উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের অনেকেই ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য মাইক্রোসফট আউটলুকের বদলে গুগলের জিমেইল ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এর মূল কারণ, মাইক্রোসফট আউটলুকে থাকা বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীদের। আর তাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই হালনাগাদ সংস্করণের আউটলুক ইনস্টল করে দেবে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজের নিরাপত্তা হালনাগাদের অংশ হিসেবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আউটলুক ইনস্টল করা হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফট ৩৬৫ অ্যাডমিন সেন্টারের এক বার্তায় বলা হয়েছে, মাইক্রোসফট ৩৬৫ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়া যন্ত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ আউটলুক ইনস্টল হলেও যন্ত্রের কনফিগারেশন বা ডিফল্ট সেটিংস পরিবর্তন হবে না। নতুন সংস্করণের আউটলুক ইনস্টল করা বন্ধ করা যাবে না, তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে ইনস্টল শেষে আউটলুক মুছে ফেলতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, হালনাগাদ সংস্করণের আউটলুক ইনস্টল হওয়ার পর স্টার্ট মেনুর অ্যাপস বিভাগে খুঁজে পাওয়া যাবে। এটি ক্ল্যাসিক আউটলুক প্রতিস্থাপন করবে না এবং কোনো কনফিগারেশন বা ডিফল্ট সেটিংস পরিবর্তন করবে না। ক্ল্যাসিক আউটলুক ও নতুন আউটলুক উভয়ই একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা যন্ত্র থেকে আউটলুক মুছে ফেলতে রিমুভ অ্যাপ এক্সপ্রোভিশন্ড প্যাকেজ কমান্ড ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।

মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।

 বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ