কাতারের পর তুরস্ক কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট
Published: 23rd, September 2025 GMT
গত সপ্তাহে কাতারের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ‘ন্যাটোবহির্ভূত প্রধান মিত্র’ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ ইসরায়েলের সমর্থক ভাষ্যকারেরা দ্রুত নজর ঘুরিয়ে নেন তুরস্কের দিকে।
ওয়াশিংটনে ডানপন্থী আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন প্রস্তাব করেন যে তুরস্ক হতে পারে ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য এবং সতর্ক করেন যে ন্যাটো সদস্যপদ তুরস্কের রক্ষাকবচ হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি একাডেমিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মেইর মাসরি পোস্ট করেন, ‘আজ কাতার, কাল তুরস্ক।’
আঙ্কারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অস্বাভাবিক কঠোর ভাষায় লেখেন, ‘জায়নবাদী ইসরায়েলের কুকুর.
মাসের পর মাস ধরে ইসরায়েল–সমর্থিত সংবাদমাধ্যম তুরস্কবিরোধী বক্তব্য বাড়িয়েছে, তুরস্ককে ‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু’ হিসেবে উপস্থাপন করছে। ইসরায়েলি ভাষ্যকারেরা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের উপস্থিতিকে ‘হুমকি’ এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সিরিয়া পুনর্গঠনে দেশটির ভূমিকাকে ‘নতুন উদীয়মান বিপদ’ হিসেবে চিত্রিত করেছে।
আরও পড়ুনতুরস্ক যে কারণে নিজেদের ইসরায়েলের চূড়ান্ত টার্গেট মনে করছে ০২ আগস্ট ২০২৫ইসরায়েলের আঞ্চলিক আগ্রাসন বাড়তে থাকায় এবং গাজায় যুদ্ধের কোনো সমাপ্তি না আসায়, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান আগস্টে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করেন।
আটলান্টিক কাউন্সিলের নন-রেসিডেন্ট ফেলো ওমের ওজকিজিলসিক আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আঙ্কারায় এই (তুরস্কবিরোধী) বক্তব্য গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয়, কারণ ইসরায়েলকে আঞ্চলিক আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা করতে দেখা হচ্ছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তুরস্ক ক্রমবর্ধমানভাবে মনে করছে যে ইসরায়েলি আগ্রাসনের কোনো সীমা নেই এবং এটা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে।’
কাতারের ওপর হামলা আঙ্কারার মনে ন্যাটো মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আরও সন্দেহ জাগিয়েছে। দোহা ওয়াশিংটনের বিশেষ মিত্র হয়েও ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দৃশ্যমান কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ন্যাটো সনদে বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই তুরস্কের ওপর কোনো হামলাকে নিজের ওপর হামলা হিসেবে দেখবে? তবে তুরস্ক আরব রাষ্ট্রগুলোর মতো নয়; দেশটি অনেক আগেই বুঝেছে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর ওপর নির্ভর করা যাবে না।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্রমেই তাঁর দেশের সম্প্রসারণবাদী লক্ষ্য নিয়ে প্রকাশ্যে গর্ব করতে শুরু করেছেন। আগস্টে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কি ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণায় বিশ্বাস করেন, তিনি উত্তর দেন, ‘অবশ্যই।’
আঙ্কারার কাছে এই বক্তব্য নিছক প্রতীকী নয়—এটি এমন এক ইসরায়েলি আধিপত্যের স্বপ্নকে প্রকাশ করে, যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিস্তৃত এবং সরাসরি তুরস্কের আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
রোববার আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিদান বলেন, ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ভিশন হলো এমন একটি প্রকল্প, যা কিছু জায়নবাদীর মতে আধুনিক সিরিয়া, লেবানন, মিসর ও জর্ডান পর্যন্ত বিস্তৃত। এর উদ্দেশ্য হলো এ অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্বল, অকার্যকর করে রাখা এবং বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে বিভক্ত করা।
শুধু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় গণহত্যামূলক হামলা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় প্রতিদিনের অভিযান চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েল ইয়েমেন ও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে এবং তিউনিশিয়ায় গাজার সাহায্যবাহী নৌবহরে হামলার অভিযোগও উঠেছে।
এই পটভূমিতে তুরস্ক ও ইসরায়েল ইতিমধ্যেই ‘ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা’য় আবদ্ধ, বলেন ওজকিজিলসিক। তাঁর মতে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড তুরস্কের এজেন্ডার সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি করছে—যেখানে তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী (কেন্দ্রীকৃত) রাষ্ট্র চায়, আর ইসরায়েল চায় বিভক্ত রাষ্ট্র, যেখানে একাধিক শক্তি ক্ষমতা ধরে রাখবে।
আঞ্চলিক আধিপত্যবাদীইসরায়েল আরব অঞ্চলের একমাত্র প্রভাবশালী শক্তি হয়ে উঠতে চাইছে—এমন ধারণা জুলাই মাসে আরও জোরালো হয়, যখন তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়ার বিশেষ দূত টম ব্যারাক এক চমকপ্রদ মন্তব্য করেন, ইসরায়েল চায় সিরিয়া ভেঙে টুকরা টুকরা হোক। তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী জাতি-রাষ্ট্রগুলোই, বিশেষ করে আরব রাষ্ট্রগুলোকে ইসরায়েলের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হয়।’
আঙ্কারার জন্য এই বার্তা ছিল স্পষ্ট, নিরাপদ থাকতে চাইলে ইসরায়েলকে আঞ্চলিক আধিপত্য কায়েম করতে হবে। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডও তা প্রমাণ করছে। ৮ ডিসেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মস্কোয় পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশটি সিরিয়ার ওপর ডজন ডজনবার বোমা হামলা চালিয়েছে এবং সেই বিশৃঙ্খলার সুযোগে সিরিয়ার ভূখণ্ড দখল করেছে।
২০২৪ সালে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর নেতৃত্বের বড় একটি অংশকে হত্যা করেছে এবং যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও লেবাননের কিছু অংশ দখল করে রেখেছে, যাতে দলটিকে দুর্বল বা ধ্বংস করা যায়। জুন মাসে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালিয়ে ১২ দিনের এক যুদ্ধ শুরু করে, যাতে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু হয়, শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা নিহত হন এবং যুক্তরাষ্ট্রকেও এই যুদ্ধে টেনে আনা হয়। ইসরায়েলের হামলাগুলোর উদ্দেশ্য ছিল শুধু তেহরানের প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক সক্ষমতাকে দুর্বল করা নয়, বরং ইরানে সরকার পরিবর্তনের জন্য ওয়াশিংটনকে প্ররোচিত করা।
রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র র ষ ট রগ ল ইসর য় ল র র ইসর য় ল ত রস ক র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
হজরত আদম (আ.) এবং পৃথিবীতে তাঁর প্রথম আবাস
আমাদের এই পৃথিবীতে মানবজাতির ইতিহাস শুরু হয়েছিল নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা যখন ফেরেশতাদের উদ্দেশে ঘোষণা করলেন, ‘আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে যাচ্ছি,’ তখনই মূলত সূচনা ঘটে মানব ইতিহাসের। ফেরেশতারা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আপনি কি এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে সেখানে ঝগড়া-ফাসাদ ও রক্তপাত ঘটাবে?’
আল্লাহ তায়ালা তখন বলেন, ‘আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।’ (সুরা বাকারা, ৩০-৩৪)
কোরআনে উল্লেখ আছে, আল্লাহ তাঁকে সৃষ্টি করেছেন ‘শুষ্ক কাদামাটি থেকে, যা রূপান্তরিত হয়েছিল কালচে শুকনো মাটিতে।’ (সুরা হিজর, ২৬)
আল্লাহ নিজ হাতে আদম (আ.)-এর অবয়ব তৈরি করেন, তাতে প্রাণ ফুঁকে দেন এবং ফেরেশতাদের আদেশ করেন তাকে সেজদা করতে।আল্লাহ নিজ হাতে আদম (আ.)-এর অবয়ব তৈরি করেন, তাতে প্রাণ ফুঁকে দেন এবং ফেরেশতাদের আদেশ করেন তাকে সেজদা করতে। সকল ফেরেশতা তাকে সেজদা করলেও শয়তান অহংকারের কারণে তা অস্বীকার করে এবং চিরকালীন অভিশপ্ত হয়ে যায়। এই অহংকার-অবাধ্যতার প্রতিচ্ছবি পরবর্তীকালে মানবজীবনের পরীক্ষার অংশ হয়ে যায়। (সুরা হিজর-এর ব্যাখ্যা, তাফসিরে তাবারি)
জান্নাতে আদম (আ.) শান্তি ও আনন্দে জীবনযাপন করছিলেন। আল্লাহ তাঁর জন্য সঙ্গী হিসেবে সৃষ্টি করলেন হাওয়া (আ.)-কে। উভয়েই জান্নাতের ফলভরা বাগানে নির্ভাবনায় ছিলেন, যতক্ষণ না শয়তান তাঁদের প্রতারণায় ফেলে দেয়। শয়তান আল্লাহর নিষেধ করা গাছের ফল খেতে প্রলুব্ধ করে। ফলে তাদের জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই নামো পৃথিবীতে, একে অপরের শত্রু হিসেবে। সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে বাসস্থান ও জীবিকা কিছু সময়ের জন্য।’ (সুরা আ’রাফ, আয়াত: ২৪)
আরও পড়ুনআদম (আ.)–কে যে দোয়া শিখিয়ে দেন আল্লাহ ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থের ভাষ্যমতে, আদম (আ.) অবতরণ করেন পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তে, বর্তমান শ্রীলঙ্কার সেরেন্দিব বা আদম ’স পিক নামক এক পাহাড়ে। ইবনে আব্বাস রা.-এর সূত্রে ইমাম তাবারি ও ইবনে কাসিরের বর্ণনা অনুযায়ী, আদম (আ.)-এর পায়ের ছাপ সেই পাহাড়ের চূড়ায় দীর্ঘকাল ধরে মুসলিম, বৌদ্ধ ও হিন্দু ঐতিহ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে হাওয়া (আ.) অবতরণ করেন আরবের জেদ্দা শহরে, যার নামের অর্থই ‘দাদি’। ইসলামি ইতিহাসবিদ ইমাম সুয়ুতি উল্লেখ করেন, বহুদিন পর তাঁদের পুনর্মিলন ঘটে মক্কার নিকটে আরাফাতের ময়দানে। সে কারণেই এ স্থানটির নাম ‘আরাফাত’, যার অর্থ ‘পরিচিত হওয়া’। (ইমাম তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক; ইমাম ইবনে কাসির, কাসাসুল আম্বিয়া; ইমাম সুয়ুতি, আদ-দুররুল মানসুর)
পৃথিবীতে এসে আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) মানবজীবনের প্রথম অধ্যায় রচনা করেন। আল্লাহ তাদের কৃষিকাজ, পোশাক তৈরির জ্ঞান এবং পারস্পরিক সহাবস্থানের শিক্ষা দেন। ইবনে কাসির (রহ.) বর্ণনা করেন, আদম (আ.) ছিলেন প্রথম নবী ও প্রথম শিক্ষক যিনি তার সন্তানদের আল্লাহর একত্ববাদ ও ন্যায়পরায়ণতার শিক্ষা দিতেন।
মানবজাতির প্রথম সংঘাতও ঘটে তাদের সন্তান কাবিল ও হাবিলের মাধ্যমে। এই ঘটনাই মানবসমাজে ন্যায়বিচার ও অনুশোচনার প্রাথমিক শিক্ষা হিসেবে গৃহীত হয়। (সুরা মায়িদাহ, ২৭–৩১; তাফসিরে ইবনে কাসির; ইমাম নববি, শারহে মুসলিম)
আরও পড়ুনআদম-হাওয়া (আ.)-এর বিয়ে ও সন্তান১৭ নভেম্বর ২০২৪মানবজাতির প্রথম সংঘাতও ঘটে তাদের সন্তান কাবিল ও হাবিলের মাধ্যমে। এই ঘটনাই মানবসমাজে ন্যায়বিচার ও অনুশোচনার প্রাথমিক শিক্ষা হিসেবে গৃহীত হয়।কোনো কোনো তাফসিরকার উল্লেখ করেছেন, আদম (আ.) পরবর্তীতে মক্কা অঞ্চলে চলে আসেন এবং সেখানে প্রথম ইবাদতের ঘর বাইতুল্লাহ নির্মাণ করেন। ইমাম ইবনে কাসির ও ইমাম কুরতুবির মতে, এই ঘরটি পৃথিবীর প্রথম ইবাদত কেন্দ্র, যা পরে নবী ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.) পুননির্মাণ করেন। (ইবনে কাসির, কিসাসুল আম্বিয়া; কুরতুবি, তাফসিরে সুরা আল-বাকারা)
ইসলামি বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী যদিও পৃথিবীতে আদম (আ.)-এর পদচিহ্ন সম্পর্কিত স্থানগুলোর নির্দিষ্ট কোনো ভিত্তি নেই, তবু শ্রীলঙ্কার আদম’স পিক এখনো বহু মুসলমানের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। অন্যান্য ধর্মের মানুষও এ স্থানকে পবিত্রজ্ঞান করে থাকে।
জেদ্দায় হাওয়া (আ.)-এর সমাধিস্থল হিসেবে পরিচিত স্থানের ঐতিহ্য ইসলামি ঐতিহাসিক সূত্রে বিদ্যমান, যদিও আধুনিক কালে তা চিহ্নিত নয়। আরাফাত ময়দান আজও হজের অন্যতম কেন্দ্র; যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসলমান আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর পুনর্মিলনের স্মৃতিতে দাঁড়িয়ে তাওবা করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে।
আরও পড়ুনহজরত আদম (আ.) বিশ্বের প্রথম নবী০৭ জানুয়ারি ২০২৫