প্রথম দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা (যা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও সমর্থন করেছেন) গাজার দীর্ঘ দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামানোর জন্য এখন পর্যন্ত যত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ। ট্রাম্প নিজেই বলছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের ‘হাজার বছরের’ পুরোনো সমস্যার সমাধান খুঁজছেন, আর সে লক্ষ্যে তিনি প্রচুর রাজনৈতিক ‘মূলধন বিনিয়োগ’ করেছেন। এই পরিকল্পনার পেছনে আঞ্চলিক দেশগুলোর সমর্থনও আছে বলে শোনা যাচ্ছে।

কিন্তু সমস্যা হলো, এটি আসলে কোনো স্পষ্ট ও বিস্তারিত রোডম্যাপ নয়। বরং এটিকে তাড়াহুড়া করে কাগজে টেনে দেওয়া একটা খসড়া বলা যেতে পারে। মানে, এতে গন্তব্যের দিকনির্দেশনা আছে বটে, কিন্তু তা এতটাই অস্পষ্ট ও ঝাপসা যে, যেকোনো মুহূর্তে পুরো পথ হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি তৈরি হবে।

সহজভাবে বললে—এই পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজে লাগলে হয়তো সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে, কিন্তু ভেতরে-ভেতরে এতে এত ফাঁকফোকর আছে যে ভুল পথে গেলে নতুন জটিলতাও তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ পরিকল্পনাটি যেমন বড় আশা দেখায়, তেমনি সমানভাবে তা ভেস্তে যাওয়ারও আশঙ্কাও বহন করে।

প্রথমত, হামাস এই পরিকল্পনা ভালো চোখে দেখবে, এমন সম্ভাবনা কম। কারণ, এতে বলা হয়েছে হামাসকে সব কিংবা অধিকাংশ অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে; আর গাজা পরিচালনা করবে স্বয়ং ট্রাম্পের নেতৃত্ব দেওয়া এক ‘শান্তি পরিষদ’। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান মেনে নেওয়া হামাস সদস্যদের জন্য সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাবও খুব আকর্ষণীয় নয়।

হামাস দাবি করতে পারে, তাদের কারণে সাহায্য পৌঁছাচ্ছে। অর্থাৎ, তারা বলতে পারে, তাদের সক্রিয়তা ও শক্তি না থাকলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ বা লজিস্টিক কাজ করতে পারত না। তাই শুধু সাহায্য পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক অস্তিত্ব ত্যাগ করানো কঠিন।

প্রশ্ন হলো, কাতার বা অন্যরা হামাসকে কি এতটা চাপ দিতে পারবে যে হামাস অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই পরিকল্পনায় সাময়িক সম্মতি দেবে? কারণ, হামাস সম্মতি দিলে তা মূলত গাজায় তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আরও প্রশ্ন হলো, হামাস নেতাদের কি বোঝানো সম্ভব হবে যে তাদের হাতে থাকা ৫০ জনের মতো ইসরায়েলি বন্দী আসলে এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে—কারণ এটিকেই অজুহাত বানিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে? গাজার সামরিক কমান্ডাররা কি কাতার বা ইস্তাম্বুলে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে একমত হবেন? এসব প্রশ্নের কোনো নিশ্চিত জবাব নেই।

ট্রাম্প বলছেন, আরব দেশগুলো নাকি গাজাকে নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে রাজি হয়েছে। যদি সত্যি তা–ই হয়, তাহলে এটি অবশ্যই বড় ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর মানে আসলে কী? এসব আরব দেশ কি গাজায় সেনা পাঠাবে, শুধু টাকা দেবে নাকি দুটোই করবে? এখন পর্যন্ত কোনো দেশ সরাসরি বলেইনি যে তারা সেনা পাঠাবে। অথচ কাজটা হবে ভীষণ জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। সেনা পাঠানো বা পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মাসের পর মাস লেগে যাবে আর সেই সময়েই কে কী করবে, তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।

ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারকে নিরস্ত্রীকরণের গতি ও মাত্রার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এটি ইসরায়েলের জন্য সুবিধাজনক। কারণ যেসব এলাকা তারা ছাড়বে, সেগুলো আগেই তাদের ধ্বংসাত্মক অভিযানে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ধীরগতির প্রত্যাহার তাদের জন্য ক্ষতির নয়। হয়তো একসময় তারা শুধু সীমানার পাশে গিয়ে অবস্থান করবে, কিন্তু কত দিন লাগবে, সেটি অনিশ্চিত। প্রকাশিত মানচিত্রও অস্পষ্ট। এগুলো হামাসের সাম্প্রতিক আলোচনায় করা দাবির সঙ্গে একেবারেই মেলে না। আর কোনো পর্যায়েই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প দুজনই জোর দিয়ে বলেছেন, যদি বিষয়গুলো তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী না এগোয়, আর আরব দেশগুলো হামাসকে চাপ দিতে না পারে, তবে মার্কিন সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল আবার সামরিক অভিযান শুরু করবে। চুক্তি কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস বন্দীদের মুক্তি দিলেই ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার সুযোগ পেয়ে যাবে। এর আগে মার্চ মাসে ইসরায়েল দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ভেঙেছিল।

আঞ্চলিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা (অর্থাৎ আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করা) এবং আব্রাহাম চুক্তি আরও এগিয়ে নেওয়া একধরনের আকর্ষণীয় লক্ষ্য হতে পারে। কিন্তু গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, ইসরায়েলের নীতিনির্ধারকেরা (সরকার ও নেতৃত্ব) আসলে এই লক্ষ্যগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না।

নিজ দেশে বিভাজন বাড়ছে, যুদ্ধবিরোধী মনোভাব ছড়াচ্ছে, আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা ও কূটনৈতিক ব্যর্থতা বাড়ছে—এই প্রেক্ষাপটে নেতানিয়াহু হয়তো হিসাব কষেছেন, যুদ্ধ চালিয়ে গেলে সামান্য লাভ হলেও তার খরচ অনেক বেশি। তাই তাঁর জন্য এখনই ‘বিজয় ঘোষণা’র সময়।

এখন নেতানিয়াহু নতুন এক প্রচারণা শুরু করছেন। পুরো সংঘাতকালেই দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ডের হুমকির মুখে থাকা নেতানিয়াহু নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা আঁকড়ে রাখাকেই মূল লক্ষ্য করেছেন। এবার মনে হচ্ছে তিনি ভাবছেন, তাঁর জোটের অতি ডানপন্থী সদস্যরা সরকার ছাড়লেও তিনি টিকে থাকবেন। হয়তো তিনি তাঁদের হুমকিকে পাত্তা দেবেন না বা নেসেটে (পার্লামেন্ট) সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখবেন। তাঁর ধারণা, এক বছরের মধ্যে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তিনি জিততেও পারেন।

ট্রাম্প যে পরিকল্পনা টেনেছেন, তাতে হামাস ছাড়া বাকিরা সম্মতি দিয়েছে—এটা বড় কথা। তবে সত্যিকারের কাজ এখন শুরু। হামাসকে রাজি করে নেওয়া গেলেও অনেক ছোট-বড় বিষয় পরিষ্কার করতে হবে, সবকিছু লিখে চুক্তিতে আনতে হবে এবং তারপর তা বাস্তব করতে হবে। এগুলো করতে সময় লাগবে এবং তা সহজও না। তাই সফল হওয়া বা স্থায়ী শান্তি পাওয়া এখনো অনিশ্চিত।

জেসন বার্ক দ্য গার্ডিয়ান-এর কলাম লেখক

দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেওয়া, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র জন ত ক ইসর য় ল র আরব দ শ লক ষ য র জন য বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির

ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম পর্বত ‘আমা দাবলাম’ জয় করছেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। গত ৪ নভেম্বর নেপাল সময় দুপর ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার এই পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেন তিনি। 

পর্বতারোহণ বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তার এই অভিযানে সঙ্গী হিসাবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।

আরো পড়ুন:

রঙ হারাচ্ছে অদম্য মেধাবীর ভবিষ্যতের স্বপ্ন

উপজেলায় এইচএসসিতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন অনুরাগ

আমা দাবলাম খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।

চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, “আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সব তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।”

তিনি বলেন, “আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সব প্রাণী শক্তিশালী। আসুন, ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরো বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।”

যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছাড়েন তৌকির। এরপর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় তার মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তৌকির শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা এক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত। 

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষার পাত। এই তুষার পাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১ এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফিট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরো খারাপ হলে তাদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাবার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।

৬৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম পর্বত

তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচদিন। তরপর সুখবর আসে রুট ওপেন হবার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এইদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-১ এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-২ এ পৌঁছান। বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌছান তিনি।

তৌকির বিশ্বাস করেন, ‍“স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।”

তরুণ এই পর্বতারোহী এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তার সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তৌকির ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারো উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।

এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক ও ৬৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।

তারও আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৌকির খুম্বু রিজিওনের ৫০৭৬ মিটার উচ্চতার নাগা অর্জুন এবং ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন।

তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল-ই তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ