‘তারেকের ফেরার দিন যেন দেশ কেঁপে ওঠে’
Published: 11th, December 2025 GMT
আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারেক রহমান খুব শিগগির দেশে আসবেন বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে। সেদিন গোটা বাংলাদেশের চেহারা বদলে দিতে চায় বিএনপি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্লেষণ: বিদায়ী দুই উপদেষ্টা সরকারে থেকে কেমন করলেন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগের দিন পদত্যাগ করলেন ছাত্রদের প্রতিনিধি দুই উপদেষ্টা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আসিফ মাহমুদ ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন থেকে সরকারে ছিলেন। তিনি স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
মাহফুজ আলম শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ছিলেন। নিয়োগ পান গত বছরের ২৮ আগস্ট। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তবে সে সময় তাঁকে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করার পর তাঁকে তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সবমিলিয়ে আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা ছিলেন ১৫ মাস। আর মাহফুজ আলম ছিলেন ১৩ মাস। এ সময়ে তাঁরা সরকারে থেকে কেমন করেছেন—সেই প্রশ্ন আসছে। কারণ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে ‘নতুন বন্দোবস্তের’ কথা বলা হয়েছিল।
মানুষ আশা করেছিল, গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বের জায়গা থেকে আসা উপদেষ্টারা অন্তত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয় কমাতে নতুন উদ্যোগ নেবেন। স্বজনপ্রীতি থেকে দূরে থাকবেন। স্বার্থান্বেষী মহলের চাপ উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবেন।
বিদায়ী দুই উপদেষ্টা কেমন করলেন—জানতে চাওয়া হয়েছিল দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের কাছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্র প্রতিনিধি দুই উপদেষ্টার কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল অনেক। সেই প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভূমিকা তাঁরা রাখতে পেরেছেন, তা বলা যাবে না; বরং তাঁদের মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
দুই বিদায়ী উপদেষ্টাকে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তাঁরা তখন পদত্যাগ না করে ক্ষমতার প্রতি আকর্ষণে নিমজ্জিত থাকলেন। এটি ভালো দৃষ্টান্ত হয়নি।
সবমিলিয়ে আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা ছিলেন ১৫ মাস। আর মাহফুজ আলম ছিলেন ১৩ মাস। এ সময়ে তাঁরা সরকারে থেকে কেমন করেছেন—সেই প্রশ্ন আসছে। কারণ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে ‘নতুন বন্দোবস্তের’ কথা বলা হয়েছিল।পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূুঁইয়া। গতকাল বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়