সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি সই
Published: 13th, May 2025 GMT
পারস্পারিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান দুই দেশের মধ্যকার একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে সই করেছেন। এর অংশ হিসেবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা বিক্রয় নিয়ে সমঝোতা সই হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
তারা বলেছে, প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে এবং এর আওতায় সৌদি আরবকে অত্যাধুনিক যুদ্ধ সামগ্রী ও সেবা সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্রের এক ডজনেরও বেশি প্রতিরক্ষা কোম্পানি। খবর বিবিসির
দুই দেশের সই করা সমঝোতায় জ্বালানি ও খনিজবিষয়ক স্মারক, ভবিষ্যৎ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার জন্য আগ্রহপত্র ছাড়াও মহাকাশ ও সংক্রামক ব্যাধির বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি স্মারক রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মোহাম্মেদ বিন সালমান যখন কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে সই করেছেন তখন অনুষ্ঠানস্থল ছিল করতালিতে মুখরিত।
এর আগে দুই নেতার বৈঠকের সময় ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে তার বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
যদিও এই বৈঠকের বিস্তারিত সম্পর্কে এখনও খুব কমই জানা গেছে। তবে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গেছে ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আমরা পরস্পরকে খুব পছন্দ করি’। উপসাগরীয় অঞ্চলে চার দিনের সফরের শুরুতে সৌদি আরবে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্পের এটাই তার প্রথম বড় বিদেশ সফর।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র স দ আরব
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য
গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা। তিনি জ্ঞান, কৌশলগত যুদ্ধ, সভ্যতা, আইন ও ন্যায়বিচার, শক্তি, শিল্প ও কারুশিল্পের দেবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এথেনা শুধুমাত্র যুদ্ধের দেবী ছিলেন না, তিনি যুদ্ধের বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত দিকটি উপস্থাপন করতেন। তিনি সাধারণত বীরদের অনুপ্রাণিত করতেন এবং ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ে সহায়তা করতেন।তিনি বয়ন, সেলাই এবং অন্যান্য কারুশিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
এথেনা গ্রিসের বিভিন্ন শহর, বিশেষ করে এথেন্স শহরের রক্ষাকর্ত্রী ও পৃষ্ঠপোষক দেবী হিসেবে পূজিত হতেন। তিনি পার্সিয়াস, হেরাক্লিস, ওডিসিউস এবং জেসনের মতো বিখ্যাত গ্রিক বীরদেরকে তাদের অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেছিলেন।তিনি একজন কুমারী দেবী ছিলেন এবং তাঁর কোনো সন্তান ছিল না।
আরো পড়ুন:
পশ্চিমা সভ্যতার ‘দোলনা’ বলা হয় যে শহরকে
শীতে চুল ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার উপায়
জন্ম ও পৌরাণিক কাহিনী
এথেনার জন্মকাহিনী বেশ চমকপ্রদ। প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তিনি দেবরাজ জিউস এবং জ্ঞান ও কৌশলের টাইটানিস মেটিসের কন্যা। জিউস ভবিষ্যদ্বাণী জানতে পারেন যে, মেটিসের সন্তান তাকে সিংহাসনচ্যুত করবে, তাই তিনি মেটিসকে গিলে ফেলেন। এর কিছুদিন পর জিউসের প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয় এবং তিনি হেফেস্টাসকে (অগ্নি ও কর্মকার শিল্পের দেবতা) তার মাথা কুড়াল দিয়ে কেটে দিতে বলেন। মাথা কাটার পর, এথেনা সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক এবং বর্ম পরিহিত অবস্থায় জিউসের মাথা থেকে বেরিয়ে আসেন।
এথেন্স শহরের নামকরণ এথেনার নামানুসারে করা হয়েছিল। শহরটির পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এথেনা এবং সমুদ্রের দেবতা পসেইডনের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। পসেইডন তার ত্রিশূল দিয়ে মাটিতে আঘাত করে একটি নোনা জলের ঝর্ণা তৈরি করেন। অন্যদিকে, এথেনা একটি জলপাই গাছ তৈরি করেন, যা খাদ্য, তেল, কাঠ এবং ছায়া প্রদান করত। শহরের লোকেরা এথেনার উপহারকে বেশি উপযোগী মনে করে এবং এথেনাকে তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বেছে নেয়। এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসে অবস্থিত বিখ্যাত পার্থেনন মন্দিরটি তার সম্মানে নির্মিত হয়েছিল।
এথেনার প্রধান প্রতীকগুলির মধ্যে রয়েছে পেঁচা। যা জ্ঞানের প্রতীক। জলপাই গাছ হলো শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।ঢাল তার যোদ্ধার পরিচয় বহন করে।
ঢাকা/লিপি