিংসহ সম্ভাব্য সব সহায়তা প্রদান করছি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্স-এ পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, “গুলি চালানো একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হচ্ছে এবং কোনো চলমান হুমকি নেই।”
তিনি বলেন, “আমাদের কমনওয়েলথ বা দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আসুন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও আমাদের কেএসইউ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনা করি। আসুন এমন একটি পৃথিবীর জন্যও প্রার্থনা করি যেখানে এই ঘটনাগুলো না ঘটে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তথ্যানুসারে, সপ্তাহের বাকি সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, ফাইনাল পরীক্ষা ও ক্যাম্পাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, “শিক্ষার্থীরা যদি ইচ্ছা করে বাড়ি ফিরে যেতে পারে। অতিরিক্ত নির্দেশিকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জানানো হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি কফি সি আকাকপো এটিকে ‘অর্থহীন ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিন বলেন, “আমরা আমাদের একজন ছাত্রের মৃত্যুতে শোকাহত। একজন অভিভাবক হিসেবে আমি কল্পনাও করতে পারি না যে, আজ আমি অভিভাবকদের কাছে যে ফোন করেছি তা পাব।”
এর আগে গত ১৭ আগস্ট, একই আবাসিক হলের কাছে কেউ একজন গাড়ি থেকে একাধিক গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে দুজন আহত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তথ্যানুসারে, হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল না।
কেনটাকি স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাপিটল ভবন থেকে প্রায় ২ মাইল (৩.২ কিমি) পূর্বে অবস্থিত।
ঢাকা/ফিরোজ