ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
Published: 21st, January 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক তৈরির কারখানার শ্রমিকরা রাতের ডিউটি বাতিল ও ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
উপজেলার নিশ্চিন্তপুর দোকানপাড় এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লিবাস টেক্সটাইল নামের পোশাক তৈরির কারখানার কয়েকশ শ্রমিক এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির শিকার হন শত শত যানবাহনের যাত্রী।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, নিশ্চিন্তপুর এলাকার লিবাস টেক্সটাইল কারখানার জহির উদ্দিন নামের এক শ্রমিক গত সোমবার রাত ১২টার দিকে ডিউটি শেষে কর্মস্থল থেকে সফিপুরের বাসায় ফিরছিলেন। তিনি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর ফ্লাইওভারের পূর্বপাশে পৌঁছালে একদল ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। ছিনতাইকারীরা জহিরের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সকালে কারখানার শ্রমিকের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বেলা ৩টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে রাতের ডিউটি বাতিলের দাবিসহ ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এ খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিকেল ৫টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব জানান, পুলিশ কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করবে বলে তিনি শ্রমিকদের কথা দিয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম