2025-11-04@06:47:05 GMT
إجمالي نتائج البحث: 50

«আরব সমর থ ত প»:

    যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ‘শান্তি পরিকল্পনা’র ছাতার নিচে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র একটি কূটনৈতিক প্রচারণা শুরু করেছে। এতে দেখানো হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইহুদি বসতি–উপনিবেশের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক পশ্চিম তীর দখলের পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।গাজায় যুদ্ধবিরতির সমর্থন আদায় করার জন্য ট্রাম্প গত মাসে তাঁর মিত্র আরব দেশগুলোর শাসকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি ইসরায়েলকে দখলদারি আর এগিয়ে নিতে দেবেন না। কিন্তু ১০ অক্টোবর থেকে ‘শান্তি পরিকল্পনা’ কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল কমপক্ষে ৮৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং আরও ৩১৫ জনকে আহত করেছে।যুক্তরাষ্ট্র ও তার আরব মিত্ররা মনে করছিল, পশ্চিম তীর দখল করলে জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিতে পারে এবং ওয়াশিংটনের আঞ্চলিক স্বাভাবিকীকরণ প্রকল্প বিপর্যস্ত হতে পারে।আরও পড়ুনগাজা যুদ্ধ থামিয়েও ট্রাম্প নোবেল পেলেন না কেন১২ অক্টোবর...
    ১০ বছর, ২০ বছর নয়; একই মসনদে, একই রাজ্যে টানা ৪২ বছর। শুধু নিজ রাজ্যপাটে ছড়ি ঘোরাননি, খেয়াল–খুশিমতো নাচিয়েছেন পশ্চিমাদেরও। লিবিয়ার ৪২ বছরের এই স্বৈরশাসক হলেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি।হঠাৎ কেন বলছি গাদ্দাফির কথা? আজ ২০ অক্টোবরের সেই দিন, যেদিন দাপুটে এই নেতা প্রাণ বাঁচাতে লুকিয়েছিলেন পাইপের ভেতরে। সেখানেও কামানের গোলা ছোড়া হয়। পাইপের ভেতরে থেকে বেরিয়ে আসতেই তাঁকে নিশানা করে চালানো হয় গুলি। শোনা যায়, একসময়ের লৌহমানব গাদ্দাফির মরদেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে বিপণিবিতানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়।২০১১ সালে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থনপুষ্ট বিরোধী একটি গোষ্ঠীর হাতে আটক হন গাদ্দাফি। সেই বছরের ২০ অক্টোবর হত্যা করা হয় তাঁকে।কেমন ছিলেন এই স্বৈরশাসক? লিবিয়ার মানুষ কি তাঁকে ভালোবাসত, না ঘৃণা করত? কেনই–বা তিনি পশ্চিমাদের চক্ষুশূল ছিলেন? খুঁজে দেখি এসব প্রশ্নের উত্তর। আর সে জন্য...
    হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠক টেলিভিশনে সম্প্রচার হচ্ছিল। হঠাৎই সে বৈঠকের মাঝখানে ঢুকে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ কূটনীতিক। তিনি ট্রাম্পের হাতে একটি চিরকুট দিয়ে কানে কানে বলেন, শিগগিরই গাজা চুক্তি হতে যাচ্ছে। এটি ছিল ট্রাম্পের জন্য একটি নাটকীয় মুহূর্ত, যিনি কিনা জনসমক্ষে নিজেকে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী’ হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন। কিছুক্ষণ পরই ট্রাম্প তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে একমত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এ ঘটনা যখন ঘটল, তখন ওভাল অফিসে এএফপিসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকেরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে চাপ দেওয়া কিংবা আরব দেশগুলোর মন জয় করা—যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের বেশির ভাগ কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই ছিল দৃশ্যপটের আড়ালে।নেতানিয়াহুর ওপর চাপনোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার আশা এবং...
    গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় শান্তি ফেরাতে হোয়াইট হাউস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা পেশ করেছে, যেখানে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে পরিচয় করানো হয়েছে ‘শান্তি পরিষদ’–এর সদস্য; যেই পরিষদ গাজা যুদ্ধ–পরবর্তী ফিলিস্তিনি কারিগরি কমিটির তত্ত্বাবধান করবে। কিন্তু ঠিক তার আগের দিন ইসরায়েলের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম হারেৎজ ‘গাজা ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজিশনাল অথরিটি’ (জিআইটিএ)-এর পরিকল্পনা নথি প্রকাশ করে দেয়। জিআইটিএর ২১ পৃষ্ঠার এই ‘গোপন’ পরিকল্পনা, যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, হারেৎজ জানায় যে ইসরায়েলের সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তা টনি ব্লেয়ারের মাধ্যমে প্রস্তাবিত।ইকোনমিস্টের তথ্য অনুযায়ী, জিআইটিএ জাতিসংঘের পাঁচ বছরের ম্যান্ডেটে ‘সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও আইনি কর্তৃত্ব’ হিসেবে কাজ করবে, যা আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের দিয়ে পরিচালিত হবে। ব্লেয়ার ২৫ জনের একটি সচিব দল এবং ৭ জনের বোর্ড মেম্বারের...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সোমবার যে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তার পুরো পটভূমি বিশ্লেষণ করা ছাড়া বোঝা সম্ভব নয়। সেখানে তাঁরা গাজায় গণহত্যা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এক সম্মেলনের এক সপ্তাহ পর এ ঘোষণা এসেছে। সেই সম্মেলনে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে। একই সময় ইসরায়েলকে ঘিরে আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও বর্জনের ঢেউও তীব্র হয়।এতে ইসরায়েলের ভেতরেও যুদ্ধবিরোধী সমালোচনা বাড়তে শুরু করেছে। কারণ, তারা এখন শুধু সাংস্কৃতিক নয়, অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় পাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজায় গণহত্যার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি স্থগিত করার কথা ভাবছে। এটি সেই ভয়কে আরও জোরদার করেছে।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রস্তাবটি নেতানিয়াহু বহু মাস আগেই গ্রহণ করতে পারতেন। তাতে হাজার...
    নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও অবকাঠামো মন্ত্রী হি.ই. সুহাইল মোহাম্মদ আল মাজরুই-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুবাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৪ অক্টোবর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আরো পড়ুন: নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ২৪৮০ কোটি টাকা সাশ্রয়: উপদেষ্টা আইএমও কাউন্সিলে বাংলাদেশের সমর্থন দাবি নৌপরিবহন উপদেষ্টার বৈঠকে উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি, বাংলাদেশি নাগরিকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং বন্দর সহযোগিতা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বৈঠকে ইউএই-এর জ্বালানি ও অবকাঠামো মন্ত্রী এডি পোর্টস এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। মন্ত্রী...
    প্রথম দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা (যা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও সমর্থন করেছেন) গাজার দীর্ঘ দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামানোর জন্য এখন পর্যন্ত যত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ। ট্রাম্প নিজেই বলছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের ‘হাজার বছরের’ পুরোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছেন, আর সে লক্ষ্যে তিনি প্রচুর রাজনৈতিক ‘মূলধন বিনিয়োগ’ করেছেন। এই পরিকল্পনার পেছনে আঞ্চলিক দেশগুলোর সমর্থনও আছে বলে শোনা যাচ্ছে।কিন্তু সমস্যা হলো, এটি আসলে কোনো স্পষ্ট ও বিস্তারিত রোডম্যাপ নয়। বরং এটিকে তাড়াহুড়া করে কাগজে টেনে দেওয়া একটা খসড়া বলা যেতে পারে। মানে, এতে গন্তব্যের দিকনির্দেশনা আছে বটে, কিন্তু তা এতটাই অস্পষ্ট ও ঝাপসা যে, যেকোনো মুহূর্তে পুরো পথ হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি তৈরি হবে।সহজভাবে বললে—এই পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজে লাগলে হয়তো সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে, কিন্তু...
    এবার স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের দেশ সান মারিনো। শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন সান মারিনোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেক্কারি। খবর আরব নিউজের।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ মে আমাদের সংসদ সর্বসম্মত সমর্থনসহ সরকারকে এ বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আজ এই পরিষদের সামনে আমরা সেই নির্দেশ পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।’ আরো পড়ুন: ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি চান, নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট বার্তা ফিলিস্তিনিকে এখনই স্বীকৃতি দেবে না নিউজিল্যান্ড বেক্কারি জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার ভেতরে ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন, “একটি রাষ্ট্র পাওয়া ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার। এটি হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয়...
    গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সেখানে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। এমনটা জানতে পেরেছে বিবিসি।২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাজ্যকে জড়িয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে করছেন বলে জানা গেছে।চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘে ট্রাম্প ও আরব নেতাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় তাঁরা একটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবের মূল বিষয় হলো—যুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গাজার দায়িত্ব নেবে। প্রশাসনকে জাতিসংঘ সমর্থন দেবে এবং আরব দেশগুলো সহায়তা করবে। গাজার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার আগপর্যন্ত এ প্রশাসন কার্যকর থাকবে।এক প্রস্তাবে টনি ব্লেয়ারকে গাজার অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে টনি ব্লেয়ারের...
    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের ফলাফলে তিনি ‘সন্তুষ্ট’।বৈঠকের ফলাফল নিয়ে ট্রাম্পও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ‘ইসরায়েল ছাড়া সব শক্তিধর দেশের’ সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক ‘সফল’ হয়েছে।যদিও গাজা সিটিতে ইসরায়েল এখনো ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করে চলেছে। সেখানে প্রতিদিন ডজন ডজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক অজানা ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।আরও পড়ুনগাজায় জাতিসংঘ কেন এত অক্ষম, এত অসহায়২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫তবে এখন পর্যন্ত বৈঠকের কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বৈঠকে মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতারা অংশ নেন। ট্রাম্প এই বৈঠক সম্পর্কে বলেছেন,...
    গত সপ্তাহে কাতারের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ‘ন্যাটোবহির্ভূত প্রধান মিত্র’ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ ইসরায়েলের সমর্থক ভাষ্যকারেরা দ্রুত নজর ঘুরিয়ে নেন তুরস্কের দিকে।ওয়াশিংটনে ডানপন্থী আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন প্রস্তাব করেন যে তুরস্ক হতে পারে ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য এবং সতর্ক করেন যে ন্যাটো সদস্যপদ তুরস্কের রক্ষাকবচ হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি একাডেমিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মেইর মাসরি পোস্ট করেন, ‘আজ কাতার, কাল তুরস্ক।’আঙ্কারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অস্বাভাবিক কঠোর ভাষায় লেখেন, ‘জায়নবাদী ইসরায়েলের কুকুর...শিগগিরই তোমাদের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার মধ্য দিয়ে পৃথিবী শান্তি খুঁজে পাবে।’মাসের পর মাস ধরে ইসরায়েল–সমর্থিত সংবাদমাধ্যম তুরস্কবিরোধী বক্তব্য বাড়িয়েছে, তুরস্ককে ‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু’ হিসেবে উপস্থাপন করছে। ইসরায়েলি ভাষ্যকারেরা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে...
    ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার স্বপ্ন বহু দশক ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াও চলছে বহু দশক ধরে। ১৯৪৫ সালের পর জাতিসংঘের ১৪০টির বেশি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো স্বীকৃতি দেয়নি। তার এ অবস্থান শুধু ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সম্পর্ককেই নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান মূলত ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ নীতির ওপর নির্ভরশীল। এর অর্থ হলো, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চিত স্বীকৃতি, ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবির পক্ষে পদক্ষেপ না নেওয়া, সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে সামরিক–অর্থনৈতিক দিক থেকে তার সহায়তা করা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধক।যুক্তরাষ্ট্রের এ পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান পশ্চিমা ও আরব জোটের...
    ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ইসরায়েল সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দিয়ে যাবে তাঁর দেশ। উপত্যকাটি থেকে হামাসকে নির্মূল করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।রুবিও ইসরায়েলে পৌঁছান গতকাল রোববার। এরপর আজ সোমবার জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তার সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, এমন পদক্ষেপ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তা শুধু হামাসকে আরও সাহসী করে তুলবে।রুবিও বলেন, ভালো একটি ভবিষ্যৎ গাজার বাসিন্দাদের প্রাপ্য। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত হামাসকে নির্মূল না করা হবে, ততক্ষণ তারা কোনো ভালো ভবিষ্যৎ পাবে না। নেতানিয়াহুর উদ্দেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি আমাদের...
    স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অধিকাংশ সদস্যদেশ। এই প্রস্তাবকে ‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ বলা হচ্ছে। প্রস্তাবে ফিলিস্তিন–ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রচেষ্টায় তৎপরতা আনার কথা বলা হয়েছে। এ–ও বলা হয়েছে যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে, সেখানে হামাসের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এ ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে সাধারণ পরিষদের ১৪২টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র ১০টি দেশ। তাদের মধ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল ১২টি দেশ। সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল ফ্রান্স ও সৌদি আরব।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার নিন্দা না জানানোর জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে...
    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ওসমানি শাসন–পরবর্তী যে আরব রাষ্ট্রগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল, তা ছিল পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থরক্ষায়—এ অঞ্চলের নিজস্ব অধিবাসীদের জন্য নয়।১৯১৮ সালে, ওসমানি শাসন–পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ আধিপত্য স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। এটি স্বীকার করে ব্রিটিশ ভারতের একজন কর্মকর্তা লিখেছিলেন, ‘পুরোনো স্লোগান এখন অচল। আমাদের নতুন পথ বেছে নিতে হবে; যা মূল লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক। কাজটি সম্ভব, তবে তার জন্য কিছুটা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। “আরব মুখোশ” হয়তো আমাদের পূর্বপরিকল্পনার চেয়ে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হতে পারে।’১৯১৯ সালের তথাকথিত প্যারিস শান্তি সম্মেলনের সময় ব্রিটিশরা বুঝে যায়, ব্যাহত প্রতীয়মান ‘স্বনির্ধারণীর’ এ যুগে নিজেদের আধিপত্য আর সরাসরি চাপিয়ে দিতে পারবে না তারা। তাই তাঁদের আধিপত্য আড়াল করতে দরকার ‘স্থানীয় কর্তৃত্ব’ নামের এক মুখোশ।কিছু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী, যেমন টি ই লরেন্স ভাবতেন, তাঁরা আরবদের...
    গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিলিস্তিন প্রশ্নে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্মেলনে গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজায় অব্যাহত যুদ্ধ বন্ধ করার স্বার্থে হামাসকে সরে যেতে হবে। শুধু নিরস্ত্র করাই যথেষ্ট নয়, তাদের গাজার শাসনভার থেকেও পুরোপুরি বিযুক্ত করতে হবে।হামাসের জায়গায় অঞ্চলটির শাসনভার গ্রহণ করবে মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি, সংক্ষেপে পিএ)। তবে তিনি একা নন, তাঁকে এই কাজে সাহায্য করবে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী। প্রশাসনিক কাজে সাহায্য করতেও বিদেশি, মুখ্যত আরব, বিশেষজ্ঞেরা যোগ দেবেন।প্রস্তাবটি খুব নতুন, তা নয়। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস নিজেও মাত্র দুই সপ্তাহ আগে গাজা থেকে হামাসের সশস্ত্র সদস্যদের সরে যাওয়ার দাবি করেছেন। তবে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব ও কাতারের মতো আরব দেশ, যাদের অর্থে হামাস টিকে আছে, তারা নিরস্ত্র করার পাশাপাশি...
    ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ বন্ধে এ ভূখণ্ডে হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং সংগঠনটিকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব ও মিসরসহ একাধিক আরব দেশ।ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রস্তাব পুনরুজ্জীবিত করতে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের উদ্যোগে নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে একটি সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানেই  গৃহীত সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণাপত্রটিকে সমর্থন করেছে ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ।ঘোষণায় বলা হয়, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে অবশ্যই তার শাসন (এ উপত্যকায়) শেষ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। এটি একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। এতে যুদ্ধ শেষে গাজায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিদেশি সেনা...
    ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।  আজ বুধবার ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।  পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। আরো পড়ুন: ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’ ফিলিস্তিন সংকট সমাধান: সবার দৃষ্টি জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর...
    ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তাপ কমেছে। আলোচনায় এসেছে হুতি বিদ্রোহীরা। ১৯৯০ এর দশকে হুতিদের উত্থান। তাদের নেতা হুসেইন আল-হুতি। যিনি শিয়া ইসলামের জাইদি ধারার অনুসরণে ধর্মীয় পুনর্জাগরণমূলক আন্দোলন শুরু করেন।  এই জাইদিরা কয়েক শতাব্দী ধরে ইয়েমেন শাসন করেছে।  কিন্তু ১৯৬২ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর সুন্নিরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে শিয়ারা সুন্নি তথা সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া ওয়াহাবি মতবাদ মোকাবিলায় আল-হুতি জাইদি আন্দোলন গড়ে তোলেন।  এই গোষ্ঠী ২০১৪ সালে রাজধানী সানা’র বিভিন্ন অংশ দখলে করে নেয়। এরপর ২০১৫ সালের শুরুতে তারা রাষ্ট্রপতির বাসভবনও দখল করে নেয়। ফলে হাদি সৌদি আরবে পালিয়ে যান। হাদির অনুরোধে ২০১৫ সালের মার্চে হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে সৌদি আরব। সেই যুদ্ধ কয়েক বছর স্থায়ী হয়। অভিযানে সৌদি আরবকে সমর্থন দেয়...
    কাতারের ভূখণ্ডে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদে গত সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।এ কারণে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।  কাতার আমিরের দপ্তর (দিওয়ান) থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার টেলিফোনে কথা বলেছেন দুই নেতা। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু কাতার বা দেশটির জনগণ ছিল না। বরং কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এটি উপসাগরীয় দেশটির (কাতার) জন্য কোনো হুমকি নয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, একটি প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক রয়ে যাবে। পেজেশকিয়ান আশা করেন, দুই দেশের সম্পর্ক সর্বদা সার্বভৌমত্ব আর সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণের নীতির ওপর ভিত্তি করে বজায় থাকবে। গত সোমবার কাতারের ভূখণ্ডে...
    প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ইরানের ওপর বোমা হামলা চালানোর পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে। তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হেনেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। এই প্রতিক্রিয়া খুব শিগগির আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন হামলার পর ইরানি টেলিভিশনের এক উপস্থাপক মন্তব্য করেছেন, ‘মি. ট্রাম্প, আপনি শুরু করেছেন, শেষ করবে আমরা।’এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইরান কীভাবে প্রতিশোধ নিতে পারে? সবচেয়ে সম্ভাব্য যে জবাবটি আসতে পারে, তা হলো অসামরিক যুদ্ধ কৌশল। এর মধ্যে থাকতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ বা ইরানের মিত্রগোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোতে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও সন্ত্রাসী হামলা।ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়ে একটি ‘খুব বড় লাল সীমা’ অতিক্রম করেছে। এখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যদি কোনো...
    গত কয়েক দশক ধরেই ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক বিরাজ করছে। ইসরায়েলকে ‘শত্রু রাষ্ট্র' মনে করা ইরান দেশটিকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চায়। পিছিয়ে নেই ইসরায়েলও। ইরানকে এই অঞ্চলে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ বলে বিবেচনা করে ইসরায়েল। কিন্তু এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কি সবসময়ই এমন বৈরি ছিল? দুই দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অবশ্য ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইরান-ইসরায়েল যখন পরস্পরের বন্ধু ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের আগ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। যেমন, ১৯৪৮ সালে যখন ইসয়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন দেশটিকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ইরান। প্রতিষ্ঠার ওই সময়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে বৈরিতায় টিকে থাকতে ইরানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে ইসরায়েল। একইভাবে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে ইসরায়েলকে সাথে নিয়ে বৈরিতা মোকাবিলা করতে চায় ইরান। মজার বিষয় হলো, সেই সময়...
    গাজার বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসকে অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আব্বাসের এক চিঠির বরাতে আজ মঙ্গলবার ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে গতকাল সোমবার লেখা চিঠিতে এ কথা বলেন আব্বাস। ওই চিঠিতে গাজায় সহিংসতা বন্ধে প্রধান কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ওই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হলে যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে।চিঠিতে আব্বাস লেখেন, হামাস আর গাজা শাসন করতে পারবে না। ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তাদের অস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা সমর্পণ করতে হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সুরক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজায় আরব বা...
    গত মাসে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাসের ওপর কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তিনি তাদের ‘কুকুরের সন্তান’ বলে মন্তব্য করেন এবং তারা যেন নিরস্ত্র হয়ে বাকি ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেয়। মনে হচ্ছে, তিনি এ সময় ২০২৩ সালের মে মাসে জাতিসংঘে দেওয়া তাঁর পূর্ববর্তী ভাষণটি ভুলে গেছেন। এতে দখলদারদের আগ্রাসন থেকে সুরক্ষার জন্য ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়’-এর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। আব্বাস এতে বলেছিলেন, ‘হে বিশ্ববাসী, আমাদের রক্ষা করুন। আমরা কি মানুষ নই? এমনকি প্রাণীদেরও সুরক্ষা দেওয়া উচিত। যদি আপনার একটি প্রাণী থাকে, তাহলে আপনি কি তা রক্ষা করবেন না?’ গত ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছিল, সৌদি আরব গাজার ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে। এই প্রস্তাবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ক্ষমতা থেকে অপসারণ। আরব ও মার্কিন সূত্র ‘ইসরায়েল হায়োম’ পত্রিকায় জানিয়েছে,...
    গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যে সেখানে অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েল। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ওই অভিযানের জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ ঘনিষ্ঠ মিত্ররা ইসরায়েলের ওপর থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে ব্যর্থ হলে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সতর্কবার্তা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আলোচনার বিষয়ে জানেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, যদি তারা গাজা যুদ্ধ শেষ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে পরিত্যাগ করবে।ওই সূত্র বলেছে, ট্রাম্পের লোকজন ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে, ‘যদি আপনারা এই যুদ্ধ শেষ না করেন, তাহলে আমরা আপনাদের পাশে থাকব না।’হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটও বলেছেন,...
    বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ওভারের খেলা চলছিল। প্রথম চার বলে উঠেছে ৯ রান। বেশ ভালো একটা শুরু। ঠিক তখনই ক্যামেরা ধরা হলো গ্যালারিতে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে গ্যালারিতে বসে এক সমর্থক মিষ্টি মিষ্টি হাসিতে হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডটি উঁচিয়ে ধরলেন। তাতে লেখা, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি বিয়ে করব না’।আরব আমিরাতের কাছে কাল রাতে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য হার নিয়ে প্রচুর কাটাছেঁড়া চলছে। কোথায় হারল, কেন হারল—এসব ক্রিকেটীয় কারণ আর কি! খুঁজলে এমন অনেক কারণই হয়তো পাওয়া যাবে। তবে এই কারণগুলোর পেছনের কারণ সম্ভবত মনস্তাত্ত্বিক। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ম্যাচের শুরুতেই ‘ধনুর্ভঙ্গ’ পণ নিয়ে গ্যালারিতে বসে থাকা সেই ভক্তকে দেখে সম্ভবত ম্যাচের কলাকৌশল পাল্টেছেন। কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সমর্থকেরা প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন। নইলে পারফরম্যান্স ক্রমেই নিম্নমুখী হওয়ার পরও কোন দেশের সমর্থক সাহস করে দলের বিশ্বকাপ...
    বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লেন পারভেজ হোসেন ইমন। শারজাহতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করে দেশের হয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শতকের মালিক হলেন তিনি। এর আগে একমাত্র সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের দখলে। ২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে করেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগের সাত ইনিংসে অর্ধশতকও না পাওয়া ইমন তাই নিজের ইনিংসকে বলছেন ‘বিশেষ’। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি, তাই অনুভূতিটাও আলাদা। উইকেটকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি।’ ইমনের এই কীর্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও। ফেসবুকে ইমনের ব্যাটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে তামিম লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ইমন।’ সঙ্গে দিয়েছেন ব্যাট, বাংলাদেশের পতাকা ও ‘১০০’ ইমোজি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলেও পুরো ম্যাচে আরব আমিরাত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ম্যাচ...
    পারভেজ হোসেন ইমন ছক্কা বৃষ্টি নামিয়ে পেলেন সেঞ্চুরি। ৫৪ বলে করলেন ১০০ রান। বাকিরা কেবল ৯১। যে গতিতে বাংলাদেশের রান এগিয়ে যাচ্ছিল সেই রেশ শেষ দিকে থাকেনি। শেষ ৩ ওভারে রান এসেছে কেবল ২২। বাউন্ডারি মাত্র ৩টি। ছক্কা নেই ১টি-ও। স্কোরবোর্ডে ১৯১ রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ অনায়েসে ২৭ রানে ম‌্যাচ জিতেছে। কিন্তু এই জয়ে তৃপ্ত নন অধিনায়ক লিটন দাস। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে শেষ ৩ ওভারের প্রসঙ্গই টেনে আনলেন লিটন, ‘‘উইকেটে ব্যাটিং করে ভালো লাগছিল। আমার মনে হয়েছে ইমন (পারভেজ) যেভাবে খেলেছে তা সত্যিই অসাধারণ ছিল। কিন্তু আমাদের ভালোভাবে শেষ করতে হবে, কারণ শেষ তিন উইকেটে আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি।’’ নিজেদের মাঠে সংযুক্ত আরব আমিরাতও দারুণ জবাব দিচ্ছিল। ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৮২ রান তুলে...
    পারস্পারিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান দুই দেশের মধ্যকার একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে সই করেছেন। এর অংশ হিসেবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা বিক্রয় নিয়ে সমঝোতা সই হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। তারা বলেছে, প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে এবং এর আওতায় সৌদি আরবকে অত্যাধুনিক যুদ্ধ সামগ্রী ও সেবা সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্রের এক ডজনেরও বেশি প্রতিরক্ষা কোম্পানি। খবর বিবিসির দুই দেশের সই করা সমঝোতায় জ্বালানি ও খনিজবিষয়ক স্মারক, ভবিষ্যৎ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার জন্য আগ্রহপত্র ছাড়াও মহাকাশ ও সংক্রামক ব্যাধির বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি স্মারক রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মোহাম্মেদ বিন সালমান যখন কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে সই করেছেন তখন অনুষ্ঠানস্থল ছিল করতালিতে মুখরিত। এর আগে দুই নেতার বৈঠকের সময় ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে...
    চলতি সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সফরের আগে দেশটির কাছে ১৪০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।মার্কিন কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার এ খবর জানিয়ে বলেন, সমরাস্ত্রের মধ্যে সামরিক উড়োজাহাজও রয়েছে।এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোর কর্মকর্তারা বলেন, উপসাগরীয় দেশটির কাছে যেসব অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ১৩২ কোটি ডলারে ৬টি সিএইচ-৪৭এফ চিনুক হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি সহায়ক হবে বলেও জানান তাঁরা।ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত এসব সম্পদ তাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, দুর্যোগকালীন সহায়তা, মানবিক কার্যক্রম এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ব্যবহার করবে।’মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আরব আমিরাতকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলেও...
    পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন পাকিস্তান আগ বাড়িয়ে ভারতে হামলা চালাবে না, তবে প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। ভারতের সাথে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং পাহলগাম হামলার আলোকে নয়াদিল্লির অভিযোগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ইসলামাবাদের কূটনৈতিক পদক্ষেপের বিষয়ে সংসদে দেয়া বক্তব্যে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) তিনি এ কথা বলেন। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।  সংসদে ইসহাক দার জানান, হামলা হলে পাকিস্তান একই উপায়ে প্রতিশোধ নেবে, কিন্তু তারা আগ বাড়িয়ে ভারতে হামলা শুরু করবে না।  আরো পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় ষষ্ঠ দিনের মতো ভারত–পাকিস্তানের গোলাগুলি কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৪  পহেলগাম হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বৃদ্ধির পর পাকিস্তানের কূটনৈতিক পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, আজারবাইজান, কুয়েত, বাহরাইন এবং...
    গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে আয়োজিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে তাঁতীবাজার মোড় থেকে তারা লংমার্চ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।  বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে ক্যাম্পাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশ্যে এ পদযাত্রা শুরু করেন তারা। তবে আজ থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করে। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিষয়টির গুরুত্‌ব অনুধাবন করে বিক্ষোভকারীরা তাঁতীবাজার মোড় থেকে রায়সাহেব বাজার দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।  এ সময় ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইসরাইলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ইসরাইলি আগ্রাসন, বন্ধ করো...
    ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তার দেশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনের সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন মাখোঁ। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ম্যাক্রোঁ বলেন, “ফ্রান্সের লক্ষ্য জুন মাসে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কনফারেন্সে নেতৃত্ব দেওয়া, যেখানে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।” আরো পড়ুন: টাইব্রেকার জিতে সেমিফাইনালে ফ্রান্স মদ্রিচের সামনে মুখ থুবড়ে পড়লেন এমবাপে ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “আমি কাউকে খুশি করার জন্য এটি করছি না। আমি এটি করব, কারণ আমি মনে করি এক সময় এটি সঠিক হবে এবং আমি একটি যৌথ গতিশীলতাতে যুক্ত হতে চাই, যেটিতে যারা ফিলিস্তিনকে...
    গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশে এ পদযাত্রা করবেন তাঁরা।আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘ইসরায়েলের নৃশংস হামলা ও বিশ্ব মানবতাকে জাগ্রত করতে আমাদের এই উদ্যোগ। ফিলিস্তিনের প্রতি ন্যায়বিচার ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আমাদের এ আয়োজন। বিশ্ববাসীকে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বার্তা দেব এবং শান্তিপূর্ণভাবে দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করব।’শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ পথ হেঁটে অংশগ্রহণ করবে, তাই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি...
    ফিলিস্তিনিদের দাবিগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করে আরব দেশগুলো। তবে নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও গোষ্ঠীগত উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে দেশগুলোর সম্পর্ক জটিল করে তুলেছে। এতে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক ও সামরিক সংকট।জর্ডান১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় অন্তত ৭ লাখ ফিলিস্তিনি নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়েছিলেন বা তাঁদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তখন বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দিয়েছিল জর্ডান। এ ছাড়া ১৯৬৭ সালের আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েল জয় পাওয়ার পর ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) জর্ডানে আশ্রয় নেয়।জর্ডান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইসায়েলে হামলা চালাত পিএলও। দেশটির তৎকালীন বাদশাহ হুসাইনকেও হুমকি দিয়েছিল তারা। ১৯৭০ সালে বাদশাহর মোটর শোভাযাত্রায় এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। তবে বেঁচে যান বাদশাহ। পরে তিনি পাল্টা আঘাত করেন এবং গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তখন হাজার হাজার মানুষ...
    ঈদ উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ভক্ত-সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলেননি দেশের তারকা ক্রীড়াবিদরা। ক'দিন আগে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া হামজা দেওয়ান চৌধুরী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের সমর্থকদের। জুনে আবারও লাল-সবুজের হয়ে মাঠে নামার প্রত্যয়ও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের ফুটবলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে নজর কাড়েন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ইংল্যান্ডে ফিরে গেলেও, সমর্থকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি তিনি। এক ভিডিও বার্তায় হামজা বলেন, ‘আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। সবার সঙ্গে দ্রুত আবার দেখা হবে।’   বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সমর্থকদের। তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম সবাইকে! ঈদ মোবারক। আশা করি সবাই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন।’   বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন...
    ফুটবল, গলফ, ফর্মুলা ওয়ান এবং টেনিসের মতো ব্যয়বহুল এবং অভিজাত খেলাধুলায় বিশাল বিনয়োগ করেছে সৌদি আরব। এবার মরুর বুজের দেশটি চোখ দিয়েছে ক্রিকেটে। তারা বিশাল বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে একটি গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য, যা একটি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটর প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব নিল ম্যাক্সওয়েলর মাঠা থেকে এসেছে। দ্য এজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত লিগটি টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যামগুলোর মতো হবে, যেখানে আটটি দল বছরে চারটি ভিন্ন স্থানে ম্যাচ খেলবে। এসআরজি স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস, সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) এর স্পোর্টস শাখা, প্রস্তাবিত লিগটি সমর্থন করছে। যা সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার নিল ম্যাক্সওয়েলের একটি চিন্তা-ভাবনা। এই সাবেক ক্রিকেটার আবার রতমান অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্সের ম্যানেজার। আরো পড়ুন: সৌদি আরবে ২১ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার রিয়াদে মহান শহীদ দিবস পালিত...
    গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে এর দখল নিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের এ প্রস্তাব বাস্তবায়নে আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের পক্ষ থেকে থেকে বলা হয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পায়নি। দেশ দুটির পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর আগে আরব দেশগুলোকে এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের বিকল্প হিসেবে আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে মিসরের একটি প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। মিসরের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার পরিবর্তে গাজার পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবের পরিবর্তে আরব নেতাদের পরিকল্পনায় গাজায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।যুক্তরাষ্ট্র...
    গাজা উপত্যকা খালি করতে ফিলিস্তিনিদের বের করে দেওয়ার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। এর আগে গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে পাকাপাকিভাবে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ট্রাম্প।ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেন, ‘গাজা থেকে কোনো ফিলিস্তিনিকে কেউ সরিয়ে নেবে না।’ এদিন ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।এর পরপরই বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানায় হামাস। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনটির মুখপাত্র হাজেম কাসেমি বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য গাজা উপত্যকার জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার ধারণা থেকে সরে আসার প্রতিনিধিত্ব করে, তাহলে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’হামাসের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলি দখলদারত্বকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সব শর্ত বাস্তবায়নে বাধ্য করার মাধ্যমে এই অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করার...
    ইউরোপের প্রধান দেশগুলো বলেছে, তারা ফিলিস্তিনের গাজা পুনর্গঠনে আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাকে সমর্থন করে।আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।গাজা পুনর্গঠনে মিসরের পরিকল্পনাটি আরব নেতারা অনুমোদন করেছেন। কায়রোতে গত মঙ্গলবার আরব লিগের সম্মেলনে মিসরের প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। এর তিন দিন পর গতকাল শনিবার জেদ্দায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়।আরও পড়ুনআরব নেতাদের গাজা পুনর্গঠন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল০৫ মার্চ ২০২৫কিন্তু আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা জোর করে খালি করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের।ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজাবাসীকে জর্ডান ও মিসরে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’য় (ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল বরাবর একটি...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল এবং এখানকার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরব লিগের বিকল্প প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। সৌদি আরবের জেদ্দায় শনিবার ওআইসির এক জরুরি বৈঠক শেষে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এ সময় ওআইসির পক্ষ থেকে আঞ্চলিক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মিসরের কায়রোতে গত মঙ্গলবার আরব লিগের এক সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠনে মিসরের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এর তিন দিন পর জেদ্দায় ৫৭ সদস্যের ওআইসির বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিকল্প মিসরের প্রস্তাবে গাজা পুনর্গঠনে এর ভবিষ্যৎ প্রশাসন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এর দখল নেওয়ার বিষয়টিতে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। ওআইসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওআইসি গাজার দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মুসলিম...
    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে মিসরের দেওয়া এই পরিকল্পনা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এ কথা জানিয়েছেন।এই পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার প্রয়োজন হবে না। এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের মিসর ও জর্ডানে পাঠিয়ে গাজায় উপকূলীয় পর্যটন শহর গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।সম্মেলনে সিসি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে সমর্থ হবেন বলে তিনি নিশ্চিত। এই সংঘাতে গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন হলো কারা এই উপত্যকা শাসন করবে। এ ছাড়া পুনর্গঠনের কাজে প্রয়োজনীয় শত শত কোটি ডলার কোন কোন...
    আরব নেতাদের যাচাইয়ের মুহূর্ত এখন আর মাত্র ১০ দিন দূরে। ৪ মার্চেই সেই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন কায়রোয় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি রিয়াদে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ‘ফিলিস্তিন সংকট মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওপরের সংবাদটি এসেছে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে। সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবিও ছিল। ছবিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পাশে জর্ডান, মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও কুয়েতের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।এই সাত দেশের মধ্যে মিসর ও জর্ডান বহু আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আব্রাহাম চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।অন্যদিকে সৌদি আরব ও কাতারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক বজায় রাখে। তাই এই নেতারা যখন ট্রাম্পের গাজায় জাতিগত নিধনের পরিকল্পনার...
    ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে সৌদি আরবে, এটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সমর্থকদের সমাগম, উৎসবমুখর পরিবেশ, আর অনেকের কাছেই এর সঙ্গে অ্যালকোহল পান জড়িয়ে থাকে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিশ্বকাপের অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছে, দেশটিতে মদ্যপানের কোনো সুযোগ থাকবে না। বুধবার যুক্তরাজ্যে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ নিশ্চিত করেছেন, ২০৩৪ বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া দর্শকরা সৌদি আরবে মদ পান করতে পারবেন না। এমনকি হোটেলেও অ্যালকোহল বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, 'আমাদের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।' যুক্তরাজ্যের এলবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এই মুহূর্তে আমরা মদ অনুমোদন করি না। মদ ছাড়া আনন্দ করা সম্ভব- এটি মোটেও অপরিহার্য নয়। কেউ চাইলে সৌদি ছাড়ার পর পান করতে পারেন,...
    ২০৩৪ বিশ্বকাপ ফুটবল হবে সৌদি আরবে। দর্শক ও ভক্তদের এই বিশ্বকাপে মদ্যপান করতে দেওয়া হবে না বলে গতকাল জানিয়েছেন ইংল্যান্ডে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ।খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ বলেছেন, এই টুর্নামেন্ট দেখতে যাঁরা সৌদি আরবে যাবেন, তাঁদের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটির সংস্কৃতিকে সম্মান করা উচিত। বিশ্বকাপ চলাকালীন সৌদি আরবের কোথাও মদ বিক্রি করা হবে না, এমনকি হোটেলেও না।আরও পড়ুনফুটবল ছেড়ে কি আমেরিকান ফুটবলে যোগ দেবেন হ্যারি কেইন২ ঘণ্টা আগেগত বছর ডিসেম্বরে ভার্চ্যুয়াল ফিফা কংগ্রেসে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ চূড়ান্ত করতে সদস্যদেশগুলোকে ভোট দিতে বলেছিল ফিফা। সে ভোটে শুধু সৌদি আরবই প্রার্থী ছিল। ফিফার পক্ষ থেকে সৌদির নামটি বলার পর সদস্যরা শুধু হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান। এই সমর্থনই ভোট।ব্রিটেনের রেডিও স্টেশন এলবিসিকে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘এ...
    সিরিয়ায় তেহরানের প্রভাবের পতন ও লেবাননে ব্যাপকভাবে তেহরানের প্রভাব কমে যাওয়ার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আর কোনো প্রয়োজন থাকতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ডানপন্থী ইহুদিবাদী লবিগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে যুক্তি এত দিন দিয়ে এসেছে, সেটার আর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই লবিগুলো, পূর্ববর্তী যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন, নেতানিয়াহু ও ইসরায়েল সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে একদা সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জোর তদবির করেছিল। তার কারণ হলো, সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে তারা সবাই লাভবান হতে পারত, কিন্তু এতে সবচেয়ে বড় পরাজয়টা সৌদি আরবের হতো।যাই হোক, সৌদি আরব সম্প্রতি যেসব নীতি নিয়েছে এবং বিবৃতি দিয়েছে (বিশেষ করে গাজা খালি করা নিয়ে ট্রাম্পের উন্মাদের মতো বক্তব্যের পর) তাতে স্পষ্ট যে দেশটি খুব শক্তভাবে আরব অবস্থানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যে যে বড় ধরনের...
    নির্বাচনী প্রচারণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি ‍যুদ্ধ করতে যাচ্ছেন না, যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছেন। তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন মুসলিমসহ আরব মার্কিনিরা। শপথের আগেই দূতিয়ালি করে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সফল হন। কিন্তু এবার তিনি যা বললেন, তা ছিল নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘাঁ’র মতো। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, তিনি গাজা দখল করতে চান এবং সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেবেন।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের আগে আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে এভাবে একপক্ষীয় অবস্থান নেননি। তীব্র সমালোচনা করে অনেকে এটাকে ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও ‘আকাশকুসুম কল্পনা’ বলেও বর্ণনা করছেন। ট্রাম্প যখন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, তখন হোয়াইট হাউসের বাইরে অবস্থান নিয়ে শত শত বিক্ষোভকারী স্লোগান...
    সৌদি আরব ছেড়ে ঘরে ফিরছেন নেইমার জুনিয়র। সান্তোসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করছেন তিনি। আল হিলালের সঙ্গে সমঝোতা করে চুক্তি বাতিল করেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। সৌদি ছাড়ার আগে আল হিলাল, ক্লাবটির ভক্ত, সৌদি আরব ও দেশটির নতুন বন্ধুদের নিয়ে বার্তা দিয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা।  নেইমার জানিয়েছেন, এখন তিনি আসল সৌদিকে চেনেন। এছাড়া ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক সৌদির জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় তিনি লিখেছেন- সৌদি ফুটবলে নজর রাখবেন তিনি।  নেইমার লিখেছেন, ‘আল হিলালের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে এবং ভক্তদের ধন্যবাদ। আমি এখানে খেলার জন্য নিজের সবটা উজাড় করে চেষ্টা করেছি। আশা করেছিলাম, মাঠে উপভোগ্য সময় কাটাব। আমি ও আমার পরিবারকে নতুন একটি ঘর ও দারুণ অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি এখন প্রকৃত সৌদিকে চিনি এবং...
    গত নভেম্বরে সামরা লোকমান রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির ১ শতাংশ সুযোগ থাকে, তাহলে সেটা ট্রাম্পের চাপেই হতে পারে। তিনিই ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো পছন্দ। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প জিতেছেন এবং আগামী সোমবার তিনি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। তাঁর এ অভিষেক দিনকে সামনে রেখে হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে। আরব মার্কিনি লোকমান বলেন, তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর ক্ষুব্ধ। চুক্তিটি তিনি আরও কয়েক মাস আগে করতে পারতেন। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ট্রাম্পের ভূমিকার কারণে বাইডেনের ওপর তাঁর ক্ষোভ আরও বেড়েছে। ট্রাম্প তো এখনও হোয়াইট হাউসেও প্রবেশ করেননি। তার পরও তাঁর চেষ্টায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তি অনেক আগেই হতে পারত। এতে অনেকে প্রাণ বেঁচে যেত। তিনি...
    অভিযোগটা গুরুতর। সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনাল দেখতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন মায়োর্কার খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-০ গোলে হারে মায়োর্কা। জেদ্দায় এই ম্যাচের পর স্থানীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করেছেন মায়োর্কার দুই খেলোয়াড়ের স্ত্রীরা।আরও পড়ুনটানা ২৪ বছরে গোলের রেকর্ড রোনালদোর, মেসি কি ছুঁতে পারবেন১৮ ঘণ্টা আগেমায়োর্কার মিডফিল্ডার দানি রদ্রিগেজের স্ত্রী ক্রিস্টিনা পালভারা স্পেনের টিভি সাংবাদিকের কাছে এই অভিযোগ করেছেন। ম্যাচ শেষে কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় তিনি এবং মায়োর্কার গোলকিপার ডমিনিক গ্রিফের স্ত্রীকে হয়রানি করেন স্থানীয় কিছু পুরুষ সমর্থক।স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল এসপোর্তস আইবি৩-কে পালভারা বলেছেন, ‘(স্টেডিয়াম থেকে) বের হওয়াটা ছিল বেশ জটিল। আমরা সন্তানদের নিয়ে একা ছিলাম এবং কোনো নিরাপত্তা ছিল না। সত্যিটা হলো এই দেশের কিছু পুরুষ খুব কাছ থেকে...
۱