ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতে কাঁটাতার স্থাপন একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ভারত আশা করে, বাংলাদেশ এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রটোকল এবং চুক্তিগুলো সম্মান করবে।

শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। 

সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা এই বিষয়ে অতীতের সব চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করতে চায়।’ 

এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে জসওয়াল বলেন, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামের সামনে ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। গত ১৩ জানুয়ারি সাউথ ব্লকে যখন তাকে তলব করা হয়, সেই সময় ভারত স্পষ্ট করে বলেছে- সীমান্তে কাঁটাতারসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ভারত দুই সরকারের পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে সমস্ত প্রোটোকল এবং চুক্তি মেনে চলে।

জসওয়াল আরও বলেন, পণ্যের চোরাচালান, মানুষ ও গরু পাচার বন্ধে কাঁটাতারের বেড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমানা আলো, প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপনসহ সব প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যা সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য  বাস্তবিক পদক্ষেপ। তার সংযোজন ভারত আশা করে, বাংলাদেশ পূর্ববর্তী সব চুক্তিকে সম্মান করবে। একইসঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সব অপরাধ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

আগামী নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের থেকে যে দাবি উঠে আসছে সেই বিষয়ে সম্প্রতি ভারতে মন্তব্য করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। সেই সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান একাধিকবার জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি ইতিবাচক দিকে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্য রাখি এবং আমরা চাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে উন্নতি লাভ করুক। এটাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদক ষ প

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ