পারভেজের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে জয়, তবুও তৃপ্ত নন লিটন
Published: 18th, May 2025 GMT
পারভেজ হোসেন ইমন ছক্কা বৃষ্টি নামিয়ে পেলেন সেঞ্চুরি। ৫৪ বলে করলেন ১০০ রান। বাকিরা কেবল ৯১। যে গতিতে বাংলাদেশের রান এগিয়ে যাচ্ছিল সেই রেশ শেষ দিকে থাকেনি।
শেষ ৩ ওভারে রান এসেছে কেবল ২২। বাউন্ডারি মাত্র ৩টি। ছক্কা নেই ১টি-ও। স্কোরবোর্ডে ১৯১ রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ অনায়েসে ২৭ রানে ম্যাচ জিতেছে। কিন্তু এই জয়ে তৃপ্ত নন অধিনায়ক লিটন দাস।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে শেষ ৩ ওভারের প্রসঙ্গই টেনে আনলেন লিটন, ‘‘উইকেটে ব্যাটিং করে ভালো লাগছিল। আমার মনে হয়েছে ইমন (পারভেজ) যেভাবে খেলেছে তা সত্যিই অসাধারণ ছিল। কিন্তু আমাদের ভালোভাবে শেষ করতে হবে, কারণ শেষ তিন উইকেটে আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি।’’
নিজেদের মাঠে সংযুক্ত আরব আমিরাতও দারুণ জবাব দিচ্ছিল। ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৮২ রান তুলে নেন তারা। ১০ ওভারে রান ৯৮। হাতে ৮ উইকেট রেখে শেষ ৬০ বলে দরকার ৯৪ রান। যা টি-টোয়েন্টিতে অহরহ হয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় অর্ধে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ কামব্যাক করে। তাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যনাদের বেশিদূর যেতে দেয়নি বোলাররা।
বোলারদের প্রশংসা করে লিটন বলেছেন, ‘‘আমি আমার বোলারদের জানি, যেকোনো সময় তারা ফিরে আসতে পারে। কিন্তু একই সাথে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা সত্যিই ভালো খেলেছে। মাঝখানের ওভারে তারা যেভাবে ব্যাট করেছে তার কৃতিত্ব তাদের। আমাদের বোলিংয়ের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। সবাই যেভাবে বল করেছে এবং শান্ত থেকেছে, ভালো লেগেছে। মাঝখানে, কিছুটা ৫০-৫০ বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু সব বোলার যেভাবে বল করেছে, তা অসাধারণ ছিল।’’
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমর্থন পেয়ে উচ্ছ্বসিত লিটন, ‘‘আমরা যখনই খেলি, আমাদের সমর্থকরা খেলা দেখতে আসে এবং উপভোগ করে। তাদের সমর্থনও সত্যিই অসাধারণ।’’
আগামী ১৯ মে একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে
ঢাকার সাভার উপজেলার সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোরে আশুলিয়ায় বেরন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটির অধিকাংশ আসন পুড়ে গেছে।
চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার যাত্রী পরিবহন শেষে রাতে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় সড়কের পাশে গ্রামীণ পরিবহন নামের মিনিবাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর চারটার দিকে চালকের সহকারী বাসটি ধুয়েমুছে টয়লেটে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন বাসটিতে আগুন জ্বলছে। পরে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে গভীর রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, তাপে চালক জেগে ওঠায় রক্ষা১ ঘণ্টা আগেচালক মো. পিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি রাতেই ওই এলাকায় গাড়ি রাখি। এরপর ভোর পাঁচটায় গাড়ি বাইর করি। কাইল রাইতে হেলপার বাস পরিষ্কার কইরা ওয়াশরুমে গেছে, এরপর আইসা দেখে আগুন জ্বলতাছে। তখন পৌনে পাঁচটার মতো বাজে। বাসের সব সিট (আসন) পুইড়া গেছে। এটা ৩২ সিটের গাড়ি। দুই লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইছে।’
দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হলেও কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে বলে জানান আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যিনি বা যাঁরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’