জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন : সাখাওয়াত
Published: 19th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আর যারা নিজেদেরকে স্বাধীনতার ঘোষণা দাবি করেন তিনি কিন্তু পশ্চিমাদের হাতে আত্মসমর্পণ করেছিল।
আর আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা কিন্তু সেই সময় ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কিন্তু বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় কেউ ছিলনা। যখন বাংলাদেশের মানুষ একটি নেতৃত্বশুন্য অবস্থায় তখনই একজন অক্ষত মেজর বাংলাদেশের হাল ধরেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন ।
তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে ক্ষান্ত থাকেননি। জেডফোর্স গঠন করে ৮নং সেক্টরে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে রণাঙ্গনে যুদ্ধ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও বিএনপি'র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে কিন্তু সে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ব্যারাকে চলে গিয়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে এদেশে বাকশাল কায়েম করেছিল। বাকশাল মানে বাংলাদেশের শুধু একটি মাত্র রাজনৈতিক দল থাকবে আর কোন দল থাকবে না।
বাকি সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চারটি পত্র পত্রিকা বাদে বাকি সব পত্রিকা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ দেশের দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। দেশের গণতন্ত্রকে সংসদে দাঁড়িয়ে ১১ মিনিটের মাথায় তারা গলা টিপে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগের হাত থেকে আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিল।
৭৫ সালের সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি পরিণত করেছিল তা থেকে বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ হিসাবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি করে তোলেন। আর ১৯ দফার মাধ্যমে উনি খাল খনন করে কৃষি বিপ্লব ও শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হলো ৫ ই আগস্ট। সেই ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। তারেক রহমান আমাদের বিএনপি যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে নির্দেশে ছাত্র জনতার সাথে থেকে আমরা এই পাশে ৫ আগস্ট সৃষ্টি করেছি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ৪৮৭জন নেতাকর্মী নিহতের হয়েছেন। আমাদের আসে অন্তবর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন। আমরা এই সরকারের কাছে আবেদন করব অতি দ্রুত সময়ের মাধ্যমে সংস্কার শেষ করে আপনার একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেন।
আর সেই নির্বাচনে আমাদের বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন হয়ে এদেশের ক্ষমতা বার গ্রহণ করবে বাংলাদেশের মানুষের এইটাই আশা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ কর ছ ল ন র রহম ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।