স্প্যানিশ সুপার কোপার ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপরই লস ব্লাঙ্কোস কোচ কার্লো আনচেলত্তির চাকরির সুতোয় টান পড়ে। সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল, কোপা দেল রে’র ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে ইতালিয়ান কোচের ভাগ্য। 

ওই ভাগ্য পরীক্ষায় কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে ২-০ গোলের লিড নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু মৌসুম জুড়ে ভোগানো রক্ষণের ভুলে শেষ দিকে জোড়া গোল খেয়ে ম্যাচ ২-২ সমতা হয়ে যায়। অতিরিক্ত সময়ে বদলি নামা তরুণ ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার এনড্রিকে জোড়া গোল করে কোপা দেল রে’র শেষ ষোলোয় রিয়ালকে ৫-২ গোলের বড় জয় এনে দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে এমবাপ্পের গোলে প্রথম লিড নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়াস ৪৮ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন। ৮৩ মিনিটে জোনাথন বাম্বা ও ৯১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মার্কো অ্যাসেনসিও গোল করে সেল্টা ভিগোকে ২-২ গোলের সমতা এনে দেন। 

অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে এমবাপ্পের বদলি হয়ে ৭৯ মিনিটে মাঠে নামেন এনড্রিক। এরপরই দুই গোল খাওয়া রিয়ালকে তিনিই উদ্ধার করেন। ১০৮ মিনিটে এনড্রিকে দলকে লিডে ফেরান। ১১২ মিনিটে গোল আসে রিয়ালের উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার ফেদে ভালভার্দের পা থেকে। শেষ বাঁশির এক মিনিট আগে এনড্রিকে রিয়ালের পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন।  

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ