বুরকিনা ফাসো: সততার জমিনে বিজয়ের নিশান
Published: 11th, December 2025 GMT
বিজয় মানে কি শুধুই মানচিত্রে একটি দাগ টানা, নাকি নিজের পরিচয়কে বুক চিতিয়ে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা? আজ ১১ ডিসেম্বর, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর জাতীয় দিবস (National Day)। ১৯৫৮ সালের এই দিনে তৎকালীন ‘আপার ভোল্টা’ ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের অধীন থেকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই দিন তাদের পূর্ণ স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপন করেছিল, যা অর্জিত হয় ১৯৬০ সালে।
তবে বুরকিনা ফাসোর বিজয়ের গল্পটা একটু আলাদা। দেশটির আসল বিজয় লুকিয়ে আছে এর নামের ভেতরেই। একসময় যার নাম ছিল আপার ভোল্টা, ১৯৮৪ সালে বিপ্লবী নেতা থমাস সানকারা তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘বুরকিনা ফাসো’। স্থানীয় মোরে ও দিউলা ভাষায় যার অর্থ, ‘সৎ মানুষের দেশ’ বা ‘Land of Incorruptible People’। একটি জাতি কতটা আত্মমর্যাদাশীল হলে নিজের দেশের নাম রাখতে পারে ‘সততার দেশ’!
১১ ডিসেম্বরের এই দিন বুরকিনা ফাসোর মানুষের কাছে পরাধীনতার শিকল ভাঙার প্রথম পদক্ষেপ। ফরাসিরা যখন আফ্রিকার সম্পদ লুণ্ঠনে ব্যস্ত ছিল, তখন এ অঞ্চলের মানুষ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিল। আজকের দিনে রাজধানী ওয়াগাদুগুতে বর্ণিল কুচকাওয়াজ হয়, যেখানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী মুখোশ আর পোশাক পরে অংশ নেয়। সাহেল অঞ্চলের রুক্ষ প্রকৃতিতেও যেন এদিন উৎসবের রং লাগে।
বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ছিলেন থমাস সানকারা, তিনি ‘আফ্রিকার চে’ নামে পরিচিত ছিলেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব রক ন
এছাড়াও পড়ুন:
সকালের অ্যালার্ম, না ফোনভীতি? জেন–জিরা কর্মজীবনের চ্যালেঞ্জ জয় করবেন যেভাবে
যদি আপনি একজন মিলেনিয়াল হন, তাহলে হয়তো অফিসের ফোন ধরা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববেন না। কিন্তু জেনারেশন জেড (জেন জেড)–এর কাছে কর্মক্ষেত্রের এই সাধারণ কাজটিই উদ্বেগের বিশাল কারণ। এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য অনুসারে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া কর্মজীবীরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আতঙ্কিত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—খুব সকালে ওঠা, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করা কিংবা কর্মক্ষেত্রে সাধারণ আলাপচারিতায় নিজেকে যুক্ত করা।
ট্রিনিটি কলেজ অব লন্ডনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ গবেষণায় মতামত দেন ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। যুক্তরাজ্যজুড়ে ১৬ থেকে ২৯ বছর বয়সীরা এই জরিপে অংশ নেন। এতে দেখা যায়, তরুণদের ৩৮ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো আলাপচারিতায় ভয় পান। প্রায় ৬০ শতাংশ বলেছেন, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে তাঁদের সমস্যা হয়, আর ৩০ শতাংশ তরুণ ফোন ধরতে ভয় পান।
তবে এসব কর্ম–আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞরা জেনারেশন জেডের এই উদ্বেগগুলো দূর করার জন্য দিয়েছেন কিছু সহজ পরামর্শ—
গবেষণার তথ্য অনুসারে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া কর্মজীবীরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আতঙ্কিত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—খুব সকালে ওঠা, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করা কিংবা কর্মক্ষেত্রে সাধারণ আলাপচারিতায় নিজেকে যুক্ত করা।