বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লেন পারভেজ হোসেন ইমন। শারজাহতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করে দেশের হয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শতকের মালিক হলেন তিনি। এর আগে একমাত্র সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের দখলে। ২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে করেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগের সাত ইনিংসে অর্ধশতকও না পাওয়া ইমন তাই নিজের ইনিংসকে বলছেন ‘বিশেষ’। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি, তাই অনুভূতিটাও আলাদা। উইকেটকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি।’

ইমনের এই কীর্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও। ফেসবুকে ইমনের ব্যাটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে তামিম লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ইমন।’ সঙ্গে দিয়েছেন ব্যাট, বাংলাদেশের পতাকা ও ‘১০০’ ইমোজি।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলেও পুরো ম্যাচে আরব আমিরাত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। ইমন যেভাবে ব্যাট করেছে, সেটা দুর্দান্ত। তবে আমাদের শেষটা আরও ভালোভাবে করতে হবে। শেষ তিন ওভারে আমরা তেমন রান তুলতে পারিনি।’

বোলারদের প্রশংসা করে লিটন বলেন, ‘আমি জানি আমাদের বোলাররা যে কোনো সময় ম্যাচে ফিরতে পারে। মাঝের ওভারগুলোতে খেলা ছিল হাড্ডাহাড্ডি। তবে বোলাররা যেভাবে চাপ সামলে বোলিং করেছে, সেটা অসাধারণ ছিল।’

সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা খেলি, আমাদের সমর্থকরা মাঠে এসে সাপোর্ট দেয়। এটা দারুণ ব্যাপার।’

শেষে লিটন যোগ করেন, ‘তারা (আমিরাত) মাঝের ওভারে যেভাবে ব্যাট করেছে, আমাদেরও নিজেদের বোলিং নিয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। এই মাঠে কী ধরনের বল বেশি কার্যকর হয়, সেটা বুঝে নিতে হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।

বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ