Risingbd:
2025-12-11@06:16:24 GMT

পেটে ভর দিয়ে ঘুমানোর প্রভাব 

Published: 11th, December 2025 GMT

পেটে ভর দিয়ে ঘুমানোর প্রভাব 

পেটে ভর দিয়ে ঘুমানো অনেকের কাছে আরামদায়ক মনে হলেও এটি শরীরের জন্য খুব ভালো নয়। ভারতীয় ডা. সুনীল কুমার কে-এর মতে, ‘‘ পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে শরীর দীর্ঘ সময় অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো অবস্থায় থাকে, যা মেরুদণ্ড, ঘাড়, পিঠ, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হজম—সব কিছুকে প্রভাবিত করতে পারে’’। পেটে ভর দিয়ে ঘুমানোর স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু প্রভাব রয়েছে। 

স্বল্পমেয়াদী প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—

আরো পড়ুন:

শীতকালে কত সময় ধরে গোসল করা ভালো

ডিজির সঙ্গে তর্ক: নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ডা.

ধনদেব

ঘাড়ে ব্যথা
পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ড ভুল অবস্থানে (misaligned) থাকে। ফলে পিঠে চাপ বা ঝিনঝিন ভাব তৈরি হতে পারে। এবং ঘাড়ে টান এবং পেশীর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

কাঁধে অস্বস্তি
৩০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে দীর্ঘস্থায়ী ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। নিচের পিঠে অতিরিক্ত চাপ অনুভূত হতে পারে।  অঙ্গবিন্যাস পরিবর্তন হতে পারে এবং মেরুদণ্ডের সঠিক সমন্বয় কমে যাওয়া। বুকের পেশীতে টান ফলে কাঁধ সামনের দিকে ঝুঁকে যাওয়া

পিঠে অসাড়তা আসতে পারে
পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে স্নায়ুতে চাপ পড়ে ফলে হাতে ও পায়ে অসাড়তা হতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
এক.  পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে বুক ও পেট চাপে থাকার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস অগভীর হয়ে যায়। এতে অক্সিজেন গ্রহণ কমে যেতে পারে এবং ঘাড়ের টান স্লিপ অ্যাপনিয়া আরও খারাপ করতে পারে।

দুই . পেট চেপে থাকার কারণে অ্যাসিডিটি বা অস্বস্তি বাড়তে পারে।

তিন.  শরীরের ওজন রক্তনালী ও স্নায়ুতে চাপ দিলে।

চার.  হাত, পা বা শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচল ধীর হয়ে যেতে পারে।

কীভাবে অভ্যাস পরিবর্তন করবেন?
পিঠের ওপর ভর দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য হাঁটুর নিচে বালিশ রাখতে পারেন। খুব নরম বিছানায় না শুয়ে শক্ত বা কম নরম গদি বেছে নিন। ঘাড়ের চাপ কমাতে পাতলা বালিশ ব্যবহার করুন অথবা বালিশ ছাড়া ঘুমান। ধীরে ধীরে পাশে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

শেষ কথা: যদি ঘুমের ভঙ্গি নিয়ে আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা বা উদ্বেগ থাকে, তবে পরিবর্তন আনার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভর দ য়

এছাড়াও পড়ুন:

কারিশমার সঙ্গে অক্ষয় খান্নার বিয়ে কেন ভেঙেছিল?

চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। রণবীর সিং অভিনীত এ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে। সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দাপুটে অভিনেতা অক্ষয় খান্না। তার পারফরম্যান্স বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই অভিনেতা।  

পঞ্চাশ বছরের অক্ষয় খান্না ব্যক্তিগত জীবনে এখনো অবিবাহিত। তবে রুপালি জগতে কাজ করতে গিয়ে বলিউডের তারকা অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। এ তালিকায় রয়েছেন—কারিশমা কাপুর, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, তারা শর্মা, ঊর্বশী শর্মা প্রমুখ। যদিও কখনো প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি অক্ষয় খান্না। 

আরো পড়ুন:

পাঁচ দিনে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় ৩০৬ কোটি টাকা

ফিরেই ভক্তদের ঘুম উড়ালেন কিয়ারা

সম্পর্কের কথা স্বীকার না করলেও কারিশমা কাপুরের সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক বহুদূর এগিয়েছিল। কেবল তাই নয়, তাদের বিয়েও প্রায় ঠিক হয়েছিল। সর্বশেষ সেই বিয়ে ভেঙে যায়। কিন্তু কেন ভেঙেছিল অক্ষয়-কারিশমার বিয়ে?  

টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নব্বই দশকে কারিশমা ও অক্ষয় খান্না একসঙ্গে একটি ফটোশুট করেছিলেন। তারপর তারা ডেট শুরু করেন। কারিশমা তখন সদ্যই অজয় দেবগনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। ফলে অক্ষয়ের কাছে মানসিক শান্তি খুঁজে পান।  

অক্ষয়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কে খুশি ছিলেন কারিশমার বাবা রণধীর কাপুরও। কেবল তাই নয়, অক্ষয়ের বাবা বিনোদ খান্নার কাছে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের সবকিছু প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কারিশমার মা ববিতা কাপুর বিয়েতে বাধা দেন। তখন কারিশমার ক্যারিয়ার শিখরে ছিল। ববিতা চাইতেন, মেয়ে ক্যারিয়ারে মনোযোগী হোক। পাশাপাশি অক্ষয়ের ক্যারিয়ার গ্রাফ নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না কারিশমার মা। 

অক্ষয়ের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে ভাঙার পর কারিশমা বিয়ে করেছিলেন। সেই সংসারও ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু অক্ষয় কখনো বিয়ে করেননি। কেন বিয়ে করেননি এ নিয়ে ২০১২ সালের শুরুতে বলিউড হাঙ্গামাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ‘বর্ডার’ তারকা। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি বিয়েতে বিশ্বাস করেন? জবাবে অক্ষয় খান্না বলেন, “অবশ্যই বিশ্বাস করি।”  

এরপর বিয়ে না করার কারণ ব্যাখ্যা করে অক্ষয় খান্না বলেন, “আমি কারো দায়িত্ব নিতে পছন্দ করি না। বিয়ে মানেই স্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া। স্ত্রী ও পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া অনেক বড় ব্যাপার। আমি কারো দায়িত্ব নিতে চাই না। একা জীবনে আমি ভালো আছি। আমার কোনো দায়িত্ব নেই। আমার দায়িত্ব নেওয়ারও কেউ নেই।” 

পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জার্নিটা অসাধারণ। এ তথ্য উল্লেখ করে অক্ষয় খান্না বলেন, “আমার জন্য চিন্তা করার কেউ নেই। আমাকে নিজের জন্য কেবল চিন্তা করতে হবে। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা অসাধারণ একটা জার্নি। এটা দারুণ অভিজ্ঞতা!” 

নব্বই দশকের শেষ লগ্নে বলিউডে পা রাখেন অভিনেতা অক্ষয় খান্না। ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘হাঙ্গামা’, ‘রেস’-এর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ