স্মার্টফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
Published: 14th, January 2025 GMT
হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোন এখন দৈনন্দিন জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। আর তাই তো কোনো কারণে ফোনে সমস্যা দেখা দিলে দৈনন্দিন কাজ করতে বেশ সমস্যা হয় অনেকের। ফোন বিকল বা নষ্ট হলে সবার পক্ষে নতুন ফোন কেনা সম্ভব হয় না, ফলে তাঁরা ছোটেন সার্ভিস সেন্টারে। ফোন নষ্ট হলেও সেখানে আমাদের ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন তথ্য জমা থাকে। আর তাই ফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
১.বিক্রয়োত্তর সেবা যাচাই
যেকোনো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনেই সাধারণত এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানভেদে বিভিন্ন সুরক্ষা–সুবিধাও পাওয়া যায়। আর তাই ফোনে কোনো সমস্যা হলে প্রথমেই বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ জানার পাশাপাশি সুরক্ষা নীতিমালার আওতাভুক্ত কি না, তা জানতে হবে। বিক্রয়োত্তর সেবা ও সুরক্ষা নীতিমালার আওতাভুক্ত হলে স্বল্প বা বিনা খরচে ফোন মেরামত করা যাবে। তবে সাধারণত দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি—যেমন হাত থেকে পড়ে যাওয়া বা আঘাতের কারণে ফোনের ক্ষতি হলে বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুনস্মার্টফোনের মাইক্রোফোন কি গোপনে আপনার কথা শুনছে? পরীক্ষা করবেন যেভাবে২২ নভেম্বর ২০২৪২. ফোনের চারপাশের ছবি তুলে রাখামেরামত করতে দেওয়ার আগে ফোনের সর্বশেষ অবস্থার প্রমাণ নিজের কাছে রাখার জন্য ছবি তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে ফোন জমা দেওয়ার আগে ফোনের চারপাশের ছবি ভালোভাবে তুলতে হবে। এর ফলে মেরামতের সময় নতুন দাগ বা ক্ষতি হলে সহজেই ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে।
৩. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণফোন মেরামতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। আর তাই দৈনন্দিন বিভিন্ন যোগাযোগের জন্য ফোনে সংরক্ষণ করা ফোন নম্বগুলো আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ছবি বা ভিডিওগুলো সংরক্ষণ করে মুছে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুনস্মার্টফোন চুরি হলেও ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখবেন যেভাবে২৪ ডিসেম্বর ২০২৪৪. ফ্যাক্টরি রিসেটব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ফোন মেরামতের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই সার্ভিস সেন্টারে দেওয়ার আগে ফোন অবশ্যই ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, ফ্যাক্টরি রিসেটের ফলে ফোনের সব ডেটা মুছে যাবে। আগে থেকে ব্যাকআপ না নিলে হারানো তথ্য পুনরুদ্ধার করা যাবে না। তাই ডেটার ব্যাকআপ নিয়ে এরপর ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে। মেরামতের পর ব্যাকআপ থেকে আগের ডেটা পুনরুদ্ধার করে ব্যবহার শুরু করা যাবে।
৫. সহায়ক যন্ত্রাংশ খুলে রাখাফোন কেস, স্ক্রিন প্রটেক্টর বা অন্যান্য একসেসরিজ মেরামতের জন্য প্রয়োজন হয় না। যদিও বেশির ভাগ মেরামতকারী সেগুলো খুলে ব্যবহারকারীর কাছে ফেরত দেন, তবে নিজে থেকেই এগুলো খুলে রাখা যেতে পারে। শুধু তা–ই নয়, মাইক্রোএসডি এবং সিম কার্ডও খুলে রাখতে হবে।
আরও পড়ুনস্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদে রাখার ৬ কৌশল০৪ মে ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী