জামালপুরে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, চলাচল বন্ধ
Published: 14th, January 2025 GMT
জামালপুরের মেলান্দহে ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে বন্ধ রয়েছে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ লাইনে ট্রেন চলাচল।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুরমুট ফুলতলা এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম জানান, বিকেল ৩টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। পরে দুরমুট স্টেশন পার হওয়ার পরই ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। টেকনিশিয়ানরা ইঞ্জিন মেরামতের কাজ করছেন। এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। যাত্রীরা স্বাভাবিক রয়েছেন।
তিনি বলেন, “ট্রেনটি উদ্ধারে ময়মনসিংহ থেকে একটি রিলিফ ইঞ্জিন রওনা করেছে। দ্রুতই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে এই পথে।”
ঢাকা/শোভন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’