সমালোচিত হলেও কেন জনপ্রিয়তা পেল ‘মিসিং ইউ’?
Published: 14th, January 2025 GMT
নতুন বছরের প্রথম দিন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে লিমিটেড সিরিজ ‘মিসিং ইউ’। হারলান কোবানের উপন্যাস অবলম্বনে সিরিজটি বানিয়েছেন নির্মাতা ভিক্টোরিয়া আসারি-আর্চার। মুক্তির পর থেকেই সিরিজটি ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে মুক্তির ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও সিরিজটি এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজের তালিকায়।
একজন নিখোঁজ অধ্যাপককে খুঁজে বের করার কেস পায় ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর ক্যাট ডোনোভান (রোসালিন্ড এলেজার)। সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একজন অফিসার ক্যাট। তবে ব্যক্তিজীবনে সে এখনো একা। বন্ধু একোয়া (ম্যারি ম্যালোন) ও স্টেসির (জেসিকা প্লামার) কথায় সে এক ডেটিং অ্যাপে যোগ দেয়। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় যখন ক্যাট তার প্রাক্তন প্রেমিক ও বাগ্দত্তা জশের (অ্যাশলে ওয়াল্টার্স) প্রোফাইল সেই অ্যাপে খুঁজে পায়।
একনজরেসিরিজ: ‘মিসিং ইউ’
পরিচালক: ভিক্টোরিয়া আসারি-আর্চার
গল্প: হারলান কোবান
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
পর্ব সংখ্যা: ৫
অভিনয়ে: রোসালিন্ড এলেজার, অ্যাশলে ওয়াল্টার্স, লেনি হেনরি, মার্ক ওয়ারেন, রিচার্ড আরমিটেজ, জেসিকা প্লামার, ম্যারি ম্যালোন
জশ কিছু না বলেই ১১ বছর আগে হারিয়ে যায় ক্যাটের জীবন থেকে। ক্যাট যখন জশের ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকে, তখনই অন্য আরেক তথ্য তার ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ক্যাট জানতে পারে, তার বাবার খুনি মন্টে লেবার্নে (মার্ক ওয়ারেন) ক্যানসারে আক্রান্ত, আর বেশি দিন বাঁচবে না। ক্যাট জানতে মারিয়া হয়ে ওঠে কেন মন্টে খুন করেছিল তার বাবা ক্লিন্ট ডোনোভানকে (লেনি হেনরি)। কিন্তু তা জানতে গিয়ে ঘটনা দ্রুত মোড় নিতে থাকে অন্যদিকে। ক্যাট কি পারে তার বাবার মৃত্যুরহস্য জানতে? নাকি ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠে তার কর্মজীবন?
‘মিসিং ইউ’–এর দৃশ্য। নেটফ্লিক্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।
এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।
প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”
আরো পড়ুন:
জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!
অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?
ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”
‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”
গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”
ঢাকা/শান্ত