বিলাসবহুল গাড়ি রেখে সাইফকে কেন অটোরিকশায় হাসপাতালে নেওয়া হয়?
Published: 16th, January 2025 GMT
গতকাল রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করার পর রক্তাক্ত সাইফ আলী খানকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ২ কিলোমিটার। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটোরিকশা ব্যবহার করা হয় বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টিভিসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম।
বলিউডের অন্য তারকাদের মতো সাইফ আলী খানেরও গাড়ির প্রতি টান কম নেই। তার গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে— ফোর্ড মাস্টাং থেকে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ, ওডি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। তারপরও বিপদের সময়ে অটোরিকশার ওপরে কেন ভরসা করলেন? এ নিয়ে চলছে আলোচনা।
এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ভিন্ন ভিন্ন তথ্য জানাচ্ছে। মুম্বাই পুলিশের বক্তব্য— ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ইব্রাহিম আলী খান ও তাদের বাড়ির স্টাফ রক্তাক্ত সাইফ আলী খানকে অটোরিকশায় করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান। কারণ সেই সময়ে বাড়িতে গাড়ির কোনো চালক উপস্থিত ছিলেন না। ফলে, দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অটোরিকশা ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন:
সাইফের হামলাকারী শনাক্ত, ভিডিও ভাইরাল
সাইফের ওপর হামলা: গৃহকর্মী থানায়, ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশের বিবৃতি
অন্য একটি ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রক্তাক্ত সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন তার বড় ছেলে ইব্রাহিম। কিন্তু অত রাতে বাড়ির কোনো গাড়িই দ্রুত বের করা যাচ্ছিল না। এদিকে, সাইফ গুরুতরভাবে রক্তাক্ত। এ অবস্থায় সময় নষ্ট না করে অটোরিকশা ধরেন ছেলে ইব্রাহিম।
গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। গৃহপরিচারিকা লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা রয়েছে তাকে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ওয়াডে স্থানান্তর করার আশা ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।