সন্ধ্যায় শিল্পকলায় থাকছে ‘মার্ক্স ইন সাহো’
Published: 20th, January 2025 GMT
নাট্য সংগঠন বটতলা এবং যাত্রিক-এর যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’ নাটকের পরপর দুইদিন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আজ একটি প্রদর্শনী রয়েছে। একই হলে আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটায় থাকছে নাটকের আরও একটি প্রদর্শনী।
প্রখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন রচিত ‘মার্ক্স ইন সোহো’ বাংলায় অনুবাদ করেছেন জাভেদ হুসেন, নির্দেশনা দিয়েছেন নায়লা আজাদ। এই নাটকটি প্রথম মঞ্চে আসে ২০২১ সালের অক্টোবরে।
n‘মার্ক্স ইন সোহো’তে দার্শনিক এবং ব্যক্তি কার্ল মার্ক্সকে একই সুতোয় গেঁথেছেন প্রখ্যাত মার্কিন ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন। ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর দুই সত্তা। দেড় শ বছর পেরিয়ে এসেও মার্ক্সের চিন্তা বা বিশ্লেষণ কতটা প্রাসঙ্গিক ও জরুরি, সেটা দেখানোই জিনের উদ্দেশ্য। আর এ কারণেই নাটকটি বিশেষ হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে নাটকটির অনুবাদক জাভেদ হুসেন বলেন, ‘মার্ক্সের ভাবনা আর সংগ্রাম মানুষের প্রতি আকুল ভালোবাসার ফল। তাঁর রুখে দাঁড়াবার ডাক দেখায় কেন এই সঙ্কটের কালে তাঁকে যে কোন সময়ের চাইতে বেশি প্রয়োজন। কার্ল মার্ক্স মানুষের সম্ভাবনা সত্য করার যে প্রয়োজনের কথা বলেছেন তা পাঠকদের কাছে হাজির করার জন্য এর অনুবাদ করা হয়েছে। নাটকটি বাংলাভাষীদের নতুন করে এই জগতকে নিয়ে ভাবতে, বুঝতে, আর একে বদলের কাজে নামতে কাজে লাগুক’। নির্দেশক নায়লা আজাদের ভাষ্যে, কার্ল মার্ক্স ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে আজও মানুষের সমাজের ইতিহাস ও রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছেন।’
নির্দেশকের আশা, বটতলা এবং যাত্রিক-এর এই যৌথতা জিনের দেখা মানবিক মার্ক্সকে এবং তাঁর চিন্তাকে আরও বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন হুমায়ুন আজম রেওয়াজ ও উম্মে হাবিবা। সংগীত, সেট ও দৃশ্য পরিকল্পনায় নায়লা আজাদ। কোরিওগ্রাফি নায়লা আজাদ ও উম্মে হাবিবা। সংগীত প্রয়োগে ইভা আফরোজ খান, পোশাক পরিকল্পনায় তাহমিনা সুলতানা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে নিজ উপজেলায় অবরুদ্ধ নুরুল হক, উদ্ধারে সেনাবাহিনী–পুলিশ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় পাতাবুনিয়া বটতলা বাজারে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নুরুল হক ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে অভিযোগ করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা তাঁকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
জানা গেছে, রাতে বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় আয়োজিত এক স্মরণসভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে অবরুদ্ধ হন নুরুল হক। এর ঘণ্টা তিনেকের মাথায় সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
তবে রাত দেড়টার দিকে নুরুল হক ফেসবুকে দেওয়া আরেকটি পোস্টে তখনো অবরুদ্ধ থাকার কথা জানান। নুরুল হক লিখেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে ‘সন্ত্রাসীদের’ রাস্তা থেকে হটাতে পারেনি।
শুরুতে দেওয়া পোস্টে নুরুল হক লিখেছেন, ‘গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজারে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা রাস্তায় গাছ ফেলে গুলতি, রড, রামদা নিয়ে আমাদের পথরোধ করেছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় কয়েকজনকে মারধর করে দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেছে।’
পরে সেখান থেকে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় নুরুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপায় গণসংযোগ কর্মসূচি হিসেবে কালারাজা বাজারে একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন এবং কুমারখালী বাজারে একটি পথসভায় অংশ নেন তিনি। রাত ১০টার দিকে তাঁর দলীয় কর্মী প্রয়াত বাদল মেম্বারের স্মরণসভায় অংশ নিয়ে গলাচিপার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এ সময় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনের অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর পথরোধ করে, দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। তখনই তিনি জেলা পুলিশ সুপার ও গলাচিপা থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেন বলেও জানান নুরুল হক।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা হাসান মামুন প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল হক নূর এলাকায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি গত বুধবার প্রকাশ্যে একটি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জেলা বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার চরবিশ্বাস বাজারে তাঁর লোকজন বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে এলাকার লোকজন নুরুল হকের ওপর ক্ষিপ্ত হতে পারেন।
হাসান মামুন আরও বলেন, ‘আমি এখন ঢাকায় আছি। এসব ঘটনা ফেসবুকে দেখেছি। ভিপি নূরের অবরুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জেনে তাঁকে উদ্ধারের জন্য আমি সেনাবহিনী ও পুলিশ-প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করেছি। আমি চাই, গলাচিপা উপজেলার পরিবেশ শান্ত ও সুশৃঙ্খল থাকুক।’
পরবর্তীতে নুরুল হকের সঙ্গে থাকা গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিকবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল আমীন মুঠোফোনে জানান, সেনাবাহিনী আর পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দিতে অপারগতা জানিয়ে নুরুল হকসহ তাঁদের গলাচিপা ছেড়ে পটুয়াখালী জেলা শহরে চলে যেতে অনুরোধ জানানো হয়। তবে তাঁরা গলাচিপা ডাকবাংলোয় রাতে থাকার জন্য রওনা হয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।