হুতিদের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
Published: 23rd, January 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি গোষ্ঠীকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। খবর পার্স টুডের।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, “হুতিদের কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা, আমাদের নিকটতম আঞ্চলিক অংশীদারদের নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।”
নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ট্রাম্প বলেন, “শুধু ইয়েমেন নয়, বিভিন্ন সময় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রাণঘাতী হামলার জন্যও হুতিরা দায়ী।”
ট্রাম্পের ওই নির্দেশের আগামী ৩০ দিনের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে হুতিদের বিষয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
গাজার ফিলিস্তিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী বাণিজ্যিক জাহাজ এবং ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনীর নৌযানে ১০০টির বেশি অভিযান পরিচালনা করেছে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব