বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর, সম্পাদক আমানউল্লাহ
Published: 16th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) ২০২৫ সালের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে।
কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাবিবুর রনি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আমান উল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় সম্মেলন কক্ষে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, সাংবাদিক সমিতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি রাফি উল্লাহ। এ ছাড়া সাবেক সভাপতি মো.
১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর (দৈনিক মানবজমিন), যুগ্ম-সম্পাদক ইসরাত জাহান (দৈনিক প্রথম আলো), সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী (দৈনিক জনবানী), কোষাধ্যক্ষ মো. লিখন ইসলাম (রাইজিংবিডি), দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ হোসাইন (দৈনিক আমাদের সময়), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. ফজলুল করিম সিয়াম (দৈনিক কালের কণ্ঠ), তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাঈদা জাহান খুকী (দৈনিক আমার সংবাদ) এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুমন গাজী (আজকের প্রবাহ)।
এছাড়াও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন শাহীন সরদার (দৈনিক যুগান্তর), আতিকুর রহমান (দৈনিক বাংলা), তানিউল করিম জীম (দৈনিক কালবেলা)। কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন মো. রাফি উল্লাহ (বাংলাদেশ টাইমস) এবং আশিকুর রহমান (দৈনিক সমকাল)।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।