Risingbd:
2025-07-30@20:07:05 GMT

গাছের মালিককে পেটাল রস চোররা

Published: 20th, January 2025 GMT

গাছের মালিককে পেটাল রস চোররা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে খেজুর গাছের রস চুরি করতে দেখে ফেলায় গাছের মালিক রাসেল খন্দকারকে মারধর করেছে চোর চক্রের সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর এলাকার সলেমানপুর সরদার পাড়া মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

কোটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশিষ কুমার বলেন, “ঘটনার পর আহত রাসেল থানায় এসেছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হয়তো পরে অভিযোগ করতে আসতে পারেন। তবে, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।”

আরো পড়ুন:

বিজিবিকে মেরে মহিষ ছিনিয়ে নিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা 

‌‘আমার কাছে বালির মূল্য বেশি, মানুষের কোনো মূল্য নাই’

আহত রাসেল খন্দকার সলেমানপুর গ্রামের আজিজুল হক খন্দকারের ছেলে।

আহত রাসেল খন্দকার জানান, সলেমানপুর ঘোষ পাড়ার মাঠে তার খেজুর গাছের বাগান। গাছ কেটে রেখে আসার পর রস চুরি হয়ে যায়। গত রবিবার রাতে চোর ধরতে মাঠে পাহারা দিচ্ছিলেন। এ সময় ৭-৮ জনের একটি দল রস গাছ থেকে রস নিয়ে ভ্যানে করে যাচ্ছিল। তাদের গতিরোধ করলে, তারা রস নিয়ে চলে যায়। এসময় তারা তাকে দেখে নেবে বলেও জানায়।

তিনি আরো জানান, রাতের ঘটনা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন। আজ দুপুরে তিনি ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সলেমানপুর সরদার পাড়ার মসজিদের সামনে আসলে চোর চক্রের সদস্যরা তাকে আটকায়। তারা দা, রড ও লাঠি দিয়ে রাসেল খন্দকারকে পেটাতে শুরু করে। এ সময় স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা (চোর) পালিয়ে যায়। পরে স্বজনদের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আতিক নামের একজনকে চিনতে পেরেছেন বলেও জানান রাসেল খন্দকার। 

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাফসান রহমান বলেন, “আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

সোয়া ২ কোটি টাকার চেক নেন সাবেক এমপির কাছ থেকে

সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের নাখালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চেক উদ্ধারের বিষয়টি জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তবে এই চেক কোন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, তা তিনি জানাননি।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই সোয়া দুই কোটি টাকার চেক নেওয়া হয়েছে রংপুর-৬ আসনে (পীরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রেড জোন’ থেকে। ট্রেড জোনের পোশাক কারখানাসহ নানা ব্যবসা রয়েছে।

ট্রেড জোনের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সোয়া দুই কোটি নয়, মোট ৫ কোটি টাকার ১১টি চেক নিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাকসহ ছয়জন। তবে একটি চেকের বিপরীতেও তাঁরা টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। কারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে ট্রেড জোন কর্তৃপক্ষ টাকা রাখেনি। তিনি বলেন, টাকা উত্তোলন করতে না পেরে রাজ্জাকসহ অন্যরা ট্রেড জোনের মালিককে হুমকি দিচ্ছিলেন।

রাজ্জাকসহ অন্যরা কীভাবে চেক নিয়েছিলেন, তা প্রথম আলোকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।

শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে প্রথম দফায় ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার টাকা নিতে গিয়ে ১৭ জুলাই হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামির এখন রিমান্ড চলছে। ঘটনাটিতে মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর।

ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। পরে তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য। গ্রেপ্তারের পর সবাইকে বহিষ্কার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বাদে অন্য সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ