Prothomalo:
2025-12-11@02:18:28 GMT

কীভাবে গুগলি শিখলেন রিশাদ

Published: 11th, December 2025 GMT

সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টির ঘটনা। কার্টিস ক্যাম্ফারকে বোল্ড করলেন রিশাদ হোসেন। গ্যালারিতে তখন একটু বাড়তি উচ্ছ্বাসই হলো। ম্যাচে তখন বাংলাদেশই সুবিধাজনক অবস্থায়, গ্যালারি থেকে ভেসে আসা বাড়তি এই উচ্ছ্বাস শুধু একটি উইকেট পাওয়ার জন্য নয়, ক্যাম্ফারকে রিশাদ যে বোল্ড করেছেন গুগলিতে!

বাংলাদেশের জন্য একটা লেগ স্পিনার পাওয়াই একসময় ছিল আরাধ্য। গত বছর রিশাদ তাতে আলোকবর্তিকা হয়েই পা রাখেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতে গুগলি করতে দেখা যেত না তাঁকে—জোরের ওপর করা লেগ স্পিনই এত দিন ছিল ভরসা। ধীরে ধীরে উন্নতি করা রিশাদ এখন গুগলিতেও পটু হয়ে উঠছেন।

এশিয়া কাপ থেকে নিয়মিতই রিশাদকে দেখা যাচ্ছে গুগলি করতে। দেড় বছর ধরে তাঁর এ উন্নতির পথের সঙ্গী বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানের সাবেক এই লেগ স্পিনার রিশাদকে গুগলি শেখানোর কারিগর। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে গল্পই জানিয়েছেন মুশতাক।

মুশতাকের মুখেই তা শুনুন, ‘আমার মনে হয়, রিশাদ এখন তার রিস্ট পজিশনটা বুঝতে পারছে। যখন আপনি গুগলি করতে যাবেন, তখন বডির শেপ হারিয়ে ফেলবেন, মাথা একদিকে হেলে যাবে, এটাকে আমি সহজ করার চেষ্টা করেছি। ওকে বলেছি, শুধু রিস্ট পজিশনটা বদলালেই হবে, এমনকি গ্রিপও বদলানোর প্রয়োজন নেই।’

মুশতাক জানালেন, রিশাদ তাঁর কথা শুনেছেন, ‘সে এই কথা মাথায় রেখে অনেক অনুশীলন করেছে, একইভাবে বারবার বল করেছে, এভাবেই গুগলি শিখেছে। গুগলিতেও লেগ ব্রেকের মতোই বলটা একই অ্যাঙ্গেল থেকে আসবে, শুধু রিস্ট পজিশনটা বদলাতে হবে, লেগ স্পিনের চেয়ে উল্টোভাবে। বলটা একটু বেশি তালু থেকে বেরোবে, লেগ স্পিনের ক্ষেত্রে যেটা আঙুল থেকে বেরোয়।’

মুশতাক আহমেদ না রিশাদ হোসেন, হাসির কথাটা কে বলেছেন?.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম শত ক

এছাড়াও পড়ুন:

কেনিয়া: মাউ মাউ বিদ্রোহ ও স্বাধীনতার গর্জন

আফ্রিকার দিগন্তজোড়া সাভানা আর বন্য প্রকৃতির দেশ কেনিয়া। কিন্তু এই শান্ত প্রকৃতির আড়ালে লুকিয়ে আছে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের এক উত্তপ্ত ইতিহাস। আজ ১২ ডিসেম্বর কেনিয়ার ‘জামহুরি দিবস’ (Jamhuri Day)। সোয়াহিলি ভাষায় ‘জামহুরি’ শব্দের অর্থ ‘প্রজাতন্ত্র’। এই দিনটি কেনিয়াবাসীর কাছে দ্বিগুণ আনন্দের—কারণ, ১৯৬৩ সালের এই দিনে তারা ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ঠিক এক বছর পর ১৯৬৪ সালের একই দিনে দেশটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

কেনিয়ার এই বিজয়ের পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। ১৯৫০-এর দশকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ‘মাউ মাউ বিদ্রোহ’ (Mau Mau Uprising) ছিল এই স্বাধীনতার মূল চালিকাশক্তি। জঙ্গল ও পাহাড়ের আড়াল থেকে সাধারণ কৃষকেরা ব্রিটিশদের আধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে দা, কুড়াল আর পুরোনো বন্দুক নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিল। ব্রিটিশরা হাজার হাজার স্বাধীনতাকামীকে বন্দী করে, হত্যা করে ও নির্যাতন চালায়। কিন্তু মাউ মাউ যোদ্ধাদের সেই আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাদের সেই রক্তস্রোতই শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশদের কেনিয়া ছাড়তে বাধ্য করে।

কেনিয়াবাসী ঘটা করে উদ্‌যাপন করে ‘জামহুরি দিবস’

সম্পর্কিত নিবন্ধ