দরিদ্রদের সম্পদ তৈরিতে সক্ষম করে তুলতে হবে
Published: 12th, January 2025 GMT
দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের মধ্যে থাকা মানুষকে সম্পদ তৈরিতে সক্ষম করে তোলা দরকার। এটি বাংলাদেশে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য কমানো এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নতুন একটি মডেল হতে পারে। এমন মত দিয়েছেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অর্থনীতির অধ্যাপক রবিন বার্গেস।
রোববার রাজধানীতে ‘দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র এবং জলবায়ু সহনশীলতা: সামাজিক সুরক্ষা কি যথেষ্ট?’ শীর্ষক এক পাবলিক লেকচারে তিনি এ মডেলের ধারণা তুলে ধরেছেন। রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক ভবনে বিআইজিডি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অধ্যাপক রবিন বার্গেস লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং পরিবেশ ও জ্বালানি গবেষণা কর্মসূচির পরিচালক। ব্র্যাক এবং বিআইজিডির সঙ্গে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক বার্গেস দরিদ্রদের তাদের পেশা পছন্দ এবং জীবনকে রূপান্তর করে– এমন সম্পদে বিনিয়োগ করতে সক্ষম করার মডেলটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর মডেলটি কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও দারিদ্র্যমুক্ত করতে দ্রুত কাজ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বেশ কিছু কার্যক্রম চালু রয়েছে। তবে এভাবে সহায়তা দেওয়া হলে উপকারভোগীর দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হওয়ার সুযোগ খুব বেশি নেই। তাই তাঁর মডেলে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ কাউকে গৃহপালিত পশু, ছোট পরিসরে দোকান করে দেওয়া, রিকশা বা ছোট কোনো পরিবহনযন্ত্র কিনে দেওয়ার সুপারিশ করেন। এতে উপকারভোগীরা সেখান থেকে আয় করে দ্রুত দারিদ্র্যসীমার ওপরে চলে আসতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক বিশ্বের অনেক দেশের অতিদারিদ্র্য থেকে উত্তরণে সম্পদ দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ মডেল বিশ্বব্যাপী সুফল বয়ে এনেছে। এখানে আরও উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। যেমন– এর সঙ্গে বীমা যুক্ত করা যেতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড.
আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শারমিন্দ নীলোর্মি, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মহাপরিচালক ড. শরীফ এ. চৌধুরী, বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ।
সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে।
ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল।
নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।