কারিশমার সঙ্গে অক্ষয় খান্নার বিয়ে কেন ভেঙেছিল?
Published: 11th, December 2025 GMT
চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। রণবীর সিং অভিনীত এ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে। সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দাপুটে অভিনেতা অক্ষয় খান্না। তার পারফরম্যান্স বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই অভিনেতা।
পঞ্চাশ বছরের অক্ষয় খান্না ব্যক্তিগত জীবনে এখনো অবিবাহিত। তবে রুপালি জগতে কাজ করতে গিয়ে বলিউডের তারকা অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। এ তালিকায় রয়েছেন—কারিশমা কাপুর, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, তারা শর্মা, ঊর্বশী শর্মা প্রমুখ। যদিও কখনো প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি অক্ষয় খান্না।
আরো পড়ুন:
পাঁচ দিনে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় ৩০৬ কোটি টাকা
ফিরেই ভক্তদের ঘুম উড়ালেন কিয়ারা
সম্পর্কের কথা স্বীকার না করলেও কারিশমা কাপুরের সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক বহুদূর এগিয়েছিল। কেবল তাই নয়, তাদের বিয়েও প্রায় ঠিক হয়েছিল। সর্বশেষ সেই বিয়ে ভেঙে যায়। কিন্তু কেন ভেঙেছিল অক্ষয়-কারিশমার বিয়ে?
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নব্বই দশকে কারিশমা ও অক্ষয় খান্না একসঙ্গে একটি ফটোশুট করেছিলেন। তারপর তারা ডেট শুরু করেন। কারিশমা তখন সদ্যই অজয় দেবগনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। ফলে অক্ষয়ের কাছে মানসিক শান্তি খুঁজে পান।
অক্ষয়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কে খুশি ছিলেন কারিশমার বাবা রণধীর কাপুরও। কেবল তাই নয়, অক্ষয়ের বাবা বিনোদ খান্নার কাছে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের সবকিছু প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কারিশমার মা ববিতা কাপুর বিয়েতে বাধা দেন। তখন কারিশমার ক্যারিয়ার শিখরে ছিল। ববিতা চাইতেন, মেয়ে ক্যারিয়ারে মনোযোগী হোক। পাশাপাশি অক্ষয়ের ক্যারিয়ার গ্রাফ নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না কারিশমার মা।
অক্ষয়ের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে ভাঙার পর কারিশমা বিয়ে করেছিলেন। সেই সংসারও ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু অক্ষয় কখনো বিয়ে করেননি। কেন বিয়ে করেননি এ নিয়ে ২০১২ সালের শুরুতে বলিউড হাঙ্গামাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ‘বর্ডার’ তারকা। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি বিয়েতে বিশ্বাস করেন? জবাবে অক্ষয় খান্না বলেন, “অবশ্যই বিশ্বাস করি।”
এরপর বিয়ে না করার কারণ ব্যাখ্যা করে অক্ষয় খান্না বলেন, “আমি কারো দায়িত্ব নিতে পছন্দ করি না। বিয়ে মানেই স্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া। স্ত্রী ও পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া অনেক বড় ব্যাপার। আমি কারো দায়িত্ব নিতে চাই না। একা জীবনে আমি ভালো আছি। আমার কোনো দায়িত্ব নেই। আমার দায়িত্ব নেওয়ারও কেউ নেই।”
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জার্নিটা অসাধারণ। এ তথ্য উল্লেখ করে অক্ষয় খান্না বলেন, “আমার জন্য চিন্তা করার কেউ নেই। আমাকে নিজের জন্য কেবল চিন্তা করতে হবে। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা অসাধারণ একটা জার্নি। এটা দারুণ অভিজ্ঞতা!”
নব্বই দশকের শেষ লগ্নে বলিউডে পা রাখেন অভিনেতা অক্ষয় খান্না। ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘হাঙ্গামা’, ‘রেস’-এর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পর ক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাফেলোতে মসজিদের সামনে দীর্ঘ সময় আইস পুলিশের অবস্থান
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো এলাকায় এক মসজিদের সামনে দুই গাড়ি নিয়ে অভিবাসন পুলিশ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করেছে। পার্ক অ্যাভিনিউর তাকওয়া মসজিদ থেকে জোহর নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হওয়ার পথে সবাইকে ধরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর মধ্যে ষাটোর্ধ্ব গ্রিনকার্ডধারী একজন বাংলাদেশিও ছিলেন।
৭ ডিসেম্বর বাফেলোয় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই মসজিদের সামনে অবস্থান করে অভিবাসন পুলিশ। অবশ্য তাকওয়া মসজিদের সামনে থেকে কাউকে ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়নি।
ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কর্নেল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী সাদিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাসা মসজিদের কাছেই। তুষারপাতে চারপাশ সাদা হয়ে গিয়েছিল। আমি ও আমার কাজিন আদ্রিয়া মাদিনা তুষারপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি, মসজিদের কাছে এক বৃদ্ধ বাংলাদেশিকে কয়েকজন ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এর মধ্যে একজনের পোশাকে “পুলিশ” লেখা।’
সাদিয়া বলেন, ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই যা আইস নামে পরিচিত) সাধারণত ফোর্ড গাড়ি ব্যবহার করে। আমি ভিডিও করা শুরু করলে ওরা দ্রুত কথা শেষ করে চলে যায়। পরে আমার এক চাচা গাড়ি দুটিকে দূর থেকে ফলো করেন। তিনি দেখেছেন, গাড়ি দুটি ঘুরেফিরে এই অঞ্চলেই অবস্থান করছে।’
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নামাজে যাওয়ার সময় ওই দুটি গাড়িকে মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা অন্যান্য দেশের মুসলিমদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। আমার গ্রিনকার্ড সঙ্গে থাকায় তারা আর কিছু বলেনি।’
তাকওয়া মসজিদে জোহর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করা নিয়মিত মুসল্লি ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর ছাত্র আবিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার সময়ও ওই গাড়ি দুটিকে মসজিদের আশপাশে অবস্থান করতে ও ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। জোহরের নামাজের চেয়ে মাগরিবের নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। এ জন্য আইস পুলিশ কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। সন্ধ্যার পর গাড়ি দুটিকে আর দেখা যায়নি।