সৌদি আরবে উত্ত্যক্তের শিকার মায়োর্কার ফুটবলারদের স্ত্রী ও সমর্থকেরা
Published: 11th, January 2025 GMT
অভিযোগটা গুরুতর। সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনাল দেখতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন মায়োর্কার খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-০ গোলে হারে মায়োর্কা। জেদ্দায় এই ম্যাচের পর স্থানীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করেছেন মায়োর্কার দুই খেলোয়াড়ের স্ত্রীরা।
আরও পড়ুনটানা ২৪ বছরে গোলের রেকর্ড রোনালদোর, মেসি কি ছুঁতে পারবেন১৮ ঘণ্টা আগেমায়োর্কার মিডফিল্ডার দানি রদ্রিগেজের স্ত্রী ক্রিস্টিনা পালভারা স্পেনের টিভি সাংবাদিকের কাছে এই অভিযোগ করেছেন। ম্যাচ শেষে কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় তিনি এবং মায়োর্কার গোলকিপার ডমিনিক গ্রিফের স্ত্রীকে হয়রানি করেন স্থানীয় কিছু পুরুষ সমর্থক।
স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল এসপোর্তস আইবি৩-কে পালভারা বলেছেন, ‘(স্টেডিয়াম থেকে) বের হওয়াটা ছিল বেশ জটিল। আমরা সন্তানদের নিয়ে একা ছিলাম এবং কোনো নিরাপত্তা ছিল না। সত্যিটা হলো এই দেশের কিছু পুরুষ খুব কাছ থেকে আমাদের ছবি তোলা শুরু করে এবং হয়রানিও করেছে।’ পালভারা এরপর আরও বলেছেন, ‘ডমিনিক গ্রিয়েফের স্ত্রী নাতালির সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। আমার মেয়ে তখন ঘুমিয়ে পড়েছিল। খুবই অস্বস্তি লেগেছে আমাদের। আমাদের রক্ষা করার মতো কেউ ছিল না। বের হওয়াটা ছিল খুবই বাজে।’
গ্রিয়েফের স্ত্রী নাতালিয়া কালুজোভা এ নিয়ে কথা বলেছেন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার সঙ্গে। তাঁর ভাষায়, কিছু পুরুষ ‘আমাদের ভিডিও করেছে, ধাক্কা দিয়েছে, অযাচিতভাবে ছুঁয়েছে, আমাদের মুখের ওপর ফোন ধরেছে এবং ভিডিও করেছে।’
আরও পড়ুনমেসি–সুয়ারেজের সঙ্গে নেইমারের পুনর্মিলনী ‘অসম্ভব’, জানালেন মাচেরানো১২ ঘণ্টা আগেমায়োর্কার ক্লাব অফিশিয়ালদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার সময় প্রায় ২৫০ জন হয়রানির শিকার হয়েছেন। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, মায়োর্কার অন্য সব সমর্থক এবং অন্যান্য স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমও একই অভিযোগ করেছে। মোবাইল ফোনে তোলা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কা। তাতে দেখা গেছে, মায়োর্কার সমর্থকেরা হেঁটে চার্টার্ড বাসে ওঠার সময় রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরা কিছু পুরুষ সমর্থক ভিডিও এবং হাসাহাসি করছেন।
সেমিফাইনালে রিয়ালের জয়ের ম্যাচে ভিনিসিয়ুসের সামনে মায়োর্কার দানি রদ্রিগেজ (১৪ নম্বর জার্সি).উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে আলোচনায় মান্নান
নানান সময় বক্তব্য দিয়ে আলোচনার ইস্যু হয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও মান্নানের একটি বক্তব্য সমালোচনার ঝড় তুলেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনারগাঁ থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারেন মান্নান- এমন একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নে একটি নির্বাচনী সভায় আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, “আমাদের সোনারগাঁয়ে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোট আর সিদ্ধিরগঞ্জে ২ লাখ ২০ হাজার ভোট।
আমাদের সোনারগাঁয়ের থেকে যাকে নমিনেশন দেওয়া হোক; যদি সোনারগাঁকে রক্ষা করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে যারা সোনারগাঁয়ের সাথে বেঈমানী করেছে তারা কি আমাদের সাথে পারবে?”
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের আভাস দেয়ায় মান্নানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেইসাথে নেটিজনরা বলছেন, উনার কথায় স্পষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জের ভোট তার দরকার নাই। সিদ্ধিরগঞ্জকে ছোট করে দেখছেন উনি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অনেকেই বলছেন, মান্নান সাহেব মনে হয় স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন। এমন একটা বক্তব্য আমরা শুনতে পেলাম। উনি বুঝে গেছেন নমিনেশন উনাকে দিবে না।
তৃনমূল বলছে, সোনারগাঁয়ে মান্নানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জনবিচ্ছিন্ন তিনি। সোনারগাঁয়ে ব্যাপক কর্মী থাকলেও সিদ্বিরগঞ্জে কর্মীবিহীন তিনি। রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধিরগঞ্জে তিনি এখনো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। ফলে নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আভাস দিয়েছেন তিনি।
এর আগেও শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ের বন্দর উপজেলার মানুষকে সন্ত্রাসী বলে বক্তব্য দিয়েছিলেন মান্নান। সে সময়ও বন্দরবাসীর তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। বারবার বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেওয়া আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর এ বিষয়ে বলেন, “যার নির্বাচন করার ক্ষমতা নাই তাকে (মান্নান) আমি উপজেলার চেয়ারম্যান বানাইছি। মানুষের সঙ্গে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় আমরা জানি।
অতিরিক্ত অহংকার পতনের মূল। ওরা (মান্নান) মূলত দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য আসে। ওদের সঙ্গে ভালো কোনো লোক থাকে না। প্রাথমিকভাবে তারা বললেও তাদের সাথে ভালো লোক থাকে না।”
এ বিষয়ে জানতে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মুঠোফোনের কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।