গতকাল রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করার পর রক্তাক্ত সাইফ আলী খানকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ২ কিলোমিটার। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটোরিকশা ব্যবহার করা হয় বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টিভিসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম।

বলিউডের অন্য তারকাদের মতো সাইফ আলী খানেরও গাড়ির প্রতি টান কম নেই। তার গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে— ফোর্ড মাস্টাং থেকে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ, ওডি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। তারপরও বিপদের সময়ে অটোরিকশার ওপরে কেন ভরসা করলেন? এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ভিন্ন ভিন্ন তথ্য জানাচ্ছে। মুম্বাই পুলিশের বক্তব্য— ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ইব্রাহিম আলী খান ও তাদের বাড়ির স্টাফ রক্তাক্ত সাইফ আলী খানকে অটোরিকশায় করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান। কারণ সেই সময়ে বাড়িতে গাড়ির কোনো চালক উপস্থিত ছিলেন না। ফলে, দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অটোরিকশা ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুন:

সাইফের হামলাকারী শনাক্ত, ভিডিও ভাইরাল

সাইফের ওপর হামলা: গৃহকর্মী থানায়, ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশের বিবৃতি

অন্য একটি ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রক্তাক্ত সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন তার বড় ছেলে ইব্রাহিম। কিন্তু অত রাতে বাড়ির কোনো গাড়িই দ্রুত বের করা যাচ্ছিল না। এদিকে, সাইফ গুরুতরভাবে রক্তাক্ত। এ অবস্থায় সময় নষ্ট না করে অটোরিকশা ধরেন ছেলে ইব্রাহিম।

গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। গৃহপরিচারিকা লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।

একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা রয়েছে তাকে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ওয়াডে স্থানান্তর করার আশা ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জিডি

ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গামান্দিরের কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

গত বুধবার বিকেলের মধ্যেই প্রতিমার ভেঙে ফেলা অংশগুলো মেরামত করা হয়। ওই প্রতিমা নির্মাণশিল্পী কানাইপুরের বিজন পাল প্রতিমাটি মেরামত করেন। এ জন্য আনুষঙ্গিক ব্যয় হয়েছে আড়াই হাজার টাকা।

মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাসুদেব বিশ্বাস বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম আমাদের জানা নেই। এ জন্য মামলা হয়নি।’

বাসুদেব বিশ্বাস আরও বলেন, প্রতিমা মেরামতের টাকা জেলা পুলিশ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ না করে নিজেরাই এর ব্যয়ভার বহন করেন।

কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন বলেন, আগামী রোববার (৩ আগস্ট) এলাকাবাসীকে নিয়ে ওই মন্দির প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এলাকায় গোয়েন্দা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গামন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ