রাজশাহীর তানোরে নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে যাওয়ার পর ২৮ ঘণ্টা পার হলেও দুই বছরের শিশু সাজিদকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শিশুটিকে উদ্ধারে বুধবার থেকেই চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম। তিনি বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ৪৫ ফুট গর্ত খোঁড়া হয়েছে। তবে, শিশুটির সন্ধান মেলেনি। ফায়ার ফাইটাররা আরো নিচের দিকে নামতে শুরু করেছেন।’’

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম জানান, গর্তটি ১৫০ থেকে ২০০ ফুট গভীর। শিশুটি এ দীর্ঘ গর্তের যেকোনো জায়গায় আটকে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, “এত গভীর গর্ত থেকে দ্রুত কাউকে বের করে আনার মতো প্রযুক্তি বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা পাশের জায়গায় সমান্তরাল গর্ত করে অনুসন্ধান চালাচ্ছি। এ ধরনের অভিযানে উন্নত দেশেও ৭৫–৭৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে।”

তাজুল ইসলাম জানান, প্রথমদিকে ৩৫ ফুট পর্যন্ত ক্যামেরা পাঠানো হলেও কিছু দেখা যায়নি। এখন ৪৫ ফুট পর্যন্ত গর্ত খোঁড়া হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’’

এর আগে, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মায়ের সঙ্গে হেঁটে যাওয়ার সময় নলকূপের খোলা মুখ দিয়ে ভেতরে পড়ে যায় সাজিদ। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বর্তমানে ৮টি ইউনিট কাজ করছে।

ঢাকা/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবুল হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি রায় সাহেব মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদলের খুনীরা আমার ভাইকে খুন করেছে। আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আর খুনের রাজনীতি চলবে না। কিন্তু ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আবার সেই খুন–চাঁদাবাজির রাজনীতি শুরু করেছে।”

একই বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিন সাদাত বলেন, “মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে একজনকে খুন হতে হলো। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।”

২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, “ছাত্রদল আবার হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের মধ্যকার মাদক–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন শিক্ষার্থীকে প্রাণ দিতে হলো। আজ তেজগাঁও কলেজে হয়েছে, কাল অন্য ক্যাম্পাসে হবে—অথবা আমাদের ক্যাম্পাসেও হতে পারে। আমরা চাই না ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে আবার হত্যা–রাজনীতি ফিরে আসুক।”

উল্লেখ্য, এর আগে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হন উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪-২৫ সেশনের সাকিবুল হাসান রানা নামে এক শিক্ষার্থী। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢাকা/লিমন/জান্নাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ