মোহাম্মদ সালাহর ওপর সৌদি লিগের ক্লাবগুলোর চোখ অনেক দিন ধরেই। এর আগে সালাহকে নিয়ে আল ইত্তিহাদসহ একাধিক ক্লাবের আগ্রহের কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু লিভারপুলের সঙ্গে সালাহ এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা বিবেচনাও করেননি। এমনকি এ জন্য সৌদি লিগে ৮ হাজার কোটি টাকা আয়ের সুযোগও ফিরিয়ে দিতে দ্বিধা করেননি সালাহ।

এর মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিলে লিভারপুলের সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তিও নবায়ন করেন সালাহ। এই চুক্তির কারণে সৌদি ক্লাবগুলোর মিসরীয় তারকাকে পাওয়ার আশা আরও ম্লান হয়। কিন্তু গত কয়েক দিনে সালাহ–লিভারপুলের দ্বন্দ্বের ঘটনায় সৌদি ক্লাবগুলোর সালাহকে পাওয়ার আশা নতুন করে জেগে উঠেছে। ক্লাব ও কোচের বিরুদ্ধে সালাহর বিদ্রোহকে কাজে লাগিয়ে ফের মাঠে নামতে চাইছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলো।

সম্প্রতি বাজে ফর্মের বৃত্তবন্দী লিভারপুল দলের একাদশে জায়গা হারান সালাহ। প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ম্যাচে তাঁর জায়গা হয়েছে বেঞ্চে। যেখানে দুই ম্যাচে বদলি নামার সুযোগও হয়নি তাঁর। এর জেরে লিডস ইউনাইটেডের সঙ্গে লিভারপুলের ৩–৩ গোলে ড্রয়ের পর রীতিমতো বিদ্রোহ করে বসেন সালাহ।

আরও পড়ুনসালাহ বললেন, ‘আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে’০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সালাহ দাবি করেন, ক্লাবের ব্যর্থতায় তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে পড়ার কথাও নিশ্চিত করেন এই ফরোয়ার্ড। একই সঙ্গে জানুয়ারিতে ক্লাব ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখেন তিনি। সালাহর এমন মন্তব্য সহজভাবে নেয়নি ক্লাব ও কোচ।

ভেঙে পড়েছে সালাহ–স্লটের সম্পর্ক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘জায়েদ খান’ চরিত্রে ইমরান হাসো

নোয়াখালী অঞ্চল ও ভাষাকে কেন্দ্র করে নির্মিত ফ্যান্টাসিমূলক দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ এর সম্প্রচার শুরু হয়েছে গ্লোবাল টিভিতে। অরণ্য আনোয়ারের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত এই সিরিজ দেখা যাচ্ছে প্রতি শনিবার থেকে মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। 

সিরিজটিতে নোয়াখালীর প্রাচীন মিথ, লোককথা ও জনপ্রিয় ফ্যান্টাসিকে আধুনিক গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে নতুনভাবে। রয়েছে—‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ নামের নভোযান, চাঁদে নোয়াখালীর বুড়ির কাহিনি, এমনকি ‘নোয়াখালী স্বাধীন দেশ’ হলে ইউরোপের মতো সমৃদ্ধ হওয়ার কল্পগাথা—সব মিলিয়ে এক অভিনব ও ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা। 

আরো পড়ুন:

‘খুকুমণির’ বিয়ে

রাজবাড়িতে বসবে মধুমিতার বিয়ের আসর!

ধারাবাহিকে রাজশাহীর ছেলে ‘জায়েদ খান’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সময়ের ব্যস্ততম অভিনেতা ইমরান হাসো। গল্পে দেখা যায়—প্রেমিকা তাকে ছেড়ে ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে সেলিব্রিটি হয়ে ওঠার পর তাকে খুঁজতে রাজশাহী থেকে নোয়াখালীতে ছুটে যায় জায়েদ। আর নোয়াখালী পৌঁছানোর পর তার জীবনে ঘটতে থাকে মজার ও হাস্যরসাত্মক ঘটনা। 

জনপ্রিয় নির্মাতা অরণ্য আনোয়ারের নাটকে কাজ করার ইচ্ছে ছিল ইমরান হাসোর। তিনি বলেন, “অনেকে বলতেন তিনি নাকি রাগী বা কম কথা বলেন। কিন্তু কাজে নেমে দেখলাম, তিনি একদম শান্ত, অসাধারণ একজন মানুষ। প্রতিটি দৃশ্যে আমাকে প্রশংসা করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে এটি বড় পাওয়া।” 

‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ দর্শকদের কাছে সতেজ ও আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হবে বলে জানিয়েছেন ইমরান হাসো। 

মিডিয়ায় পরিচিত নাম ইমরান হাসো—যার প্রকৃত নাম এমরান হোসেন। নিয়মিত নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেছেন ২৮টি সিনেমায়। উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র—শান, সুলতানপুর, লাল শাড়ি, জ্বীন ৩, বেহুলা দরদী (সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত)।   

তার অভিনীত নাটকের সংখ্যা ৫০০–এর বেশি। জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে—বকুলপুর, অচিনপুর, গোলমাল, স্বপ্ন আড্ডা, রূপনগর, আদম, নাইটগার্ড, মফিজ এখন ঢাকায়, শূন্য পৃথিবী, তোফাজ্জলের শেষ ভাত, স্যার যেখানে মেডাম সেখানে প্রভৃতি। 

১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার শিহাড়া ইউনিয়নের আমন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ইমরান হাসো। থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছেন এবং একই বিষয়ে মাস্টার্স করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।  

অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজকর্মেও সক্রিয় ইমরান হাসো। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান। শিল্পীদের ভালোবাসায় অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ