নারায়ণগঞ্জের সমস্যাগুলো সকলকে নিয়ে সমাধান করবো : ডিসি জাহিদুল
Published: 16th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান মিঞা বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে সে রক্তের ঋণ আমাদেরকে পরিশোধ করতে হবে। এ রক্তের ঋণকে আমরা অবজ্ঞতা করব না।
বিশেষ করে আপনারা কিশোর গ্যাং ও মাদকের কথা বলেছেন। মাদকের বিষয়ে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই মাদক মুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই। তার জন্য আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই।
আমাদের দেশের সম্পদ বলতেই জনগণ। আমরা জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের সকলেই একটা দায়বদ্ধতা আছে। সুতরাং সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়তে চাই। এই সুন্দর ব্যবস্থা করতে হলে আমাদের প্রথমেই মাদককে নির্মূল করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর বারোটায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান মিঞা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আমি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি। যদি সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করে তাহলে আমি বিশ্বাস করি সবকিছুই সম্ভব।
নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। ব্যবসায়িক ও ঐতিহ্যর দিক থেকে এই জেলার ব্যাপক পরিচিতি ও গুরুত্ব অনেক বেশি।
কিন্তু বিভিন্ন ঘটনার কারণে মানুষ নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে বিভিন্ন সময় নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করে। আমরা যদি সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করি তবে ইনশাল্লাহ নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা থেকে আমরা পজিটিভ ভাবে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগামীতে রিপ্রেজেন্ট করতে পারব। এখন থেকে যারা নারায়ণগঞ্জে আসবে তারা মুক্ত মন নিয়ে আসবে এবং মুক্ত মন নিয়ে নারায়ণগঞ্জের কাজকর্ম করবে।
নারায়ণগঞ্জের বাসির জন্য একটি মুক্ত আকাশ গড়ে তুলতে চাই। আপনাদের কাছে যে আশ্বাস ও সহযোগিতা পাচ্ছি ইনশাআল্লাহ বিশ্বাস করি নারায়ণগঞ্জকে একটি সুন্দর ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। যেখানে মানুষের ভিতরে কোন বড় ভিত্তি থাকবে না মানুষ সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারবে। আর নারায়ণগঞ্জ যে সমস্যা গুলো বিভিন্ন নেতৃবন্দ বলেছেন সকলকে নিয়ে সকল সমস্যাগুলো সমাধান করবো।
নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান মিঞা'র সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বি'র সঞ্চালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র ব এনপ র ল ইসল ম র জন য সদস য সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।