জাতীয় প্রেস ক্লাবের কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সা.সম্পাদকের মৃত্যু
Published: 16th, January 2025 GMT
জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। তিনি কিডনি ও লিভার জনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বনগ্রামে পৃথক জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাব কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রিপন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুরুষ জলহস্তী কেন নিজের ছেলেশিশুকে মেরে ফেলে?
মানুষের মতো পশুদেরও সমাজ আছে। তাদেরও সামাজিক, পারিবারিক এবং দলগত আলাদা আলাদা রীতি আছে। দলে বা সমাজে সবচেয়ে ক্ষমতাধর হওয়ার জন্য পশুরাও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেয়। এমনকি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। বিশেষ করে জলহস্তী সমাজে এই রীতি রয়েছে। জলহস্তীদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। অর্থাৎ বাবার পরে ছেলে পরিবারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। তবে পরম্পরায় নয় বরং একজন আরেকজনকে মেরে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে থাকে।
জলহস্তী মা যদি ছেলেশিশুকে অনেক কষ্টে লুকিয়ে বড় করে তবে এক সময় সেই সন্তান বড় হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এরপর বাবা আর ছেলের রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়। যার শেষ হয় হয় বাবার মৃত্যু অথবা ছেলের মৃত্যুর মাধ্যমে।
অথবা যে পরাজিত হয় সে দল ত্যাগ করে, পরিবার ত্যাগ করে। পশু সমাজে জলহস্তীদের মধ্যে এই ছেলেশিশু হত্যার প্রবণতা সবচেয়ে প্রকট।
আরো পড়ুন:
বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু
জার্মানিতে বর্বরতার শিকার বাচ্চা মোরগ
ছেলে সন্তান জন্মের পরেই জলহস্তী পরিবারে নেমে আসে অজানা আতঙ্ক। বাবা জলহস্তী নিজ সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।
জলহস্তীরা সাধারণত এক একটি দলে ভাগ হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক দলে ৬-১০টি সদস্য থাকে। প্রত্যেক দলে মাত্র একজনই পুরুষ থাকে, বাকিরা নারী। পুরুষটি পুরো দলের ওপর শাসন ক্ষমতা বিস্তার করে। একক শাসক হিসেবে টিকে থাকার জন্যেই ছেলে সন্তানকে মেরে ফেলে।
একটি ছেলেশিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মা জলহস্তীকে অনেক কষ্ট করতে হয়।
gorillatrailsafaris.com – এর তথ্য, ‘‘স্ত্রী জলহস্তীর গর্ভধারণ ৮ মাস স্থায়ী হয়। সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলেই মা জলহস্তী দল থেকে দূরে সরে যায়। সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত দূরে থাকে। যেকোনো ধরণের হুমকি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য শিশু জলহস্তী যখন দৌড়াতে শেখে, আত্মরক্ষা করতে শেখে তখন সেই সন্তানকে নিয়ে দলে ফেরে মা জলহস্তী। ’’
ঢাকা/লিপি