লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ‘পুষ্টি ক্যান্টিন’ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে।

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর অংশ হিসেবে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রোভড নিউট্রিশন (গেইন) ও স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (সান) ইয়ুথ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রোভড নিউট্রিশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান বাপ্পী।

আরো পড়ুন:

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহতের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

তিনি বলেন, ‍“মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে পুষ্টিকর খাদ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের গুরুত্ব এবং দেশের যুব সমাজকে নেতৃত্বে এগিয়ে এনে স্কুলের কিশোর কিশোরীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে।”

গেইনের সহায়তায় ফুড সিস্টেমস ইয়ুথ লিডারশিপ কর্মসূচির অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে ইয়ুথ লিডার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, “নিজের কমিউনিটিতে বাস্তবায়ন করা কমিউনিটি অ্যাকশন প্রজেক্ট কীভাবে মাত্র ১০ টাকায় পুষ্টিকর খিচুড়ি সরবরাহের মাধ্যমে ‘পুষ্টি ক্যান্টিন’ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অন্যান্য স্কুলেও এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”

লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.

মাহবুবুর রহমান বলেন, “পুষ্টি ক্যান্টিন একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ, যা শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার সহজলভ্য করে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। আমি সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদের এ উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়নে উৎসাহিত করছি এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্প্রসারণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।”

গেইনের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট সম্প্রীতা চাকমা কর্মসূচির কৌশলগত কাঠামো তুলে ধরে জানান, এটি গবেষণাভিত্তিক একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য কর্মসূচির টেকসই বিস্তৃতি নিশ্চিত করা। 

আলোচনা সভা শেষে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান সদরের তিনটি নতুন স্কুল খুনিয়াগাছ এস সি উচ্চ বিদ্যালয়, হরিণচরা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কালমাটি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘পুষ্টি ক্যান্টিন’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।  

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ষ ট কর খ

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ