আমদানিকৃত শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে বন্দর খালাসে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিএসটিআইর সেবা সহজীকরণ ও ব্যবসায়ীদের বন্দর জরিমানার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ-সংক্রান্ত একটি পত্র জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সরকার সময়ে সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে ২৯৯টি পণ্যকে বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করেছে। বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত এই পণ্যসমূহের মধ্যে আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫(৪৮)-এর বিধানমতে পরিশিষ্ট-৪ এর তালিকায় বর্ণিত মোট ৭৯টি পণ্য দেশে আমদানি করা হলে কাস্টম কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত শুল্কায়নের পূর্বে আমদানিকারককে বিএসটিআই হতে বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী পরীক্ষণপূর্বক ছাড়পত্র গ্রহণ এবং উক্ত ছাড়পত্রের কপি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

শিল্পের কাঁচামাল সরাসরি বাজারে বিক্রয়-বিতরণ করা হয়না বিধায় বিএসটিআই'র বাধ্যতামূলক পরীক্ষণ ও ছাড়পত্রের আওতাভুক্ত শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানিকৃত পণ্যসমূহের খালাস প্রক্রিয়া সহজিকরণের লক্ষ্যে কনসাইনমেন্ট ভিত্তিতে কিছু শর্তে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিএসটিআই যেসকল শর্তে শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে বন্দর খালাসে সাময়িক ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে: আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণক, কোন গোডাউনে কাঁচামাল সংরক্ষণ করা হবে তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাসহ যে বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করা হয়েছে ওই বন্দর সংশ্লিষ্ট বিএসটিআই অফিসে কনসাইনমেন্টের অনুকূলে সাময়িক ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য আবেদন দাখিল করা, বিএসটিআই কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন্দর হতে উক্ত পণ্যের নমুনা সিল করে পরীক্ষার জন্য বিএসটিআইর সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে প্রেরণের নিমিও নমুনা জমাদানপত্র ও আমদানি মূল্যের ওপর হার অনুযায়ী প্রযোজ্য ছাড়পত্র ফি (অফেরতযোগ্য) পরিশোধের জন্য বিলপত্র আমদানিকারক বরাবর ইস্যু করা; আমদানিকারক বা তার প্রতিনিধি সিলকৃত নমুনা বিএসটিআইর সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে জমাদানের পর পরীক্ষণ ফি ও ছাড়পত্র ফি (অফেরতযোগ্য) পরিশোধের রশিদ বিএসটিআইর সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জমাদানের পর বিএসটিআই কর্তৃক উক্ত কনসাইনমেন্টের অনুকূলে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদান করবে। পণ্য পরীক্ষণের পর বাংলাদেশ মান অনুযায়ী উত্তীর্ণ হলে চূড়ান্ত ছাড়পত্র প্রদান করা হবে।

তবে চূড়ান্ত ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত ওয়্যারহাউজ বা গোডাউনে ইনট্যাক্ট অবস্থায় সংরক্ষণ করা না হলে; ছাড়পত্র প্রাপ্তির আগে মালামাল ব্যবহার করা হলে বা শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় আমদানিকৃত ওই পণ্য বিক্রি-বিতরণ করা হলে বিএসটিআই এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের অনুকূলে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদান করা হবে না।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।

অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।

ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।

ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।

স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’

উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’

পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ