পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে কমছে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহও। টানা পাঁচ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করলেও এবার তা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে। যা মৌসুমের সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ। 

আরো পড়ুন:

পঞ্চগড়ে আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

আজও পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে

গতকাল বুধবার একই সময়ে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা যায়। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগও। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা উপেক্ষা করে নিম্নআয়ের মানুষদের মাঠে-ঘাটে বের হতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট, বাড়ির সামনে কিংবা চা-স্টলের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। অনেকেই গায়ে অতিরিক্ত কাপড় জড়িয়েও কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। শিশু, বয়স্ক ও রোগীদের ওপর তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রভাব বেশি পড়ছে। দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের সংকটে রয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঘরে নেমেছে। 

তিনি বলেন, “তাপমাত্রার পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ডিসেম্বরেই তাপমাত্রা আরো কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।”

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫ ফুট গভীরেও শিশু সাজিদকে পাওয়া যায়নি

রাজশাহীর তানোরে ৩০-৩৫ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে। গতকাল বুধবার রাতভর উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ১৬ ঘণ্টার চেষ্টার পরও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় উদ্ধারকাজ চলছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ