Samakal:
2025-11-04@02:29:37 GMT

ডিস্ক প্রলাপস

Published: 20th, January 2025 GMT

ডিস্ক প্রলাপস

মেরুদণ্ডের দুটি কশেরুকা ও ভার্টিব্রার মধ্যে ফাঁকা স্থানে বিশেষ এক ধরনের জেলির মতো বস্তু বা ডিস্ক থাকে। ডিস্কগুলো মেরুদণ্ড বাঁকানো ও প্রসারিত করতে সাহায্য করে। ডিস্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ফুলে গেলে বা স্থানচ্যুত হলে তখন সেটিকে বলে ডিস্ক প্রলাপ্স বা  পিএলআইডি

কম্পিউটার সিস্টেম এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানবজীবন এখন অনেক সহজ হয়েছে। বর্তমানে আমরা খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে অনেক কাজ করে ফেলতে পারি; যার ফলে এখন আমাদের কায়িক পরিশ্রম কম করা হয় এবং মানুষ আলস্যের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। শারীরিক সুস্থতা, ফিটনেস এগুলো সবই কমে যাচ্ছে এবং এর ফলে নানা রকম অসুখ-বিসুখ দেখা দিচ্ছে যেমন– ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্থূলতা ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে ডিস্ক প্রলাপস বা পিএলআইডি; যার অর্থ হলো, কোমরের মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ের মধ্যস্থ ডিস্কের অন্তসহ জেলি সরে যাওয়া এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই জেলি বের হয়ে পেছনের দিকের নার্ভগুলোকে চাপ দিতে পারে। এর ফলে কোমর ব্যথা পায়ের দিকেও চলে যেতে পারে।
কারণ 
lঅতিরিক্ত ওজন
lদীর্ঘ সময় বসে থাকা
lভুল পজিশনে দীর্ঘ সময় কাজ করা ও থাকা
l শারীরিক ফিটনেস কমে যাওয়া
l কোমরের মাংসপেশিগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়া
lনিয়মিত ব্যায়াম না করা
lসামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করা
lঅথবা কোমরে কোনো ধরনের আঘাত পাওয়া ইত্যাদি।
লক্ষণ ও উপসর্গ
lকোমরে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া
lপায়ে ব্যথা ও ঝিনঝিন ভাব হওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া বা ভার ভার লাগা
lমেরুদণ্ড নড়াচড়া করতে কষ্ট হওয়া
lদৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটা
lহাঁটাচলায় কষ্ট পাওয়া
lহাঁচি-কাশি দিলে কোমরে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া
lঘুমের সময় পাশ ফিরতে অসুবিধা হওয়া
lঅনেক সময় সমস্যা যদি বেশি বেড়ে যায়, তখন প্রস্রব ও পায়খানা ধরে রাখতে অসুবিধা হয়। এমতাবস্থায় সার্জারি অপরিহার্য।
প্রতিকার ও চিকিৎসা
lওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
lফিটনেস বজায় রাখা
lস্বাস্থ্যকর জীবন ধারণ পদ্ধতি অবলম্বন করা
lসুষম খাবার খাওয়া
lসঠিক দেহ ভঙ্গি বা পজিশন বজায় রাখা
lতীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
নিয়মিত শরীর চর্চা করা ইত্যাদি।
করণীয়
কোমরে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং নিয়মিত ফিজিওথেরাপি গ্রহণের পাশাপাশি তাঁর পরামর্শগুলো মেনে
 চলুন । 

[ফিজিওথেরাপি কনসালন্ট্যান্ট ]
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আমি আজ যা কিছু, সবই নারীদের জন্য: শাহরুখ

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। একষট্টি বছর বয়সেও ধারাবাহিকভাবে ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়ে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। মেধা, কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ় সংকল্প তাকে ‘সুপারস্টার’ মর্যাদা এনে দিয়েছে। যশ-খ্যাতির পাশাপাশি অঢেল সম্পদের মালিক ‘কিং খান’। তবে শাহরুখ খান নিজের কৃতিত্ব নিজে নেন না। বরং এই সাফল্যের কৃতিত্ব তার জীবনের নারীদেরকে দিয়েছেন। বিশেষ করে তার সহঅভিনেত্রীদের।

এর আগে দ্য গার্ডিয়ান-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। এ আলাপচারিতায় তার জীবনের নারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পুরোনো সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।

আরো পড়ুন:

জাতীয় দল থেকে অবসরে স্বর্ণ জয়ী রোমান সানা

ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন

শাহরুখ খান বলেন, “খুব ছোটবেলায় আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি, তারপর মাকেও। কিন্তু আমার জীবনের নারীরা, অভিনেত্রীরা—আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন। আমি আজ যা কিছু, সবই তাদের (নারী) কারণে। তারাই সব কাজ করেন, আর বেশিরভাগ সময় আমি সেই কাজের কৃতিত্ব নিয়ে নিই। আমি শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে কেউ শাহরুখ খান হয়ে ওঠেননি। কিন্তু আমি চাই তারা হোক। আমি অহংকার করছি না।”

বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত, জুহি চাওলা ও কাজলের উদাহরণ টেনে শাহরুখ খান বলেন, “নাচের দৃশ্যে মাধুরী দীক্ষিত আমার হাত ধরে রাখতেন, সে আমাকে লিড দিয়েছে, আমি নই। জুহি চাওলা আমাকে কমেডি টাইমিং শিখিয়েছে, কাজল আমাকে কাঁদতে শিখিয়েছে। তারা প্রাণপণে কাজ করেছে, আর সিনেমা শেষে বলা হয়—‘শাহরুখ খান: দ্য সুপারস্টার’। আমি জানি এটা। আমি এসব অস্বীকার করতে পারি না, কোনোদিন ভুলবও না। আমি আজ যেখানে আছি, সবই নারীদের জন্যই।”

“আমার ভদ্রতা, সৌজন্যতা, জেন্টলম্যান সুলভ আচরণ—সবই তাদের প্রতি আমার ধন্যবাদ জানানোর উপায়। তারা সিনেমায় অসাধারণ কাজ করে, প্রতিটি সিনেমাতেই।” বলেন শাহরুখ খান।

নারী পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে অন্য একটি সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেছিলেন, “পুরুষেরা তাদের অনুভূতিকে ভাগ করে রাখে। কিন্তু নারীরা অনেক বেশি সূক্ষ্ম ও ব্যাপকভাবে অনুভব করেন। তারা সব দিকেই ছড়িয়ে যান। আমার মনে হয়, আমি নারীদের সঙ্গে করতে উপভোগ করি। কারণ নারীদের সংবেদশীলতা। তারা সিনেমাকে আরো সুন্দর করে তোলেন।”

১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা।

দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী।

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা।

অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন মোট পাঁচবার।  তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ