৪২ চার, ১৬ ছক্কায় ওয়ানডেতে ৩৪৬, ভারতীয় ক্রিকেটে রেকর্ড
Published: 12th, January 2025 GMT
আইপিএলে দল পাননি, এরপরই রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছেন। গত কিছুদিনে ভারতীয় ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার। উর্বিল প্যাটেল, আয়ুশ মাহাত্রে এর বড় উদাহরণ। এবার ভারতের মেয়েদের ক্রিকেটেও এই ঘটনাই ঘটল।
মুম্বাইয়ের হয়ে ওয়ানডেতে ১৫৭ বলে ৩৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মেয়েদের আইপিএলে দল না পাওয়া ইরা যাদব। ২২০.৩৮ স্ট্রাইকরেটের এই ইনিংসে ৪২টি চার ও ১৬টি ছক্কা মেরেছেন ইরা যাদব।
১৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে ট্রফিতে। মেঘালয়ের বিপক্ষে আলুরে তাঁর দল করে ৩ উইকেটে ৫৬৩ রান। যা মেয়েদের ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ। আর বিসিসিআই আয়োজিত ৫০ ওভারে ক্রিকেটে ছেলেমেয়ে মিলিয়ে সর্বোচ্চ।
৩৪৬ রান যদিও মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ নয়। এমপুমালাঙ্গার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২৭ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেল লি।৩৪৬ রান যদিও মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ নয়। এমপুমালাঙ্গার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২৭ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেল লি। তবে ইরা যাদবই প্রথম ভারতীয় যিনি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি পেলেন, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ভেঙেছেন স্মৃতি মান্ধানার রেকর্ড।
আরও পড়ুনশুধু ব্যাটসম্যান বলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেই সাকিব২ ঘণ্টা আগেওপেনার যাদব দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক হার্লি গালার সঙ্গে ২৭৪ রানের জুটি গড়েন। সেঞ্চুরি করেছেন গালাও, ৭৯ বলে ১১৬ রান করেছেন তিনি। এই জুটিতে ইরা যাদবের অবদান ৭১ বলে ১৪৯। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দীক্ষা পাওয়ারের সঙ্গে গড়েন ১৮৬ রানের জুটি। এই জুটিতে ইরা ছিলেন আরও বিধ্বংসী, করেছেন ৫০ বলে ১৩৭ রান। মেঘালয়ের ৩ বোলার ১০০ বা এর চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন।
৫৬৩মেয়েদের ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর। আর বিসিসিআই আয়োজিত ৫০ ওভারে ক্রিকেটে ছেলেমেয়ে মিলিয়ে সর্বোচ্চ।১৪ বছর বয়সী ইরা যাদবের নাম গত ডিসেম্বরে হওয়া মেয়েদের আইপিএলের নিলামে উঠেছিল। কেউ আগ্রহ দেখায়নি। মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের মূল দলেই নেই, যাদবকে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে।
আরও পড়ুনশরীফুল কেন নেই, পারভেজ কেন আছেন৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে মিছিল করছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হন। দীর্ঘ সময় তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাঁরা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। তাই প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা যে যাঁর জায়গা থেকে মহাসড়কে উঠে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অন্তত সীতাকুণ্ডের ৩০টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।
ফৌজদারহাট পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রয়েছে। ফলে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।