Samakal:
2025-08-01@21:58:18 GMT

ডিস্ক প্রলাপস

Published: 20th, January 2025 GMT

ডিস্ক প্রলাপস

মেরুদণ্ডের দুটি কশেরুকা ও ভার্টিব্রার মধ্যে ফাঁকা স্থানে বিশেষ এক ধরনের জেলির মতো বস্তু বা ডিস্ক থাকে। ডিস্কগুলো মেরুদণ্ড বাঁকানো ও প্রসারিত করতে সাহায্য করে। ডিস্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ফুলে গেলে বা স্থানচ্যুত হলে তখন সেটিকে বলে ডিস্ক প্রলাপ্স বা  পিএলআইডি

কম্পিউটার সিস্টেম এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানবজীবন এখন অনেক সহজ হয়েছে। বর্তমানে আমরা খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে অনেক কাজ করে ফেলতে পারি; যার ফলে এখন আমাদের কায়িক পরিশ্রম কম করা হয় এবং মানুষ আলস্যের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। শারীরিক সুস্থতা, ফিটনেস এগুলো সবই কমে যাচ্ছে এবং এর ফলে নানা রকম অসুখ-বিসুখ দেখা দিচ্ছে যেমন– ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্থূলতা ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে ডিস্ক প্রলাপস বা পিএলআইডি; যার অর্থ হলো, কোমরের মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ের মধ্যস্থ ডিস্কের অন্তসহ জেলি সরে যাওয়া এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই জেলি বের হয়ে পেছনের দিকের নার্ভগুলোকে চাপ দিতে পারে। এর ফলে কোমর ব্যথা পায়ের দিকেও চলে যেতে পারে।
কারণ 
lঅতিরিক্ত ওজন
lদীর্ঘ সময় বসে থাকা
lভুল পজিশনে দীর্ঘ সময় কাজ করা ও থাকা
l শারীরিক ফিটনেস কমে যাওয়া
l কোমরের মাংসপেশিগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়া
lনিয়মিত ব্যায়াম না করা
lসামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করা
lঅথবা কোমরে কোনো ধরনের আঘাত পাওয়া ইত্যাদি।
লক্ষণ ও উপসর্গ
lকোমরে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া
lপায়ে ব্যথা ও ঝিনঝিন ভাব হওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া বা ভার ভার লাগা
lমেরুদণ্ড নড়াচড়া করতে কষ্ট হওয়া
lদৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটা
lহাঁটাচলায় কষ্ট পাওয়া
lহাঁচি-কাশি দিলে কোমরে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া
lঘুমের সময় পাশ ফিরতে অসুবিধা হওয়া
lঅনেক সময় সমস্যা যদি বেশি বেড়ে যায়, তখন প্রস্রব ও পায়খানা ধরে রাখতে অসুবিধা হয়। এমতাবস্থায় সার্জারি অপরিহার্য।
প্রতিকার ও চিকিৎসা
lওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
lফিটনেস বজায় রাখা
lস্বাস্থ্যকর জীবন ধারণ পদ্ধতি অবলম্বন করা
lসুষম খাবার খাওয়া
lসঠিক দেহ ভঙ্গি বা পজিশন বজায় রাখা
lতীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
নিয়মিত শরীর চর্চা করা ইত্যাদি।
করণীয়
কোমরে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং নিয়মিত ফিজিওথেরাপি গ্রহণের পাশাপাশি তাঁর পরামর্শগুলো মেনে
 চলুন । 

[ফিজিওথেরাপি কনসালন্ট্যান্ট ]
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ